জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠিঝোরার (Mithijhora) গল্পে চলে এসেছে নতুন মোড়। ধারাবাহিকটি জি বাংলায় সম্প্রতি শুরু হয়েছে জি বাংলায় রাত সাড়ে নয়টায়। ধারাবাহিকটি শুরু হওয়ার পর থেকেই খুব বেশি ভালো ফল করে উঠতে পারছিল না টিআরপিতে। ধারাবাহিকের শুরুতেই দেখা যাচ্ছিল তিন বোনকে নিয়ে ভালোই দিন যাচ্ছিল রাইপূর্ণার। সকলেই খুব ভালো ভালোভাবেই দিন কাটাচ্ছিলেন তাদের। রাইয়ের জন্য বিয়ের প্রস্তাব আসে শৌর্য্যর।
শৌর্য্য শুরু থেকেই খুব ভালোবাসত রাইকে। তাই পরিবারের সঙ্গে কথা বলেই রাইয়ের জন্য বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসে শৌর্য্যের পরিবার। সবই ঠিক হয়ে গেছিল প্রায়। যদিও রাইয়ের তার মেজ বোন নীলুর জন্য বারবার ছুটে যাওয়া। তার বারবার নীলু এবং তার পরিবারের জন্য পিছু টান পছন্দ করছিলেন না শৌর্য্যের পরিবারের কেউই কিন্তু সর্বদাই ক্ষমা চেয়ে এভাবে ওভাবে বিষয়টিকে সামলে নিয়েছিলেন রাইয়ের মা নন্দিনী। কিন্তু তবুও শেষ রক্ষা হয়নি রাইয়ের বিয়ের।
বাবার অকাল মৃত্যুরতে ভেঙে পড়ে রাইয়ের পরিবার। তাই বাধ্য হয়েই পরিবারকে বাঁচাতেই নিজের বিয়েটাকে ভেঙে দিয়ে নিজের বোন নীলুর সঙ্গে তার পাত্রের বিয়ে দেন রাইপূর্ণা। যদিও প্রথমে কেউই মেনে নিতে পারেননি বিয়েটাকে। কিন্তু রাইয়ের ওপর রাগ থেকেই নীলুকে রাইয়ের সামনে মেনে নেওয়ার নাটক করতে থাকে শৌর্য্য। কিন্তু মনের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলতেই থাকে এই তিনজনেরই রাইও কোথাও না কোথাও নিজেকে সামলে নেওয়ার চেষ্টা করছিল পরিস্থিতি দেখে। শৌর্য্যও চেষ্টা করছিল সময় নেওয়ার। ওদিকে নীলুও চেষ্টা করছিল সবটা মিলিয়ে চলার।
কিন্তু শৌর্য্যের বাবাকে বাঁচানোর জন্যই রাইকে আবার বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসে শৌর্য্যের মা। নিজের দিদিকে এইভাবে নিজের শ্বশুরবাড়িতে দেখে অবাক হয়ে যায় নীলুও। নীলুর মনে জন্ম নেয় সন্দেহের বীজ। বারবার শৌর্য্যের সঙ্গে রাইকে দেখে রেগে যেতে শুরু হয় নীলু। তাদেরকে নানা অছিলায় একে অপরের থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করে নীলু। কিন্তু শৌর্য্যের বাবাকে সুস্থ করতে রাইকে ওই বাড়িতেই থেকে যেতে অনুরোধ করে শৌর্য্যের মা। যদিও এই সিদ্ধান্তে একদমই খুশি নয়নি নীলু। রাইয়ের সঙ্গে বারবার খারাপ ব্যবহার করতে শুরু করে সে।
আরো পড়ুন: ইচ্ছে পুতুলে তুলকালাম! ফুলসজ্জার রাতে গুরুতর অসুস্থ মেঘ! কে রয়েছে ষড়যন্ত্রের পিছনে? মীনাক্ষীর সন্দেহ ময়ূরীকে!
তারপর দেখা যায় রাই আর শৌর্য্যকে একসঙ্গে ছাদে দেখে আর সহ্য করতে পারেনা নীলু। রাই চলে যাওয়ার পর সে শৌর্য্যের কাছে গিয়ে বলে একদিন আসবে যেদিন সে নিজে নীলুকে তার জীবনে ফিরিয়ে আনতে চাইবে কিন্তু সে পারবে কারণ তখন নীলু আর তার জীবনে ফিরে আসবে না। সেটা শুনেই অবাক হয়ে যায় শৌর্য্য সে ভাবতে থাকে কেন নীলু এরকম কথা বলল তাকে। তারপর নীলু নিচে গিয়ে সকলকে জিজ্ঞাসা করে রাই কি শৌর্য্যে জন্মদিনেও এখানে থাকবে। তখন শৌর্য্যের মা বলেন সকলেই যখন আছে রাইও থাকবে। সেটা শুনেই অবাক হয়ে যায় নীলু। তবে কি এবার কোনও চরমতম সিদ্ধান্ত নেবে নীলু। কি হবে যদি নীলু রাই আর শৌর্য্যের জীবন থেকে চলে যায়?