জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

বাবুর মায়ের চরিত্রে অসামান্য ছিলেন তিনি! ‘অনেক জায়গায় আমি নিজের মায়ের ছায়া পেয়েছি’ চোখের জলে বাবুর মাকে বিদায় অরিজিতার!

টেলিভিশন জগতে এমন কিছু চরিত্র থাকে, যেগুলো দর্শকের মনে গভীর ছাপ ফেলে। জি বাংলার মেগা ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phuler Madhu) ধারাবাহিকে ‘বাবুর মায়ে’র/কৃষ্ণা দত্ত চরিত্রটি ঠিক তেমনই এক স্মরণীয় চরিত্র হয়ে উঠেছে। অভিনেত্রী অরিজিতা মুখোপাধ্যায় (Arijita Mukhopadhyay) তার অসাধারণ অভিনয় দক্ষতায় এই চরিত্রকে জীবন্ত করে তুলেছেন। তার অভিব্যক্তি, সংলাপ বলার ধরণ, এবং এক মায়ের স্নেহ ও কঠোরতার সংমিশ্রণ দর্শকদের মন ছুঁয়ে গেছে।

আধুনিক কলকাতার বুকে অবস্থিত এক যৌথ পরিবার যার ধ্যান-ধারণা অনেকটা যুগের থেকে পিছিয়ে এমন এক বাড়ির ছেলে ও ছোট্ট পরিবারের আধুনিক চিন্তাধারায় বেড়ে ওঠা মেয়ে পর্ণার বৈবাহিক জীবন নিয়ে শুরু হয় এই ধারাবাহিক। সেখানে পর্ণার শ্বশুরবাড়ি সবার মন জেতা থেকে শুরু করে চিন্তা ধারা বদলানো দেখতে মানুষ বেশ উপভোগ করতেন। পর্ণার শাশুড়ি ওরফে কৃষ্ণ দত্ত ‘বাবুর মা’, এই সিরিয়ালে অন্যতম চর্চিত চরিত্র। বৌমা পাছে ছেলেকে মায়ের থেকে দূর করে দেয় এর জন্য তিনি হাজারো ফন্দি এঁটেছেন।

অরিজিতা নিজেই বলেছেন, “এই চরিত্রটা আমার খুব কাছের। অনেক জায়গায় আমি নিজের মায়ের ছায়া পেয়েছি এতে। এই চরিত্রটি করতে গিয়ে আমি সত্যিকারের এক মায়ের অনুভূতি বুঝতে পেরেছি।” তার এই কথাতেই বোঝা যায়, তিনি কেবল সংলাপ আওড়াননি, বরং চরিত্রটিকে নিজের ভেতরে ধারণ করেছেন। বাবুর মা ছিলেন একাধারে স্নেহশীল এবং দৃঢ়চেতা, যা প্রতিটি দৃশ্যেই স্পষ্ট হয়েছে। এই চরিত্রের বিশেষত্ব ছিল তার বাস্তবসম্মত উপস্থাপনা। আজকের দিনে একজন মা কীভাবে সংসার সামলে সন্তানকে সঠিক শিক্ষা দেন,

তা নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন অরিজিতা। দর্শকরাও এই চরিত্রকে নিজেদের জীবনের সঙ্গে মেলাতে পেরেছেন। সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই লিখেছেন, বাবুর মা যেন তাদের নিজেদের মায়ের প্রতিচ্ছবি! অভিনেত্রী নিজেও, এই চরিত্র ছাড়তে হয়েছে বলে একরকম আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন। তিনি বলেছেন, “আমি জানি,পরিবর্তন আসবেই এটা কালের নিয়ম, কিন্তু এই চরিত্রটার প্রতি আমার আলাদা টান ছিল। প্রত্যেকদিন রক্ত মাংস দিয়ে একটু একটু করে গড়ে তুলেছিলাম ‘কৃষ্ণা দত্তকে’।

যখন মানুষ আমাকে বাবুর মা বলে ডাকত, তখন সত্যিই ভালো লাগত।” তার এই আবেগপূর্ণ স্বীকারোক্তি প্রমাণ করে, কেবল দর্শকরাই নন, তিনিও চরিত্রটিকে মনে প্রাণে ভালোবেসেছেন। অভিনেত্রীকে এর পরে দেখা যাবে ‘কিলবিল সোসাইটি’ ছবিতে। এখন প্রশ্ন একটাই—জি বাংলা খুললেই দেখতে পাওয়া যাবে হরেক রকম সিরিয়াল, কিন্তু বাবুর মা থাকবেন না! দর্শকদের জন্য এটি নিঃসন্দেহে বড় এক শূন্যতা। আপনাদের কী মনে হয়, বাবুর মায়ের চরিত্রকে কি মিস করবেন?

Piya Chanda