Bangla Serial

মেয়েরা খেলার পুতুল নয়, বারংবার আত্মসম্মানে আঘাত করলে ক্ষমা পাওয়া যায়না! মেঘের প্রতিবাদী সত্ত্বায় মুগ্ধ নেটপাড়া!

বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে জি বাংলার (Zee Bangla) অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক হচ্ছে ‘ইচ্ছে পুতুল’। প্রথম থেকেই এই ধারাবাহিকটি দর্শকদের একাংশের কাছে জনপ্রিয় ছিল, কিন্তু সেইভাবে কোনদিন‌ই টিআরপি দিতে পারেনি এই ধারাবাহিকটি, কিন্তু বর্তমানে এই ধারাবাহিকটির গল্পের মোড় এমনভাবে ঘুরেছে যে মুগ্ধ দর্শকরা।

চমকপ্রদ কাহিনী। ও ভালো গল্প এই জন্যই ধারাবাহিকটি টিআরপি তালিকায় জায়গা করে নিচ্ছে। হু হু করে বাড়ছে জনপ্রিয়তা। বলাই বাহুল্য, এই ধারাবাহিকের নায়ক নায়িকা জুটির মধ্যে এখন একেবারেই মিল নেই । সৌজন্যে নায়িকার দিদি ময়ূরী। মেঘ এবং ময়ূরী দুই বোন। ময়ূরীর সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল কলেজের প্রফেসর সৌরনীলের।

আর ময়ূরীকে পছন্দ করত সৌরনীলের পরিবারের সবাই। তাকেই বাড়ির বউ হিসেবে চেয়েছিলেন তারা। কিন্তু বিয়ের মন্ডপে দাঁড়িয়ে ময়ূরীর অসুস্থতা, তার নোংরা মানসিকতার কথা জানতে পেরে তাকে বিয়ে না করে তার বোন মেঘকে বিয়ে করে সৌরনীল। বলাই বাহুল্য, সেই ঘটনার পর থেকেই আরও বেশি করে প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ওঠে ময়ূরী। সে বারবার নিজের ষড়যন্ত্রের শিকার করে মেঘকে।

শ্বশুরবাড়িতে বিশেষ করে তার শাশুড়ি, ননদরা পছন্দ করত না মেঘকে। সেই সুযোগটাই নেয় ময়ূরী। আর সেইজন্য মেঘকে অপদস্থ করার সুযোগটা আরও বেশি করে পেয়ে যায় ময়ূরী। একটা সময় এমন হয়েছিল যে মেঘকে যা শ্বশুরবাড়ি থেকে তাড়াতে পারলে বাঁচতেন তার পরিবারের সবাই।‌ তাকে প্রতিটা পদে অপমান, অপদস্থ করা হত। এমনকি পিছিয়ে ছিলনা মেঘের স্বামী সৌরনীল। নিজের স্ত্রীর চরিত্র নিয়ে সবার সামনে টানাটানি করতেও কিছু মনে হত না তার।

কিন্তু হঠাৎ করেই ময়ূরীর নোংরা চেহারা এবং তার মেঘকে ফাঁসানোর কথা সবার সামনে চলে আসায় হিপোক্রিটের দল সৌরনীল ও তার পরিবার আবারও মেঘকে বরণ করে ঘরে তুলতে যায়। কিন্তু এবার আর অন্যায় মুখ বুঝে মেনে নেয় নি মেঘ। প্রতিবাদী হয়ে সে সৌরনীল ও তার মা মীনাক্ষীকে উচিত জবাব দিয়েছে সে। মেয়েরা খেলার পুতুল নয়, বারংবার আত্মসম্মানে আঘাত করলে ক্ষমা পাওয়া যায়না এটা সে ভালো করে বুঝিয়ে দিয়েছে।

আর মেঘের এই প্রতিবাদী সত্ত্বাতেই মুগ্ধ দর্শকরা। অন্য নায়িকারা এতক্ষণে হয়ত স্বামী ফিরিয়ে নিয়ে যেতে এসেছে দেখে ফিরে যেত, বা মেলোড্রামা শুরু করত। কিন্তু সেখানেই ব্যতিক্রমী মেঘ! তার বলা প্রত্যেকটা কথা ভীষণ ভাবে বাস্তবধর্মী এবং উপযুক্ত।

Piya Chanda