দোলপূর্ণিমা সকলের কাছেই একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। ছোট থেকে বড় সকলেই আমরা মেতে উঠি এই রঙের উৎসবে। রাধা কৃষ্ণের এই পবিত্র উৎসবে প্রতিবছর সামিল হয় আমরা সকলেই। পুরানানুসারে শ্রীহরির ভক্ত রাজা হিরণ্যকশিপুর পুত্র ছিল প্রহ্লাদ। তিনি নিজেই নিজেকে ঘোষণা করেন অসুর কুলের দেবতা, রাক্ষসরাজ। তাকে ব্রহ্মা বর দিয়েছেন তাকে ঘরে, বাইরে, মানুষ বা পশু কেউই বধ করতে পারব না। তাই নিজের পুত্রকে বধ করার জন্য তিনি সাহায্য নেন তার বোন হোলিকার।
ব্রহ্মা প্রদত্ত একটি চাদর ছিল হোলিকার কাছে যাকে বলা যায় রক্ষাকবজ। সেটাই গায়ে জড়িয়ে তিনি প্রহ্লাদকে নিয়ে বসেন অগ্নিকুন্ডে। তবে শ্রী বিষ্ণুর কৃপায় চাদর আসে পরে প্রহ্লাদের গায়ে আর মৃত্যু হয় হোলিকার। সেই থেকেই দোলের আগের দিন হয় হোলকা দহন। এছাড়াও হোলির দিনই শ্রীকৃষ্ণ বধ করেছিলেন পূতনা রাক্ষসীকে।
জানা যায় দোলপূর্ণিমার এই ৬টি দিন শ্রীকৃষ্ণ আর রাধারাণী তার সখীদের সঙ্গেই পালন করেন দোলপূর্ণিমা। বাংলাই এই দোলযাত্রার সূচনা করিয়েছেন শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু ১৪৮৬ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন তার তিনিই প্রথম শুরু করবে দোলযাত্রা বাংলায়।
তবে ঠান্ডাই ছাড়া কিন্তু অসম্পূর্ণ দোল উৎসব। সকলের সঙ্গে ঠান্ডাই নিয়ে, গান চালিয়ে, আনন্দের সঙ্গে দোল উৎসব পালনে আসে একটা আলাদাই মজা। তাই আজ আমরা বানাবো দোল পূর্ণিমার জন্য স্পেশাল ঠান্ডাই। একেবারে দারুন। সকলের সঙ্গে ঠান্ডাই সহযোগে পালন করুন এই বিশেষ দিনটি। তাহলে চলুন দেখে নিই কি কি লাগে এই ঠান্ডাই বানানোর জন্য।
Table of Contents
উপকরণ:
আমন্ড, কাজু, পেস্তা, বাদাম,এলাচ, মগজ, মৌরি, পোস্ত, গোটা গোলমরিচ, ক্যাটিং চিনি, কেশর, জায়ফল, শুকনো গোলাপের পাপড়ি, দুধ এবং বরফ।
আরো পড়ুন: নিরামিষ দিনে খেয়ে দেখুন এঁচোড়ের পাতুরি, হার মানাবে মাছ মাংস! রইল রেসিপি
প্রণালি:
তাহলে কিভাবে বানাবেন এই স্পেশ্যাল ঠান্ডাই। প্রথমে মিক্সিতে কাজু, বাদাম, আমন্ড, পেস্তা, এলাচ, মগজ, মৌরি, গোটা গোলমরিচ, পোস্ত, ক্যাটিং চিনি, জায়ফল, গোলাপের পাপড়ি এবং সামান্য কেশর দিয়ে ভালো করে গুঁড়ো করে নিন। এরপর এবার পত্রের মধ্যে পরিষ্কার শুকনো কাপড় দিয়ে ওর মধ্যে পেস্ট করা ড্রাই ফ্রুট গুঁড়ো দিয়ে, দুধ দিয়ে হাতে ভালো করে ঘুঁটে নিয়ে বরফ দিয়ে পরিবেশন করুন ঠান্ডাই।