জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ইচ্ছে পুতুল (Icche Putul) মাঝখানে ধারাবাহিকের টিআরপি কমে গেলেও সম্পুর্ণভাবে জনপ্রিয়তা হারায়নি ধারাবাহিকটি। ধারাবাহিকে মেঘ এবং নীলের বিয়ের সময় তারা একে অপরকে দেখে চমকে যায়। প্রথমে মেঘ নীলকে বিয়ে করতে মানা করে দিলেও পরে নীল তাকে ভালোবেসে হাঁটু মুড়ে বিয়ের প্রস্তাব দিলে সে আর মানা করতে পারে না তাকে। বিয়েতে মত দিয়ে দেয় মেঘ। ওদিকে মেঘ বিয়ে করছে দেখে হিংসায় জ্বলতে থাকে ময়ূরী।
রূপের থেকে বন্দুক নিয়ে আসে ময়ূরী। তারপর সেই বন্দুক নিয়ে মেঘকে গুলি করার জন্য বিয়ের ওখানে যেতেই সে দেখেতে পায়। ময়ূরী দেখে মেঘের সঙ্গে নীলের বিয়ে হচ্ছে। সেটা দেখে আরও রেগে যায় ময়ূরী। ময়ূরী তারপর ব্যাগ থেকে বন্দুক বার করে গুলি করে মেঘকে। গুলিটা মেঘের গায়ে না লাগলেও গুলির আওয়াজ অজ্ঞান হয়ে যায় মেঘ। কিন্তু মধুমিতা দেখে নেয় মেঘকে গুলি করতে এবং তাকে পুলিশে ধরিয়ে দেয়।
মেঘের বিয়ে মিটে গেলে অনিন্দ্য বাবু যায় ময়ূরীর সঙ্গে দেখা করতে। ময়ূরীকে তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ময়ূরী তার কথায় কোনও পাত্তা দেয়না। উল্টে অনিন্দ্য বাবুকে বলে তাকে ছাড়ানোর ব্যবস্থা করতে। তখন তার কথার কোনও উত্তর না দিয়ে চলে আসে অনিন্দ্য বাবু। তারপর তিনি যোগাযোগ করেন উকিলের সঙ্গে কিন্তু উকিল তাকে জানিয়ে দেয় কোর্ট অব্দি না যাওয়া পর্যন্ত তাদের কোনও সাহায্য করতে পারবেন না তিনি। অনিন্দ্য বাবু বাড়ি এসে সবটা জানান মধুমিতাকে।
মধুমিতা তাকে বলে দেয় ময়ূরীকে না ছাড়াতে কারণ সে অনেক ভুল করেছে। আর ময়ূরী জেলে থাকলেই মেঘ সুস্থ থাকবে। সেটা শুনে অনিন্দ্য বাবুও খানিকটা দুঃখ পান। ময়ূরীকে পুলিশ জেরা করে এবং সব সত্যি বলার জন্য জোর দেয়। কিন্তু মুখ খোলে না ময়ূরী। আর ব্যবহারে অতিষ্ট হয়ে তাকে অন্য জেলে পাঠিয়ে দেন তারা। সেই জেলেরই একজন কয়েদি মোহিনী। তাকে সকলেই ভয় পায় জেলে। কিন্তু ময়ূরী সেখানে আসার পরই ঝামেলায় জড়িয়ে যায় মোহিনীর সঙ্গে।
তারপর তাদের ঝামেলা হাতাহাতির রূপ নেয় এবং জেলার এসে তাদের থামায়। তখন ময়ূরী মনে মনে ভাবে “আমি এদের সকলের সঙ্গে ঝামেলা করে নিজেকে মানসিক রোগী প্রমাণ করবো। তারপর জেল থেকে আমায় হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখান থেকে পালিয়ে যাব আমি। মেঘ তোর কাল ফুলসজ্জা কালকের দিনটা ভালো করে কাটিয়ে নে, তারপর তোর সুখের দিন শেষ। বাপি আর মা তোদেরও আমি ছাড়ব না তোমরা সবসময় মেঘ মেঘ করেছ, এবার তোমাদেরও শাস্তি দেব আমি। এবার আমি লুকিয়ে সবার ক্ষতি করব।” তবে কি সত্যি এবার কোনও বড় ক্ষতি করিয়ে দেবে মেঘের?