টলিপাড়ার সদ্য বিবাহিতা নতুন দম্পতি কাঞ্চন মল্লিক এবং শ্রীময়ী চট্টরাজ। তবে শুধু নবদম্পতি হিসেবেই নয়, বর্তমানে বিনোদন জগতের খাস খবর কাঞ্চন আর শ্রীময়ী। তাদের বিয়ে নিয়েই শুরু হয়েছে সারা দুনিয়ায় নতুন গুঞ্জন। তবে সেটা সম্পুর্নভাবে শুভেচ্ছা বা প্রশংসায় ভরা নয়, নেহাতই নিন্দা এবং কটূক্তি ভরা। সকলেই তাদের বিষয়ে ছি ছি করছে বর্তমানে নেট দুনিয়ায়। তাদের নিয়ে বানাচ্ছে নানা মিমিসও বা হাসির ভিডিও।
২০২৪ এর ১০ই জানুয়ারি দ্বিতীয় স্ত্রী পিঙ্কিকে ডিভোর্স দিয়েছিলেন কাঞ্চন মল্লিক। তারপরই ১২ই ফেব্রুয়ারি ভালোবাসার দিনেই আইনি মতে কাঞ্চন বিয়ে করেন শ্রীময়ীকে। এরপর ২রা মার্চ কাঞ্চন আর শ্রীময়ী বসেন সামাজিক মতে বিয়ের পিঁড়িতে। ২৯ তারিখে হয়েছিল শ্রীময়ীর মেহেন্দির অনুষ্ঠান এরপর ১লা মার্চ তারা খেয়েছেন আইবুড়োভাত। তবে প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি কাঞ্চন প্রথমে বিয়ে করিয়েছিলেন অভিনেত্রী অনিন্দিতা দাসকে তারপর তারা সংসার করেছেন নয়বছর।
কিন্তু একসঙ্গে থাকা হয়নি তাদের। তাদের একটি পুত্র সন্তানও আছে ওশ। তারপর তিনি বিয়ে করেছিলেন পিঙ্কিকে। যদিও তাদের বিয়েও শেষ অব্দি টিকে থাকল না। তবে সম্প্রতি শ্রীময়ী আর কাঞ্চনের বিয়েতে নেটিজেনরা তাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে ভুলেনি একটিও। তাদের মধ্যে অনেকেই বলেছেন “শাশুড়ি থেকে জামাইয়ের বয়স বেশি।” আবার অনেকেই বলেছেন “বাবা নাচছে সন্তানের কষ্ট কতোখানি তার হিসাব কে রাখে ,, এ আবার জন প্রতিনিধি ভাবতে অবাক লাগে তার কোন নৈতিক শিক্ষা নেই। ৪ নম্বর বিয়েটা যখন হবে তখন ৩ নম্বর টা বুঝবে অন্যের ঘর ভাঙার কি জালা।”
আবার অনেকে এও বলেছেন “তিনি হয়তো আর বিয়ে করবেন না, তার আগেই চলে যাবেন কিন্তু টাকার জন্য মানুষ কি না কি করতে পারে। সেটাই দেখলাম।” অনেকে আবার এও বলেছেন “ওনার বিয়েতে পুরোহিত লাগবে না। এতবার বিয়ে করেছেন সব নিয়ম তো জানা।” কেউ আবার বলেছেন “ছেলেকেই নিত বর করতে পারতেন তো।” অনেকের প্রতিক্রিয়া “বিয়ের আনন্দে কাঞ্চন কাকুকে তার কচি বউ কোলে তুলে নিয়েছে। বিরক্তিকর। এরকম বাবার কাছে থাকার চেয়ে ওনার ছেলে পিঙ্কির কাছেই থাকুক ভালো শিক্ষা পাবে। ওনার কাছে থাকলে উনি জি যে শেখাবেন বোঝা যাচ্ছে।”
আরো পড়ুন: মিঠিঝোরায় বিরাট চমক! রাইকে বিয়ে করে নিল শৌর্য্য! দুই বোনের এক স্বামী! আসন্ন পর্ব ফাঁস
কাঞ্চনের ছেলের জন্য সকলেই বলেছেন “এইরকম একজন মানুষ না ভালো বাবা হতে পারেন না ভালো জনপ্রতিনিধি। এরকম একজন মেয়ে যে কিনা লোকের ঘর ভাঙ্গে এই এমন একজন এমএলেকে আর যাই হোক ভোট দেওয়া যায়না। তবে এইসমস্ত মন্তব্যে কর্ণপাত করেননি শ্রীময়ী বা কাঞ্চন কেউই। তবে ডিভোর্সের পর কাঞ্চন বলেছিলেন পিঙ্কি তার ওপর পরকীয়ার মিথ্যে অভিযোগ এনেছে এবং পিঙ্কি নিজেই তার সঙ্গে সংসার করতেন না। তখন এই বিয়ের পর সকলের কাছে সেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে গেছে কে মিথ্যে বলছে আর কে সত্যি!