জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠিঝোরায় (Mithijhora) আসছে একের পর এক চমক। ইতিমধ্যেই এই ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছে বারবার স্যারের কাছে যাওয়ার কারণে খানিকটা অ’স্ব’স্তি হতে শুরু করে রাইয়ের। তখন
অনির্বাণ রাইকে বলে সে দারুন চা করছে। কিন্তু রাই ভাবতে থাকে “এইভাবে বারবার স্যারের কাছে আসাটা ঠিক হচ্ছেনা।” অনির্বাণ রাইকে জিজ্ঞাসা করে পিকনিকের লিস্টের ব্যাপারে।
যদিও রাইয়ে মাথার তখন চলছে অন্য কথা। সে ভাবছে এইভাবে স্যারের সঙ্গে মি’শে ঠিক হবে না, সবাই খা’রা’প ভাবছে। তখনই রাই অনির্বাণকে বলে পিকনিকের লিস্ট রেডি আছে। সবটা সে স্যারকে বুঝিয়ে দেবে। এরপরই কাজের নাম করে ঘর থেকে বেরিয়ে যায় রাই। রাইয়ের এইরকম ব্য’ব’হা’র দেখে খানিকটা অবাক হয় অনির্বাণ। যদিও রাইকে সে কিছুই জিজ্ঞাসা করেনি। ওদিকে স্রোতকে ক্লাসে দেখতে না পেয়ে বারবার স্রোতের কথাই চি’ন্তা করতে থাকে সার্থক।
তখনই একজন ছাত্রী বলে সে একটা বিষয় বুঝতে পারছে না। সার্থক উত্তরে সমস্ত ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের বলে যারা যারা বোঝেনি তারা যেন সাড়ে ৪টের পর তার কাছে আসে। তারপর স্রোতের কথা ভেবে স্যার বলেন, যারা আজ ক্লাসে আসেনি তারা যেন জানতে না পারে আজ ক্লাসে কি পড়ানো হয়েছে। স্যারের এই কথার প্রতিবাদ করে অনেকেই। কিন্তু সার্থক কারোর কথা না শুনে চলে যায়। সার্থক মনে মনে ভাবতে থাকে কেন বারবার তার মাথায় স্রোতের কথা আসছে।
কিন্তু সার্থক যত চাইছে স্রোতের কথা ভাববে ততই যেন আরও বেশি করে ওর মাথায় স্রোতের চি’ন্তা আসতে থাকে। এরপর সার্থক গ্রন্থাগারে যায় একটা বই নেওয়ার জন্য। কিন্তু সেখানে গিয়ে সার্থক জানতে পারে বইটা স্রোত নিয়ে গেছে। এই কথা শুনে আরও রে’গে যায় সার্থক। সে স্রোতের কয়েকজন শ’ত্রু’কে বলে স্রোতের বাড়ি গিয়ে এই বইটা নিয়ে আসতে। কিন্তু স্রোত যেন জানতে না পারে যে বইটা স্যারের লাগবে।
ছেলেগুলোও রাজি হয়ে যায়। এদিকে অফিসে রাইয়ের ব্যাপারে খা’রা’প ম’ন্ত’ব্য করতে থাকে অফিসের বাকি কর্মচারীরা। কিন্তু রাই তাদের স্প’ষ্ট জানিয়ে দেয় স্যার তাকে বলেছিল চা করতে তাই সে করেছে। আর শুধু স্যার কেন, যদি তারাও রাইয়ের কাছে কিছু খেতে চায় তাহলে রাই খাওয়াবে। সেটা শুনে অফিসে আর কেউ কিছু বলতে পারেনা। রাই একজনকে ফাইল দিয়ে বলে অনির্বাণকে দিতে। রাই নিজে ফাইল দিতে আসেনি দেখে অনির্বাণ বুঝতে পারে কিছু একটা স’ম’স্যা হয়েছে। তাই এবার থেকে তাকে রাইয়ের সঙ্গে বসের মতো আচরণ করতে হবে নাহলে রাই তার থেকে দূ’রে চলে যাবে। এদিকে স্রোত ভেবে নেয় আরেকটা কলেজে ভর্তি হবে সে। তাহলে কি এবার আলাদা হয়ে যাবে স্রোত আর সার্থকের পথ? নাকি দূ’রে গিয়ে আরও কাছে আসবে তারা?