জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক নীল ফুলের মধু (Neem Phooler Madhu) ধারাবাহিকে একের পর এক চমকের জন্য আবার টিআরপি তালিকায় তাদের দ্বিতীয় স্থান ফিরে পেয়েছে। ধারাবাহিকে ইতিমধ্যেই ধরা পড়েছে ঈশা। পর্ণা ভ্যালেন্টাইন্স ডেতে সকলের সামনে মুখোশ খুলে দিয়েছে তার। সকলে মিলে ঈশাকে তুলে দিয়েছে পুলিশের হাতে। তবে কথায় আছে পাপ কখনও চাপা থাকেনা। সেটাই হয়েছে মৌমিতা এবং অয়নের সঙ্গেও।
সকলের সামনে মৌমিতা এবং অয়ন যে ঈশাকে তার সমস্ত কুকর্মে সাহায্যে করত সবটাই সকলকে জানিয়ে দিয়েছে সৃজন আর পর্ণা। সেই কথা শুনে রেগে আগুন হয়ে যান জেঠু অর্থাৎ অখিলেশ দত্ত। রেস্টুরেন্ট থেকে বাড়ি ফিরে আসে অয়নকে বেধড়ক মারেন তিনি। তারপর তাকে বাড়ির থেকে চলে যেতে বলেন কিন্তু অয়ন তখনও বাড়ির সম্পত্তিতে তার ভাগের কথা বললে তিনি অয়নকে জুতো দিয়ে মেরে বাড়ির থেকে তাড়িয়ে দেন।
এমনকি অয়নের ছেলেও জানিয়ে দেয় যে সে দত্ত পরিবারের সকলের সঙ্গেই থাকতে চায় কারণ তার মা তাকে কাকিমার সঙ্গে মিশতে দেয়না। সেই কথা শুনে মৌমিতাও আর কিছুই বলতে পারেনা। বাধ্য হয়ে রাস্তায় ভিক্ষা করতে শুরু করে অয়ন এবং মৌমিতা। তবে এইভাবে দিন করছিল না তাদের। তেমন কিছুই উপার্জন করতে পারছিলেন না তারা। তখনই বোগা বলে একজন ভিকারি আসে তাদের কাছে। তিনি অয়ন এবং মৌমিতাকে বলেন এই চত্বরে ভিক্ষা করে টাকা রোজগার করা যায়না।
তবে তারা যদি চায় তার মালিক তাদের সাহায্য করতে পারে। তিনি তাঁকেও সাহায্য করেছেন যে কারণে এখন তার কাছে টাকা বাড়ি গাড়ি সব আছে। টাকা, বাড়ি, গাড়ির শুনেই বোগার কথায় রাজি হয়ে যায় অয়ন আর মৌমিতা। তারা তাকে জানিয়ে দেয় তারা কাজটা করবে। তাদের তার মালিকের কাছে নিয়ে যেতে। তারপর বোগা অয়ন এবং মৌমিতাকে নিয়ে যায় তার মালিক ঋণু বলে একজন লোকের কাছে। তিনি অয়ন এবং মৌমিতাকে বলেন ভিখারিদের পাচার করতে হবে।
সেই কথা শুনে ঘাবড়ে যায় মৌমিতা এবং বলে যে সে এই কাজ করবে না পড়ে যদি পুলিশ কেস হয়। তখন অয়ন বলে কিছু হবে না এটাই তাদের কাছে একমাত্র রাস্তা টাকা উপার্জনের। তখন মৌমিতাও রাজি হয়ে যায় অয়নের কথায়। সেও ভাবে ভিকারীদের খোঁজ কে করবে। ওদিকে পর্ণাকেও তার সংবাদপত্র থেকে দায়িত্ব দেয় ভিখারী পাচার কাণ্ডের আসল অপরাধীকে খুঁজতে। ভিখারিদের রাত্রে খাওয়ারের লোভ দেখিয়ে মৌমিতা রাত্রে তাদের নিয়ে আসে বর্ডারের জায়গায়
কিন্তু তাদের পাচার করার আগেই তাদের ধরে ফেলে পর্ণা। আসল পাচারকারী কারা জানার জন্য তাদের মুখ দেখতেই পর্ণা জেনে যায় এরা অয়ন এবং মৌমিতা। কিন্তু তারা পর্ণাকে ধাক্কা মেয়ে চলে যেতে চাইলে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ এবং নিয়ে যায় থানায় আর পর্ণা ভাবতে থাকে কি করে তাদের বাঁচাবে।