জি বাংলার ( Zee Bangla ) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘আনন্দী’ ( Anondi ) ইতিমধ্যে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছে। প্রতিটি পর্বেই নতুন টুইস্টে ভরা এই ধারাবাহিকটি টিআরপি তালিকায় স্থায়ীভাবে ভালো স্থান ধরে রেখেছে। চৈতি, আদি, এবং আনন্দীর জটিল সম্পর্কের টানাপোড়েন যেন গল্পটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। বিশেষ করে চৈতির ভণ্ড যোগী বাবার ব্যাপারে সত্য উদঘাটন করে আনন্দী চৈতিকে জানিয়ে দিয়েছে, তার বিশ্বাসের ভিত্তি ভুল। এই সত্যি জানতে পেরে চৈতি রেগে গিয়ে আনন্দীর প্রতি তীব্র ক্রোধ প্রকাশ করেছে।
আনন্দী আজকের পর্ব ১৩ নভেম্বর এপিসোড | Anondi Today Episode 13th November
গতকালের পর্বে দেখা গেছে, আনন্দীকে স্বীকারোক্তি করানোর জন্য চৈতিকে নিয়ে আসে বাড়ির সামনে, যা চৈতির জন্য ভীষণ অপমানজনক ছিল। অন্যদিকে, আদির সামনে আবার নতুন চ্যালেঞ্জ, আনন্দীর উপর বিশ্বাস রাখতে সে দ্বিধায় ভুগছে। আদির কাছে ১৭ দিনের সময়সীমা রয়েছে, যার মধ্যে আনন্দীকে প্রমাণ করতে হবে সে নির্দোষ। আদির এই সতর্কবাণী যেন আনন্দীর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ কিছুতেই নন্দিনী ও তিতিরের ষড়যন্ত্রের জন্য সহজে তার পথ মসৃণ হচ্ছে না।
আজকের পর্বে, আদির দিকে আনন্দীর পাল্টা প্রশ্ন এক নতুন দ্বন্দ্বের জন্ম দিতে চলেছে। বাড়ির ছেলেদের সীমা লঙ্ঘনের প্রেক্ষিতে আনন্দী তাকে সোজাসাপ্টা জানিয়ে দেয়, যদি ছেলেরা নিজেদের মাত্রা ছাড়াতে পারে তবে মেয়েদের ক্ষেত্রেও তাদের সঠিক জায়গা খুঁজে নিতে হবে। আদির নাকচের পরেও আনন্দী এই লড়াইয়ে থামতে রাজি নয়। এমনকি আদির নিজের পরিবারেও তার মায়ের পক্ষ থেকে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হচ্ছে।
আনন্দী তার লক্ষ্য নিয়ে একাগ্র, কিন্তু সে জানে এই পথ সহজ নয়। পরিবারে কেউ তার প্রতি নরম সুরে কথা বললেও, আদির মতো কড়া মনোভাব তার জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আনন্দী নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার লড়াই চালিয়ে যাবে কি? অথবা আদির সামনে আত্মসমর্পণ করবে? এই উত্তেজনা প্রতিটি পর্বে বৃদ্ধি পাচ্ছে, আর দর্শকরা অধীর আগ্রহে পরবর্তী ঘটনার জন্য অপেক্ষা করছে।
আরও পড়ুন: “চোখে কি নেবা হয়েছে? ন্যাকা ‘মিঠিঝোরা’ শেষ হোক!” ডায়মন্ড দিদি শেষ হওয়ার খবরে রেগে আগুন দর্শক!
আদির সিদ্ধান্ত এবং আনন্দীর প্রতিক্রিয়া নিয়ে কাহিনির নতুন মোড় তৈরি হতে চলেছে। এই সংকটময় পরিস্থিতিতে আনন্দীর সিদ্ধান্ত তাকে নিয়ে যাবে কোন পথে? সমস্ত উত্তরের জন্য চোখ রাখতে হবে ‘আনন্দী’-র পরবর্তী পর্বে, যা নিয়ে এখন থেকেই দর্শকদের মধ্যে চরম কৌতূহল।