জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

আসল অপরাধী ধরতে পরীক্ষা হবে হাতের ছাপ! বিপাশার উপস্থিত বুদ্ধির জোরে বিপাকে পরাগ-প্রিয়াঙ্কারা

দর্শকদের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা সৃষ্টিকারী ধারাবাহিকের নাম অবশ্যই কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kachhe Koi Moner Kotha)। টিআরপি তালিকার প্রথম পাঁচ থেকে সরে গেলেও এই ধারাবাহিকের উত্তেজনায় কোন‌ও খামতি আসেনি। এই মুহূর্তে জমজমাট এই ধারাবাহিকটি। বলাই বাহুল্য, এই মুহূর্তে এই ধারাবাহিকটি দর্শকদের মন জিতে নিয়ে তরতরিয়ে ছুটে চলেছে।

বর্তমানে কিছুটা একঘেয়ে এই ধারাবাহিকের গল্প। আর এই একঘেয়েমির কারণে এই ধারাবাহিক দেখা থেকে দর্শকরা মুখ ফিরিয়েছেন। আর যে কারণে প্রথম পাঁচের তালিকা থেকে সরে গেছে কার কাছে ওই মনের কথা। যদিও আগামী দিনে চমকপ্রদ গল্প এনে আবার‌ও টিআরপি কাঁপিয়ে দিয়ে যেতে পারে এই ধারাবাহিকটি।

এই ধারাবাহিকে একঘেয়ে পরাগ-পলাশদের শয়তানি দেখানো হচ্ছে। বারবার ভয়ানক সব ষড়যন্ত্র করে জিতে যাচ্ছে পরাগ, পলাশ, প্রতীক্ষার মতো শত্রুরা। বারবার হারছে শিমুল।‌ আর তাই দর্শকরা চাইছেন এবার তাদের শাস্তি হোক। গল্পে তীব্র রকমের পরিবর্তন আনা হোক।দর্শকদের দাবি তুলেছেন এদের মত ভিলেন গুলোর যেন দারুন রকমের শাস্তি হয়।

আর এবার হয়ত সেটাই হতে চলেছে। এই ধারাবাহিকের সাম্প্রতিক পর্বে আমরা দেখেছি নিজের ছাত্রী প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে মিলে শিমুলের বিরুদ্ধে নতুন ষড়যন্ত্র করেছে পরাগ।প্রতীক্ষা ষড়যন্ত্র করে বিয়ে করে বাড়িতে আসার পর শিমুলকে তার গয়নাগুলো তুলে রাখতে বললে শিমুল ইতস্তত বোধ করে। কিন্তু তাকে জোর করে প্রতীক্ষা। আর এরপরই আশীর্বাদের সময় পরাগের সাহায্যে প্রিয়াঙ্কা চুপিসারে গিয়ে গয়না সরিয়ে দেয়। আর সেই গয়না ঢুকিয়ে দেয় শতদ্রুর ব্যাগে।

গয়না পাওয়া না যাওয়ায় পরাগ পুলিশ ডাকে। এরপর পুলিশ সব জায়গা ভালো করে খোঁজার পর শতদ্রুর ব্যাগ তল্লাশি করে। আর সেই ব্যাগের ভেতর থেকেই বেরিয়ে আসে সোনার পুঁটলি। যথারীতি পরাগরা মুখিয়েই ছিল। সমস্বরে তারা দাবি তোলে শিমুলের সহযোগিতাতেই শতদ্রু এই গয়নাগুলো ব্যাগে ভরেছে। এরপরই পরাগ জানিয়ে দেয় শিমুলের আর এই বাড়িতে থাকা চলবেনা। শিমুলের শাশুড়িও বিশ্বাস করে এই গর্হিত কাজ করেছে। ‌

কিন্তু মানতে নারাজ শিমুলের বন্ধুরা। তারা বলে শিমুল অবশ্যই এই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাবে কিন্তু মাথা নিচু করে নয় বরং মাথা উঁচু করে। আর তাই কে আসল অপরাধী সেটা আগে খুঁজে বার করা দরকার। এমনিতেই তুখোড় বুদ্ধির অধিকারী বিপাশা। আর তাই সবার সামনে সে প্রস্তাব দেয় হাতের ছাপ পরীক্ষা করা হবে আলমারির চাবির। সেখানে শিমুল ছাড়া অন্য যার হাতের ছাপ পাওয়া যাবে সেই হবে অপরাধী। আর বিপাশার এই প্রস্তাবে সম্মতি দেয় সবাই। শুধু ভয় পেয়ে যায় পরাগ, পলাশ, প্রতীক্ষা, প্রিয়াঙ্কারা। কি হবে এবার?

Joyee Chowdhury

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ-এ স্নাতকোত্তর। বিনোদন ও সংস্কৃতি বিভাগই মূল ক্ষেত্র। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।