মৌরলা বা কাচকির মতো ছোট মাছ বাড়িতে এলে বাড়ির গিন্নি সাধারণত চচ্চড়ি, ঝাল বা টক রেঁধে ফেলেন। তবে ভরা নিম্নচাপের দিনে মুখরোচক কিছু খেতে ইচ্ছে তা হলে বানিয়ে ফেলতে পারেন ওপারের বিশেষ একটি পদ ‘মরিচ খোলা’। ছোট মাছ দিয়ে সাধারণত মরিচ খোলা রাঁধা হয়। তবে চিংড়ি, ট্যাংরা, পাবদা, আমোদি বা রুই-কাতলার চারা মাছ দিয়ে এই পদ রাঁধলেও খেতে মন্দ লাগে না। দেখতে অনেকটা মাছের চচ্চড়ির মতো হলেও, মরিচ খোলা কিন্তু একেবারে আলাদা। আজ রইল কম সময়ে মরিচ খোলা রাঁধার প্রণালী।
উপকরণ –
৫০০ গ্রাম কাচকি বা মৌরলা মাছ, ১ কাপ পেঁয়াজ কুচি, আধ কাপ পেঁয়াজ বাটা, ২ টেবিল চামচ রসুন বাটা, আধ কাপ টম্যাটো কুচি, ১ টেবিল চামচ শুকনো লঙ্কা বাটা, ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, ২-৩টি কাঁচালঙ্কা, পরিমাণ মতো নুন, ২ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি, সর্ষের তেল আধ কাপ, ১টি কলাপাতার টুকরো।
প্রণালী –
প্রথমে মাছগুলি ভাল করে ধুয়ে নুন, হলুদ মাখিয়ে রাখুন। বড় একটি পাত্রে প্রথমে পেঁয়াজ কুচি, পেঁয়াজ বাটা, রসুন বাটা, লঙ্কা বাটা, গুঁড়ো হলুদ, নুন ও সর্ষের তেল, টম্যাটো কুচি, ধনেপাতা কুচি এবং চুনোমাছ ভাল করে হাত দিয়ে মেখে নিন। এবার কলাপাতায় সেই মিশ্রণ রেখে চার ধার ভাল করে মুড়িয়ে নিন। চাইলে সুতো দিয়ে বেঁধে নিতে পারেন। না হলে টুথপিক দিয়েও চারদিক মুড়িয়ে নেওয়া যায়।
আরও পড়ুনঃ কাতলার একঘেয়ে পদ ভাল লাগছে না? স্বাদ বদলে আনারস দিয়ে বানিয়ে ফেলুন নয়া পদ
এবার গ্যাসে কড়াই বা চাটু গরম করে তার উপর অল্প তেল ব্রাশ করে নিন। তারপর কলাপাতায় মোড়ানো মাছগুলি বসিয়ে দিন। খেয়াল রাখবেন আঁচ যেন একেবারে কম না থাকে। এরপর উপরে ঢাকা দিয়ে নিন। কলাপাতার বদলে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলও ব্যবহার করা যেতে পারে। তারপর ঘড়ি ধরে আধঘণ্টা রেখে দিন। চাইলে কলাপাতা মোড়া মাছগুলো উল্টে দিতে পারেন। মিনিট তিনেক রেখে নামিয়ে নিন। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন মরিচ খোলা।