জি বাংলার ( Zee Bangla ) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘আনন্দী’ ( Anondi ) বর্তমানে বেশ জমজমাট। গতকালের পর্বে দেখা গেছে, নার্সিংহোমে বাচ্চাদের দেওয়া খাবারের মান নিয়ে আনন্দীর অসন্তোষ। পোড়া পাউরুটি, পাতলা স্যুপ আর মিষ্টিহীন সুজি দেখে আনন্দী বুঝতে পারে, এই খাবার খেলে বাচ্চাদের সুস্থ হওয়া সম্ভব নয়। নন্দিনীকে জানিয়েও কোনো লাভ হয় না। বাড়ি ফিরে আনন্দী বিজয়াকে অনুরোধ করে বাচ্চাদের জন্য খাবার তৈরি করতে। প্রথমে রাজি না হলেও, বাচ্চাদের কথা ভেবে বিজয়া সম্মত হয়।
আনন্দী আজকের পর্ব ১৮ ডিসেম্বর (Anondi Today Episode 18 December)
আজকের পর্বে দেখা যায়, আদির সন্দেহ বাড়ছে। আনন্দীর কিছু লুকানোর চেষ্টা দেখে সে জোর করে জানতে চায়। কিন্তু আনন্দী কিছুতেই টিফিন বক্স দেখাতে চায় না। পরদিন সকালে বাড়ির ছেলেরা কাজে বেরোতেই, বিজয়া, সুমনা, তনুশ্রী মিলে বাচ্চাদের খাবার তৈরির কাজে হাত লাগায়। অন্যদিকে, চৈতি এবং অয়ন্তিকা কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে ঠাম্মি কৌশলে তাদের সরিয়ে দেয়। চৈতিকে ঘুমপাড়ানি ওষুধ মেশানো চা খাইয়ে আর অয়ন্তিকার এলার্ম বদলে পুরো ব্যাপার মসৃণ করে তোলে ঠাম্মি।
বিজয়া বাচ্চাদের টিফিন গুছিয়ে দিলে, আনন্দী তা নিয়ে নার্সিংহোমে পৌঁছায়। বাচ্চারা ভালো খাবার পেয়ে খুশি হয়। এদিকে, নার্সিংহোমে তিতিরকে না দেখে আদি চিন্তিত হয়ে পড়ে। নার্স জানায়, তিতিরের জায়গায় নতুন কেউ কাজ শুরু করেছে। নন্দিনী আবার আদিকে তিতিরকে নিজের জীবনে ফিরিয়ে নিতে উস্কে দেয়। যদিও আদি স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, তার ব্যক্তিগত জীবন এবং কর্মজীবন আলাদা। এরপর আদি আনন্দীর বাচ্চাদের টিফিন দেওয়ার উদ্যোগ দেখে তার প্রশংসা করে।
আদির প্রশংসা পেয়ে আনন্দী জানায়, খাবারগুলি একটি ছোট ক্লাউড কিচেন থেকে আনা হয়েছে। এই উদ্যোগ দেখে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেয়, আগামী দিনে এই ক্লাউড কিচেন থেকেই বাচ্চাদের খাবার আসবে। কিন্তু তাদের এই আলোচনা একজন ওয়ার্ড বয় গোপনে শুনে ফেলে। সে গিয়ে পুরো খবর সুপায়নকে জানায়।
আরও পড়ুনঃ “চুমু খাবো যখন যেখানে ইচ্ছা” ভাইরাল ভিডিও নিয়ে স্পষ্ট কথা পরিচালক বিরসা দাশগুপ্তর
ধারাবাহিকের আজকের পর্বটি আনন্দীর উদ্যোগ এবং পরিবারের সহযোগিতায় একটি ইতিবাচক বার্তা দিলেও শেষ মুহূর্তে ওয়ার্ড বয়ের গোপন শোনার ঘটনা নতুন টানটান উত্তেজনা তৈরি করেছে। এবার দেখা যাক, আগামী পর্বে সুপায়ন কীভাবে এই পরিকল্পনায় বাধা সৃষ্টি করে।