বিরিয়ানির (Biriyani) নাম শুনলেই জিভে জল আসে সবার। এই মুঘল খানা বছরের পর বছর ধরে বাঙালির প্রিয় হয়ে এসেছে। বিরাট বড় হাঁড়িতে বিক্রি হওয়া লাল শালুর কাপড়ে মোড়া বিরিয়ানি পাতে পড়লে মন খুশি হবেই। আর এবার নাকি সেই বিরিয়ানি দিয়ে তৈরি হচ্ছে আস্ত একটা কেক! ভাবতে খুব অবাক লাগছে নিশ্চয়ই? এই বিরিয়ানি কেক (Biriyani Cake) কিন্তু বিক্রি হচ্ছে দেদার।
বিরিয়ানি দিয়ে তৈরি হচ্ছে আস্ত একটা কেক!
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। আর উৎসব মানেই খাওয়া দাওয়া মাস্ট। আর কিছুদিন পর সামনেই আসছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। আর দুর্গাপুজোয় বিরিয়ানির দোকানে লাইন তো পড়বেই। কিন্তু অনেক তো হল একভাবে বিরিয়ানি খাওয়া, এবার একটু অন্যভাবে তা চেখে দেখবেন নাকি? কারণ বিরিয়ানির কেক এসেছে বাজারে।
পশ্চিমী সংস্কৃতিকে যখন থেকে আমরা আপন করে নিয়েছি, তখন থেকেই কেক কিন্তু আমাদের প্রায় সকল অনুষ্ঠানেই উঁকি ঝুঁকি মারে। আর তাই কেকের বিভিন্ন ফ্লেভার, বিভিন্ন ভ্যারাইটি বিক্রি হয় বাজারে। তবে এতদিন কেকের মধ্যে বিভিন্ন ধরন নজরে পড়লেও বিরিয়ানির কেক এর আগে কেউ দেখেননি। কিন্তু এবার পুজোর আগে তাই হাজির বাজারে। বিরিয়ানি দিয়ে তৈরি হচ্ছে কেক।
সম্প্রতি এক ফুড ব্লগারের হাত ধরে সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও। যে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিরিয়ানি দিয়ে তৈরি হচ্ছে কেক। উপকরণে কোন কমতি নেই! রয়েছে মটন, চিকেন, চিকেনের চপ, চিলি চিকেন স্যালাড আরও কত কি! উজ্জ্বল দার বিখ্যাত দোকানে বিক্রি হচ্ছে এই কেক। বেশ সাজিয়ে গুছিয়ে পরিবেশন করছেন বিক্রেতা।
যদিও এই বিরিয়ানি কেক দেখে ক্রেতাদের সন্তুষ্ট হয়নি মন। কমেন্ট সেকশনে অনেকে লিখেছেন, “এটা যেন একটা জগা খিচুড়ি”! আবার কারোর কারোর কথায়, “বিরিয়ানি এমনিতেই ভালো লাগে, আর কেক এমনিতে ভালো, তাই বিরিয়ানির কেক মোটেই ভালো লাগবে না।” অনেকের কথায়, “সব মিশিয়ে একটা খিচুড়ি হয়েছে।” তবে অবশ্যই কিছু পজিটিভ উত্তরও রয়েছে। যেখানে অনেকে বলছেন “বিরিয়ানির কেক ইউনিক। নিশ্চয়ই ভালো হবে।”