স্টার জলসার (Star Jalsha) সুপারহিট মেগা অনুরাগের ছোঁয়া (Anurager Chhowa)। তবে নামে অনুরাগের হলেও ধারাবাহিকের গল্পে যেন চির মিসিং অনুরাগ! ধারাবাহিকের নায়িকা দীপা যেন ক্ষণে ক্ষণে পরীক্ষা দিয়ে চলেছে। কখনো সে বিতাড়িত স্বামীর কাছে। তো কখনো তাকে তাড়িয়ে দিচ্ছে তাঁর মেয়ে সোনা। শেষমেষ রাস্তার ধারে শুয়ে দিন কাটাচ্ছে নায়িকা।
বর্তমানে ধারাবাহিকের গল্পে এসেছে নতুন মোড়। গল্প এগিয়ে গিয়েছে বেশ কিছু বছর। দীপা ও সূর্য আলাদা হয়েছে। আলাদা হয়েছে দুই বোন সোনা ও রূপা। কেউ জানে না ছোট বোন রূপা আদৌ সে বেঁচে আছে নাকি। তবে দীপা জানে একদিন তার মেয়ে ঠিক ফিরে আসবে। তবে দীপা এখন কাছে পেয়েছে তার অপর মেয়ে সোনাকে। কিন্তু সোনা তাকে একেবারেই সহ্য করতে পারছে না।
অনুরাগের ছোঁয়া আজকের পর্ব ৮ই অক্টোবর এপিসোড | Anurager Chhowa Today Episode 8th October
ধারাবাহিকের আজকের পর্বে দেখা যায়, দীপা নানা রকমভাবে রেস্টুরেন্টের মালিককে বোঝাতে থাকে, সে বেশ বিপদের মধ্যে পড়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে তাড়াতাড়ি বেরোনোটা তাই তার পক্ষে সম্ভব হয়নি। কিন্তু সে চেষ্টা করেছিল বেরোনোর। তাও শেষ পর্যন্ত বেরোতে পারেনি। তাই এসবের কারণে একটু দেরি হয়ে গিয়েছে। এইবারের মতন যেন তিনি তাকে ক্ষমা করে আর একটা সুযোগ দেন। আগামী দিনে এরকম ভুল আর সে কোনদিনও করবে না। রেস্টুরেন্টের মালিক কিন্তু এই সমস্ত শুনতে মোটেই রাজি নয়। উল্টে সে দীপার সঙ্গে তিনি অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করেন।
রেস্টুরেন্টের মালিক দীপাকে ব্যঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে বলেন, “ওই চারু যার জন্য আপনি এতটা গেলেন, যার বিপদে আপনার দেরি হয়ে গেল ফিরতে আপনি বরং তার বাড়িতে যান। সে আপনাকে নিশ্চয়ই একটা আশ্রয় দেবে।” তারপর তিনি সরাসরি বললেন, এখানে আপনার আর কোন জায়গা হবে না। রেস্টুরেন্টের বাকি কর্মচারীরাও যখন দীপার হয়ে কথা বলতে আসে রেস্টুরেন্টের মালিক স্পষ্ট জানিয়ে দেন, যার অসুবিধা থাকবে সে যেন দীপার সাথে চলে যায়। যেহেতু সবারই চাকরিটা খুব দরকার তাই কেউ যেতে চায় না। সবাই একে একে মাথা নিচু করে সেখান থেকে বেরিয়ে যায়। শেষমেষ একা পড়ে থাকে দীপা।
আরও পড়ুনঃ অর্কর চেয়ে উদয় ভালো! নতুন ধারাবাহিক ‘পরিণীতা’-য় উদয়কে নায়ক হিসেবে দেখে প্রতিক্রিয়া দর্শকদের!
কিন্তু রেস্টুরেন্ট থেকে বেরোতেই তাকে ফোন করে তার মা। দীপা এই অবস্থায় প্রথমবার ফোনটা না ধরলেও দ্বিতীয়বার ফোন ধরতে বাধ্য হয়। কিন্তু নিজের অবস্থার কথা সে তার মাকে জানাতে চায় না কারণ এসব কথা জানতে পারলে সে খুব চিন্তা করবে। এত বড় শহরে দীপা এখন কোথায় যাবে কি করবে, কিছু বুঝতে না পেরে একটা বেঞ্চে বসে পড়ে। দীপা মনে মনে ঠিক করে আজকে রাতটা তাকে এখানেই কাটাতে হবে। এরপর বেঞ্চের মধ্যে ক্লান্ত শরীরে শুয়ে পড়ে। এভাবেই দেখা যায় মস্ত অট্টালিকা থাকা সত্ত্বেও নায়িকার ঠাঁই হয়েছে এই পথের ধারেই।