জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

চার বছরের যাত্রা শেষ হতেই ভেঙে পড়লেন স্বস্তিকা! সেট ছাড়ার মুহূর্তে বাবাকে জড়িয়ে ধরে অঝোরে কেঁদে ফেললেন ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র দীপা! কিভাবে নিজেকে সামলাচ্ছেন অভিনেত্রী?

স্বপ্ন দেখা সহজ, কিন্তু সেই স্বপ্নকে সত্যি করার পথটা কখনওই মসৃণ হয় না। অভিনয়ের জগতে যে ক’জন শিল্পী নিজেদের জায়গা পোক্ত করতে পারেন, তাঁদের বেশিরভাগেরই পিছনে থাকে কঠিন লড়াই, মানসিক চাপ আর অবিরাম পরিশ্রমের গল্প। ঠিক তেমনই একজন তরুণী শিল্পী স্বস্তিকা ঘোষ, যিনি বাধা পেরিয়ে অভিনয়ের জগতে নিজের নাম প্রতিষ্ঠা করেছেন।

বর্তমানে তাঁকে নিয়ে দর্শকদের আগ্রহও আরও বেড়েছে। টেলিভিশনের অত্যন্ত পরিচিত মুখ ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র দীপা—এই চরিত্রটাই তাঁকে ঘরে ঘরে জনপ্রিয় করে তুলেছে। খুব অল্প বয়সেই অভিনয়ে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন তিনি। নাচ-গান থেকে শুরু করে ক্যামেরার সামনে সাবলীল অভিনয়—সবটুকুই তিনি শেখেন নিজের চেষ্টায়। বয়স মাত্র ১৯, অথচ তাঁর পরিশ্রম ও পেশাদারিত্ব দেখে বহু সিনিয়র শিল্পীই অবাক হন।

স্বস্তিকার যাত্রাটা মোটেও মসৃণ ছিল না। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি থেকে উঠে এসে কলাকুশলীদের ভিড়ে নিজের নাম তুলতে তাঁর লেগেছে অসম্ভব পরিশ্রম। ‘সরস্বতীর প্রেম’-এর মাধ্যমে অভিনয়ে হাতেখড়ি হলেও জনপ্রিয়তা আসে ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ ধারাবাহিকে দীপার চরিত্রে অভিনয় করার পর। প্রতিটি দৃশ্যে যে নিষ্ঠা নিয়ে কাজ করেছেন, তা দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়েছে। তাঁর পরিবারের কাছে এ এক গর্বের মুহূর্ত—মেয়ের সাফল্য তাঁদের ত্যাগকে সার্থক করেছে।

চার বছরের দীর্ঘ পথচলা। হাসি-কান্না, পরিশ্রম, স্ট্রেস—সবকিছুর মিলিত স্মৃতি যেন গেঁথে ছিল এই ধারাবাহিকটিতে। অবশেষে যখন ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র শুটিং শেষের ঘোষণা এল, তখন সেটে তৈরি হল এক আবেগঘন পরিবেশ। এত বছর ধরে যে জায়গা তাঁর দ্বিতীয় বাড়ি হয়ে উঠেছিল, সেটা ছেড়ে যাওয়ার অনুভূতি সামলানো সত্যিই সহজ ছিল না।

শুট শেষ হওয়ার মুহূর্তে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি স্বস্তিকা। বাবাকে কাছে দেখেই চোখ ভিজে যায় তাঁর। চার বছরের স্মৃতি, লড়াই, সাফল্য—সবকিছুর ভার যেন একসঙ্গে নেমে আসে হৃদয়ে। বাবার হাত ধরে ফুঁপিয়ে কেঁদে ফেলেন তিনি। উপস্থিত ইউনিট এবং সহ-অভিনেতারাও সেই দৃশ্য দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। বাবার চোখেও ছিল জল। এই দৃশ্য প্রমাণ করে দিল, একজন শিল্পীর সাফল্যের পেছনে পরিবারই সবচেয়ে বড় শক্তি।

Piya Chanda

                 

You cannot copy content of this page