জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

বসুন্ধরাকে নিয়ে টানাপোড়েনে বিপাশা! সতীনের সন্তানের কথা ভেবে কঠিন সিদ্ধান্ত নিল সে!

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Kotha) ধারাবাহিকে ইতিমধ্যেই স্কুলে জয়েন্ট করেছে শিমুল। প্রথমদিন ক্লাস নিতে গিয়ে শিমুল(Shimul) সকলকে জানান “আমি তাদের নতুন শিক্ষিকা। পরাগ ব্যানার্জী অসুস্থ, তিনি এখন অনেকদিন হাঁটা চলা করতে পারবেন না। তার শরীরের পরিস্থিতিও বিশেষ ভালো নয়। তাই তার জায়গায় আমি, তার স্ত্রী এসেছি তোমাদের ক্লাসের নতুন শিক্ষিকা হয়ে। তোমরা সবাই বড় আশা করি তোমরা আমার কথাটা বুঝেছো।”

তখনই শিমুল তাদের বলে রবীন্দ্রনাথ নিয়ে কয়েকটা লাইন বলতে। তখনই কিছু ছেলে বলতে থাকে “রবীন্দ্রনাথ রান্না করতেন, রবীন্দ্রনাথ ঘর গোছাতে। এটা ওটা। কথাটা শুনে খানিকটা বিরক্ত হয় শিমুল। শিমুল তাদের পরিষ্কারভাবে বলে দেয় তারা যতই দুষ্টুমি করুক শিমুল তাদের ক্লাস করাবেন। এটা শুনে একটা ছেলে বলে সে শিমুলের ক্লাস করতে চায়না। তখন শিমুল বোর্ডে কিছু একটা লিখতে গেলে একটি ছেলে আসে তার চেয়ারটা টেনে নিয়ে নেয় এবং শিমুল সেখানে বসতে গেলে মাটিতে পরে যায়।

তাদের এইরকম ব্যবহারে দেখে, শিমুল তাদের জিজ্ঞাসা করে তারা যদি পড়াশোনা করতে না চায় তাহলে শিমুল প্রধান শিক্ষকে গিয়ে সবটা বলবে এবং তিনি যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই হবে। এটা শুনে একটা ছেলে বলে “আপনি কি সত্যি এডুকে বলে আমাদের কেস খাইয়ে দেবেন।” তখন শিমুল বলে “কি বললে এসব এডু! যদি তোমার বাড়ির লোকেও কেউ এইভাবে বলত তাহলে তোমাদের ভালো লাগতো তো। তোমাদের বাবা মা কত কষ্ট করে তোমাদের পড়ান আর তোমরা তার এই প্রতিদান দিচ্ছ।”

শিমুলের কথা শুনে ছেলেটি নিজের ভুল বুঝতে পারে এবং বলে আর কেউ ক্লাস না করলেও সে করবে। তখন শিমুল বলে একজনকে নিয়ে ক্লাস হয়নি। সে স্যারকে সবটা বলছে। তখন বাকি ছাত্ররাও বলে তারা সবাই ক্লাস করবে। এটা শুনে খুব খুশি হয় শিমুল এবং ছাত্রদের ক্লাস করাতে শুরু করে। ওদিকে বিপাশার ঘরে গিয়ে চন্দনকে ছড়িয়ে নিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করতে থাকে চন্দনের মা। কিন্তু বিপাশা তাকে পরিষ্কার জানিয়ে দেয় সে কিছুতেই চন্দনকে ছাড়াবে না।

আরো পড়ুন: অসুস্থ সন্তানকে ফেলে বান্ধবীদের সঙ্গে পার্টি করতে মত্ত পৃথা! হাতেনাতে পাকড়াও করে হুমকি দিল দীপা

তখনই বসুন্ধরাকে(Bashundhara) মারতে মারতে বিপাশার(Bipasha) ঘরে চলে আসে মধুরিমা(Madhurima)। বসুন্ধরাকে এই অবস্থায় দেখে বিপাশা মধুরিমাকে জিজ্ঞাসা করে সে কেন বসুন্ধরাকে মারছে। তখন বসুন্ধরা বিপাশাকে বলে তার মা বদলে গেছে আগে মতো আর তাকে ভালবাসে না। বিপাশা তখন বসুন্ধরাকে বলে বাচ্চাদের মারতে নেই। তখন বসুন্ধরা বিপাশাকে বলে এই বাড়ি থেকে চলে যেতে। কিন্তু তাকে পরিষ্কার বারণ করে দেয় বিপাশা। তখন বসুন্ধরাকে দেখে বিপাশাকে ভাবে “এই বাচ্চা মেয়েটার তো কোন দোষ নেই কিন্তু এই সব কিছুতেই ওকে কষ্ট পেতে হচ্ছে।” তাহলে কি এবার বসুন্ধরার কথা ভেবেই চন্দনকে ছড়িয়ে আনবে বিপাশা।

Ruhi Roy

রুহি রায়, গণ মাধ্যম নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ। সাংবাদিকতার প্রতি টানে এই পেশায় আসা। বিনোদন ক্ষেত্রে লেখায় বিশেষ আগ্রহী। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।