জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক নিম ফুলের মধুতে (Neem Phooler Madhu) এসেছে নতুন চমক। অয়ন যে সৃজনের লটারির টিকিট চুরি করেছে সেটা ধরে ফেলে সৃজন আর পর্ণা। অয়নের মুখ থেকে সমস্ত কথা বের করে সেটা ভিডিও করে রাখলেও একজন বাইক চালকের কারণে ফোন ভেঙে যায় পর্ণার। ফোনটা নিয়ে দোকানে যাওয়ার পর দোকানদার বলে ফোনটা একেবারে ভেঙে গেছে। সেটা ঠিক করতে যে পার্স লাগে সেটা তার কাছে নেই তাই তাকে সেটা চাঁদনী মার্কেট থেকে আনতে হবে সবটা করতে প্রায় ১০-১৫ দিন লাগবে।
সেটা শুনে পর্ণা বলে তার কাছে এত সময় নেই। তাই যা করতে হবে তাকে তাড়াতাড়ি করতে হবে। তখন দোকানদার বলে কিছু করা নেই আদৌ ঠিক হবে কিনা সেটা নিশ্চিত নয়, তবে তারা চেষ্টা করবে। তখন এইসব শুনে খুব ভেঙে পরে পর্ণা। সে ভাবতে থাকে এখন কি করবে সে অয়নকে শাস্তি দেওয়ার জন্য। তখন সৃজন তাকে বলে শান্ত হতে এই পরিস্থিতে এত চিন্তা করা ঠিক নয়। তখন বাড়ি ফিরে আসে তারা সকলে। কিন্তু বাড়িতে আসতেই পর্ণার ওপর চড়াও হয় কৃষ্ণা। সে পর্ণাকে বলতে শুরু করে কেন সে আসতে এত দেরি করল কেন?
তিনি এও বলেন তাই তিনি পর্ণাকে ওখানে রেখে আসতে চাননি। কারণ পর্ণা আবার নাচানাচি শুরু করবে কিন্তু তখন সৃজন বলে পর্ণা নাচানাচি করছিল না পর্ণার ফোন ভেঙে গেছিল তাই তারা সেটা ঠিক করতে গেছিলেন। তখন সৃজনের বাবা জিজ্ঞাসা করে হটাৎ কি হয়েছিল যে পর্ণার ফোন ভেঙে গেল। সৃজন সবটা বলতেই যাচ্ছিল কিন্তু পর্ণা তাকে আটকে দেয়। তখনই তাদের পিসি, আত্মীয় স্বজন সবাই চলে যায় সেখানে। আসেই তারা কান্নাকাটি করতে করতে জেঠিকে বলে তিনি এখনও সিঁদুর মোছেন নি কেন?
সেটা শুনেই অবাক হয়ে যান জেঠি। তিনি বলেন তিনি সিঁদুর মুছবেন কেন, কার স্বামী ঠিক আছে কিন্তু সকলে ভাবে জেঠি হয়তো শোকে এরকম বলছেন। তখনই সেখানে চলে আসেন অখিলেশ দত্ত। তাকে দেখেই একজন অজ্ঞান গিয়ে যায়। সেইসব দেখে কিছু বুঝতে পারেননা তিনি। তখন একজন তাকে বলে তিনি বেঁচে আছেন। সেই কথা শুনে অখিলেশ দত্ত বলেন তার কিছু হয়নি এসব কে বলেছে তাকে। তখন তারা বলেন তাদের বাড়ি গিয়ে অয়ন এরকম বলেছে। তখনই ভেঙে পড়েন অখিলেশ দত্ত আর জেঠি। জেঠি বলেন কিরকম বিষের আমি জন্ম দিয়েছি।
তখনই সেখানে চলে আসে অয়ন কীর্তনের দল নিয়ে। তাকে দেখে অবাক হয়ে যায় সকলে। একেবারে বাবা মারে গেলে যেরকম সবাই পোশাক পড়ে, নেড়াঁ হয় সেরকমই হয়েছে অয়ন। পর্ণা তাকে বলি এইসব বন্ধ করতে কিন্তু সে আরও জোড়ে বাজাতে শুরু করে কীর্তন। এমনকি শ্রাদ্ধের মেনুও বলে সকলকে। সেটা শুনে তাকে মারতে যায় সৃজন কিন্তু অয়নের গুন্ডাদের সঙ্গে পেরে ওঠেনা সে। তখন পর্ণা বলে যেরকম ভাবে তাদের এইবাড়িতে সে এনেছে সেইভাবেই সে তাদের এইবাড়ি থেকে বের করবে। তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবে।
আরো পড়ুন: “যা পাখি উড়তে দিলাম তোকে, তুই ভালো থাক আমায় ভালো থাকতে দে!” সম্পর্ক নিয়ে অকপট পর্দার বিপাশা স্নেহা দে!
কিন্তু তার কথায় পাত্তা না দিয়েই চলে যায় অয়ন। শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে অখিলেশ দত্তর। পর্ণা তাকে জল দিতে গেলে তিনি বলেন বিষ এনে দিয়ে। তখন পর্ণা তাকে বলে তাকে লড়তে হবে। অখিলেশ দত্ত বলেন তিনি চান অয়নকে জুতোর বারি মারতে। তখন পর্ণা তাকে কথা দেয় যে সে দুদিনের মধ্যেই তার এই ইচ্ছে পূরণ করবে। তখন কৃষ্ণা মনে মনে ভাবে এইবার খেয়াল আছে নিজের সন্তানবাদে। সে পর্ণাকে চোখে চোখে রাখবে। তাহলে কি মনে হয় আপনাদের এবার কি করবে পর্ণা?