জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

ময়ূরীর খেল খতম! পুলিশের ভয়ে সব সত্যি স্বীকার করে নিল ময়ূরী!

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ইচ্ছে পুতুলে অবশেষে সম্পন্ন হয়েছে নীল এবং মেঘের বিয়ে এবং পুলিশও ধরে নিয়ে গেছে ময়ূরীকে। অনিন্দ্য বাবু ময়ূরীকে অনেকবার করে বোঝানোর চেষ্টা করলেও ভাব হয়নি তাতে। মেঘও নীলের সঙ্গে এসে পৌঁছেছে গাঙ্গুলি বাড়িতে। তখন মীনাক্ষী এগিয়ে যান মেঘকে বরণ করে নেওয়া জন্য। কিন্তু মেঘ ভাবতে থাকে তার আগের বারের বিয়ের কথা। কিভাবে এই পরিবারের সকলেই তার অপমান করেছিল।

মেঘকে চিন্তিত দেখে মীনাক্ষী বুঝতে পারেন সবটা। মেঘকে তিনি বলেন “যে জানি আমরা সবাই অনেক ভুল করেছি। তোমায় অনেক কষ্ট দিয়েছে বিশেষ করে আমি কিন্তু এবার আর সেই ভুল হবে না।” তারপর তিনি মেঘের হাতে নোয়া পড়ানোর সময় তাকে বলেন এটা লোহা বিয়ের সময় পড়তে হয় তবে এটা আমি তোমায় একটা উপহার হিসেবে দিলাম। এবার থেকে তুমি এই বাড়িয়ে খেয়াল রাখবে আর এই বাড়ির সকলে তোমার খেয়াল রাখবে।

মেঘ প্রথমে ভয় পেলেও পরে সকলের কথা শুনে হাসতে থাকে। সেঁজুতিও বরণ করে নেয় মেঘকে। তারপর নীলের কাছে ৫০ হাজার টাকা চায় গিনি। কাকাও সেটা নিয়ে মজা করতে থাকেন। তখন নীল গিনিকে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে বলে বাকিটা সে পরে দেবে। তখন ঠাম্মিও বলে মেঘকে ভিতরে ঢুকতে দিতে মেঘ প্রথমে একটু বিশ্রাম করবে তারপর তাকে গান শোনাবে।

সেই কথায় রাজি হয়ে যায় মেঘ। কিন্তু দুধে আলতা দেখে মেঘের মন করে যায় পুরনো কথা যে কিভাবে গতবার ময়ূরী তাকে ফেলে দিয়েছিল কিন্তু তখনই নীল শক্ত করে ধরে নেয় মেঘের হাত এবং বলে পুরনো কথা ভুলে যেতে। এবার তার একসঙ্গে আছে আর একসঙ্গেই থাকবে। তারপর মেঘকে ঘরে নিয়ে আসে গিনিরা। আর বিশ্রাম করতে বলে কিন্তু লালের বোন থেকে যেতে চাইলে গিনি তাকে নিয়ে যাওয়ার কথা বলতে থাকে আর মেঘের সঙ্গে কথা বলার জন্য বাথরুমে বসেই ছটফট করতে থাকে নীল।

ওদিকে পুলিশ অনেকবার জিজ্ঞাসা করার শর্তেও কিছুতেই মুখ খলে না ময়ূরী। সে জানিয়ে দেয় সে গুলি চলার পর পরে থাকা বন্দুকটা তুলেছিল এবং পুলিশ তাকে জানায় তার মা সাক্ষী দিয়েছে তার বিরুদ্ধে। সকলে কেনই বা তার বিরুদ্ধে মিথ্যে বলবে তারপর একজন মহিলা পুলিশ আসে ভয় দেখাতে শুরু করে ময়ূরীকে। সেও চেষ্টা করতে থাকে মুখ না খোলার। ওদিক অনিন্দ্য বাবুকে উকিল জানিয়ে দেয় ময়ূরী বেল হচ্ছে না। মধুমিতার কাছে সেই করনে ক্ষমা চান তিনি।

কিন্তু মধুমিতা বলে যে ময়ূরী জেলে থাকলে মেঘ সুরক্ষিত থাকবে তাই ময়ূরীর জেলে থাকাই ভালো। কিন্তু অনিন্দ্য বাবু বলেন যদিও নীল এবার মেঘকে কষ্ট দেয় তবে তিনি তাকে ছাড়বেন না। তাহলে কি মনে হয় আপনাদের ময়ূরী কি মুখ খুলবে অবশেষে?

Piya Chanda