জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ফুলকি’ (Phulki)। সম্প্রতি ধারাবাহিকে দেখা যায়, রুদ্র(Rudra) যে লাবুর উপর নিত্য অত্যাচার করে, সেটা জেনে গিয়েছে ফুলকি ও রোহিত। দোল শুভেচ্ছা দিনে যখন সবাই আনন্দে মাতোয়ারা, ঠিক সেই সময় সকলে অনুরোধ করে লাবুও(Labu) যেন একটা গান ধরে। লাবু গান গাইতে এলে রুদ্র এসে দাঁড়ায় লাবুর সামনে। ঠিক সেই সময় রোহিত(Rohit) রুদ্র কে সে বলে, তোর এত বড় সাহস তুই আমার দিদির উপর হাত তুলিস, এর শাস্তি তোকে পেতেই হবে।
রোহিত এবার বাড়ির সবার সামনে জানিয়ে দেয়, রুদ্র কীভাবে দিনের পর দিন লাবকে অত্যাচার করেছে। রোহিতের কথা শুনে তাজ্জব হয়ে যান জেঠিমনি হৈমন্তী। রুদ্রকে তিনি ছেলের মত দেখতেন। সেই রুদ্রই কিনা তার মেয়ের ওপর নিত্য অত্যাচার করে এসেছে! পরিস্থিতি গোলমাল দেখে হঠাৎ ভোল বদলে ফেলে রুদ্র। রুদ্র তখন রোহিত কে বলে, হ্যাঁ রোহিত তুমি আমায় মারো। তাহলে যদি আমার পাপ কিছুটা কমে!
রুদ্রর এই কথা শুনে অবাক হয়ে যায় সবাই। ঠিক সেই সময় শালিনী এসে দাঁড়ায়, আর বলে রোহিত তুমি ওদের স্বামী, স্ত্রীর মধ্যে কথা বলো না। এটা ওদের ব্যক্তিগত ব্যাপার ওরা নিজেরা ঠিক বুঝে নেবে। তখন রোহিতের মা বলে যে, লাবু তুই আর ওই বাড়িতে যাবি না। এটা তো নিজের বাড়ি, তুই এখন থেকে এখানেই থাকবি। মায়ের সঙ্গে রোহিতও বলে হ্যাঁ দিদিভাই তুই এখন থেকে এই বাড়িতেই থাকবি।
তখন হৈমন্তী এগিয়ে এসে বলে লাবু কোথায় থাকবে আর না থাকবে সেই সিদ্ধান্ত লাবু নিজে নেবে। হৈমন্তের কথা শুনে মাস্টারমশাই বলেন, তুমি কি চাইছো হৈমন্তী আমার মেয়েটা ওই বাড়িতে থেকে অত্যাচারিত হয়ে মরে যাক? তখন হৈমন্তী বলে একটা সম্পর্ক গড়ে তোলা অনেক কঠিন। কিন্তু ভেঙে দেওয়া কয়েক মুহূর্তের ব্যাপার। তাই লাবু ওই বাড়িতে যাবে কি যাবে না, তার জন্য সিদ্ধান্ত নেবে লাবু নিজে।
আরো পড়ুন:ষড়যন্ত্রের শিকার জগদ্ধাত্রী! ফের তাকে প্রাণে মা’রা’র পরিকল্পনায় শামিল পরিবারের লোকেরাই! পারবে কী সে বাঁচতে?
এমন সময় নাটক করে রুদ্র বলে, আমি বুঝতে পারছি আমাকে সবাই বলেছিল মাথার ডাক্তার দেখাতে, আমি চিকিৎসা করাইনি আমার মাথাটা বোধহয় একেবারেই খারাপ হয়ে গেছে! এসব শুনে অবাক হয়ে যায় বাড়ির সবাই। ফুলকি তখন মনে মনে ঠিক করে, লাবুকে সে কিছুতেই ও বাড়িতে যেতে দেবে না। লাবু যদি ও বাড়িতে যায় আবারও তাঁর ওপর অত্যাচার করবে রুদ্র।