জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

খাবারে বি’ষ মিশিয়ে সুপায়ন কিভাবে ফাঁসালো আনন্দীকে? সুপায়ন ও চৈতির নাটকীয় চালাচালি ফাঁস করলো আদিরা

জি বাংলার ( Zee Bangla ) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘আনন্দী’ ( Anondi )তে প্রতিটি পর্বই নতুন উত্তেজনা নিয়ে আসছে। সম্প্রতি ধারাবাহিকটির টিআরপি তালিকায় খুব ভালো ফলাফল দেখা যাচ্ছে। দর্শকরা বিশেষ করে আদির সংগ্রাম ও আনন্দীর নতুন জীবন শুরু হওয়ার দৃশ্যকে বেশ পছন্দ করেছেন। গতকালের পর্বে আরও এক নতুন মোড় নিয়ে আসা হয়েছে যা দর্শকদের চমকে দিয়েছে।

ধারাবাহিকের গত পর্বে তিতির ও নন্দিনী মিলে আদিকে ফাঁসানোর জন্য একাধিক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। তাদের পরিকল্পনায় মূল লক্ষ্য ছিল আদির ব্যবসা ভেঙে দেওয়া। অন্যদিকে, সুপায়ন নিজের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য এক চমকপ্রদ পরিকল্পনা করে। তিনি চৈতির সঙ্গে মিলে সিদ্ধান্ত নেন যে, যদি বাচ্চাদের খাবারে কিছু বিষাক্ত উপাদান মিশিয়ে দেওয়া যায়, তাহলে ব্যবসা একদিনেই বন্ধ হয়ে যাবে।

Anondi, Zee Bangla, Bengali Serial, Anondi Today Episode, Anondi Today Episode 30 December, বাংলা সিরিয়াল, জি বাংলা, আনন্দী, আনন্দী আজকের পর্ব, আনন্দী আজকের পর্ব ৩০ ডিসেম্বর

সুপায়ন চৈতিকে পরিকল্পনা জানিয়ে বলেন, ‘যদি খাবারের মধ্যে কিছু খারাপ মিশিয়ে দেয়া হয় এবং বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ে, তাহলে তা আনন্দীদের ব্যবসা বন্ধ করে দেবে।’ চৈতি এক পর্যায়ে নাটকীয়ভাবে পড়ে যান এবং সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এই সুযোগে সুপায়ন বাচ্চাদের খাবারে বিষাক্ত পদার্থ মিশিয়ে দেয়, তবে তার কাছে ছিল না কোনো সন্দেহ।

আনন্দী আজকের পর্ব ৩১ ডিসেম্বর (Anondi Today Episode 31 December)

আজকের পর্বে রান্নাঘরে এসে তনুশ্রী সমস্ত কিছু অস্বাভাবিক দেখে কিছুটা হতবাক হন। কিন্তু, কেউ তেমন গুরুত্ব দেয় না তার প্রশ্নকে। এমন সময়েই খবর আসে, চৈতির পা ভেঙে গেছে, আনন্দী সিদ্ধান্ত নেন তাকে দেখতে যাওয়ার। সুমনাও বাচ্চাদের খাবার নিয়ে নার্সিংহোমে পৌঁছায়।

এদিকে, বাচ্চারা খেতে অস্বীকার করে দেয় এবং দাবী করে আনন্দী না এলে তারা খাবার খাবে না। নার্সরা বারবার চেষ্টা করলেও বাচ্চাদের খাওয়ানো সম্ভব হয়নি। শেষে আনন্দী এসে তাদের সঙ্গে নিয়ে একটি বাচ্চার জন্মদিন সেলিব্রেট করেন, কেক কাটেন এবং বাচ্চাদের খেতে বলেন। কিন্তু এরপরই শুরু হয় এক অদ্ভুত ঘটনা।

বাচ্চাদের খাওয়া শুরু হওয়ার পর, হঠাৎ দেখা যায় তাদের পেটে ব্যথা শুরু হয়। সুপায়ন তৎক্ষণাত পুলিশকে খবর দিতে চায়, কিন্তু বাচ্চারা হঠাৎ চমকে ওঠে এবং সুপায়নকে বলে যে তারা নাটক করেছে। সুপায়ন চমকে যায় এবং ক্রুদ্ধ হয়ে বেরিয়ে যায়। এর পর আনন্দী সুপায়নকে সব জানিয়ে দেন। তিনি বলেন যে, এক ইঁদুরের মরে যাওয়ার পর তিনি বুঝতে পারেন যে, খাবারে কিছু সমস্যা আছে। তবে, সুপায়ন কিছুতেই দোষ স্বীকার করে না। তবে, এখন সকলের অপেক্ষা—আনন্দী কিভাবে এই ঘটনা প্রকাশ করেন।

Joyee Chowdhury

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ-এ স্নাতকোত্তর। বিনোদন ও সংস্কৃতি বিভাগই মূল ক্ষেত্র। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।