বর্তমানে স্টার জলসার (Star Jalsha) অনুরাগের ছোঁয়ায় (Anurager Chhowa) চলছে টান টান উত্তেজনা। সূর্য চলে যাওয়ার পর দীপার জীবনে কষ্টের শেষ নেই। বিরহ যন্ত্রনাতো আছেই, সঙ্গে রূপার অসুখ, সেনগুপ্ত পরিবারের দারিদ্র্য, আর রূপার বালকিল্য আবদার। দীপা যেন সবকিছু নতুন করে শুরু করে।
বাবার উপর বাঁধ ভাঙা অভিমান রূপার। রূপার শরীর খারাপ জেনেও একটা বারের জন্য দেখতে আসেনি তাকে। সে চায় তার মা দীপা আর হিংসেকুটি যেন ভাল থাকে। আর দীপার জন্য একেবারে আদর্শ অর্জুন। সুখে-দুঃখে, বিপদে-আপদে দীপার পাশে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে সে। সোনা-রূপার সঙ্গেও তার সম্পর্ক ভাল। তাই অর্জুনকে ড্যাডি বানালেই সব সমস্যার সমাধান বলে মনে করে শিশু মন।
এদিকে রূপা পণ করেছে মা আর অর্জুন বিয়ে না করলে সে অপারেশন করাবে না। কিন্তু দিন দিন শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে তার। বর্তমানে অহরহ শরীর খারাপ হচ্ছে তার। এবার আর অপারেশন না করলেই নয়। তবে দীপার মতোই নাছোড়বান্দা তার মেয়ে। রূপার সঙ্গে গোটা বাড়ির লোক সহমত পোষণ করে।
সকলে চায় নতুন করে শুরু করুক দীপা। দুই মেয়েকে নিয়ে ভাল থাকুক। হয়ত, দীপার ভাল থাকার মধ্যে সকলের ভাল থাকার চাবিকাঠি লুকিয়ে রয়েছে। আর অর্জুন দীপার জন্য আদর্শ। গ্রামের বাড়ি থেকে এদিন দীপার মা-বাবা এসে এক কথা বলে। তারা চান দীপা অর্জুনের হাত ধরে যেন জীবনে এগিয়ে যায়। তবে দীপার মন মানে না। কেন এমনটা হচ্ছে! সবাই মিলে দীপার মনের অবস্থা বুঝতে পারছে না কেন!
আরো পড়ুন: এ কী কান্ড! জি বাংলার নতুন ধারাবাহিক ছেড়ে জলসায় চলে গেলেন এই প্রধান অভিনেত্রী! কিন্তু কেন?
দিশেহারা দীপা পরিস্থিতির শিকার হয়ে বিয়েতে হ্যাঁ বা না কিছুই বলে না। লাবণ্য অনুপস্থিতিও আর অজুহাত নয় এই মুহূর্তে। এদিকে প্রবীরের তৎপরতায় দীপার বাড়িতে শুরু হয় বিয়ের তোড়জোড়। দাদা আর প্রবীর ঝাঁপিয়ে পড়ে আয়োজনে। এদিকে বউদিও কাজে লেগে পড়ে আর কালবিলম্ব না করে। তবে কি এবার সত্যি পরিণয় পাবে অর্জুনের ভালোবাসা? অর্জুন-দীপারে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বদলে যাবে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে? জানতে হলে দেখতে হবে অনুরাগের ছোঁয়া।