জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

পুরুষোত্তমকে বোকা বানিয়ে অষ্টমীকে সাহায্য করলেন ঠাম্মি! তবে কী অষ্টমীর বানানো ধুপ দিয়েই পুজো হবে বৌরাণীর?

Ashtomi Today Episode: জি বাংলায় (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক অষ্টমী (Ashtomi)। অর্গানিক স্টুডিওর প্রযোজিত এই ধারাবাহিকে শুরু থেকেই দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ সক্ষম হয়েছে নিজের দিকে। শুরুর থেকেই দর্শকদের মাঝে আলোড়ন ফেলেছিল ধারাবাহিকটি। সন্ধ্যে সাড়ে ৬টার স্লটে গীতাকে হারিয়ে অষ্টমী স্লট লিড না পেলেও ইতিমধ্যেই ধারাবাহিকের কাহিনীতে নতুনত্বের স্বাদ বেশ উপভোগ করছেন বাংলার গৃহবধূরা।

বৌরাণী মায়ের আশীর্বাদ প্রাপ্ত অষ্টমী স্কুলের চাকরির জন্য বাড়ি ছেড়ে চলে আসে পুরুষোত্তম সিংহ রায়ের স্কুলের শিক্ষিকা হিসেবে। তবে শুরু থেকেই পুরুষোত্তমের অযৌক্তিক, মানুষকে বোকা বানানোর কারসাজির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় অষ্টমী। অষ্টমীর আচরণ, বারবার তার বিরোধিতা করা একেবারেই পছন্দ করেননি পুরুষোত্তম। তারপর থেকেই নানাভাবে অষ্টমীর ক্ষতি করার, অষ্টমীকে গ্রাম থেকে বের করে দেওয়ার প্রচেষ্টা করতে শুরু করেন তিনি।

অষ্টমী আজকের পর্ব ১২ মে (Ashtomi Today Episode 12 May)

সম্প্রতি বৌরাণীর জন্য নির্মিত বিশেষ ধূপ আনতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে আয়ুষ্মানের ওপর চড়াও হন পুরুষোত্তম। কিন্তু পুরুষোত্তমকে বাধা দিয়ে অষ্টমী বলে সে নিজে বৌরাণীর জন্য সেই বিশেষ ধুপকাঠি বানাবে। কিন্তু পরক্ষনেই অষ্টমী জানিতে পারে ধুপকাঠি বানানোর জন্য যে বিশেষ কস্তুরীর প্রয়োজন সেটা রয়েছে আতরের ঘরে। কিন্তু পুরুষোত্তমের নজর এড়িয়ে সেই আতর নেওয়া বেশ কঠিন।

অষ্টমীকে সাহায্য করতে অসুস্থ হওয়ার নাটক শুরু করল ঠাম্মি

তখনই একটা ফন্দি আঁটেন ঠাম্মি। তিনি অষ্টমীকে বলেন আতরের ঘরে গিয়ে সেই কস্তুরী বের করে আনতে পুরুষোত্তমকে তিনি নজরে রাখবেন। এই বলেই বুকে ব্যথার অভিনয় শুরু করেন ঠাম্মি। ডেকে পাঠানো হয় পুরুষোত্তম সিংহ রায়কে। তিনি এসেই ঠাম্মি পরিস্থিতি দেখে খবর দেন ডাক্তারকে। এদিকে আতরের ঘরে ঢুকে যায় অষ্টমী। দেশ বিদেশের নানা পুরোনো আতরের উগ্র গন্ধে অসুস্থ বোধ করতে শুরু করে আয়ুষ্মানের দিদি। কিন্তু তখনই অষ্টমীর চোখে পড়ে একটা শিশি। অষ্টমী দেখে বুঝে পারে আলাদা করে রাখা এই শিশিতেই রয়েছে কস্তুরী।

আরও পড়ুনঃ “মা হওয়ার জন্য সবসময় সন্তানের জন্ম দেওয়ার প্রয়োজন হয়না”, মাদার্স ডে’তে নিজের সন্তানের প্রতি মাতৃত্ব নিয়ে অকপট মিমি চক্রবর্তী!

তড়িঘড়ি করে ঠাম্মিকে ইশারা করে অষ্টমী বলে গঙ্গাজল খেয়ে নিতে। অষ্টমীর ইশারা পেয়ে ঠাম্মিও বুঝে যান কাজ হয়ে গেছে। তিনি পুরুষোত্তমকে জানান এখন তিনি সুস্থ ডাক্তার আর লাগবে না। মায়ের এই হেন কান্ড দেখে অবাক হয়ে যায় পুরুষোত্তম। তারপর দাঁত জেগে সকলে মিলে একসঙ্গে বানাতে শুরু করে বৌরানীর সেই বিশেষ ধুপকাঠি। ওদিকে পুরুষোত্তমও ভেবে নেন অষ্টমীকে কালকেই বাড়ি থেকে বের করে দেবেন তিনি। কিন্তু পরেরদিন সেই বিশেষ ধুপকাঠি বানিয়ে পুরুষোত্তমকে চমকে দেয় অষ্টমী। তাহলে কি এবার অষ্টমীকে তাড়ানোর জন্য কোন নতুন ফন্দি আঁটবেন পুরুষোত্তম?

Ruhi Roy

রুহি রায়, গণ মাধ্যম নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ। সাংবাদিকতার প্রতি টানে এই পেশায় আসা। বিনোদন ক্ষেত্রে লেখায় বিশেষ আগ্রহী। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।