ইউপিএসসি (UPSC), ভারতের সবচেয়ে কঠিন একটি পরীক্ষা। সারা ভারত জুড়ে প্রায় লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রী প্রস্তুতি নেয় এই পরীক্ষাটির জন্য। ইউপিএসসি পাশ করার জন্য লাগে কঠোর অধ্যাবসায়, অদম্য ইচ্ছাশক্তি, লড়াকু মনোভাব এবং অক্লান্ত পরিশ্রম। অনেকেই আছে যারা হয়তো স্বপ্ন দেখেছেন আইএএস হওয়ার। কিন্তু নানা কারণেই পিছিয়ে আসতে হয়েছে তাদের। তবে এমনও অনেকেই আছেন যারা জীবনের নানা সমস্যা, বাধা, বিপত্তিকে পার করে পূরণ করেছেন তাদের স্বপ্ন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এরকম কাহিনী বারবার অনুপ্রাণিত করেছে লক্ষ লক্ষ পড়ুয়াদের। এরকমই একটি কাহিনী থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে ব্লুজ প্রযোজনা সংস্থার প্রযোজক স্নেহাশিষ চক্রবর্তী জি বাংলার নিয়ে এসেছেন তাদের ধারাবাহিক যোগমায়া। প্রযোজক জানিয়েছেন একদিন সংবাদপত্রে এরকম একটি কাহিনী দেখেন তিনি। সেখান থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি তৈরি করেন যোগমায়া। একটি সাধারণ রিক্সাচালিকার আইএএস হয়ে ওঠার লড়াকু গল্প।
এছাড়াও সম্প্রতি একজন অটোচালকের ছেলের আইএএস হয়ে ওঠার গল্প খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেরকম একটি বাস্তব কাহিনী আজ আপনাদের জানাবো আমরা। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও। সেখানেই একটি জোম্যাটো ডেলিভারি বয়কে রাস্তায় ট্রাফিকের ভিড়ে আটকে থাকা অবস্থায় ইউপিএসসি পাঠ নিতে দেখা গেছে (Zomato Delivery Boy Aims IAS preparing for UPSC)। ভিডিওটি শেয়ার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মুহূর্তের মধ্যেই হয়েছে ভাইরাল। নেটিজেনদের ছেলেটির উদ্দেশ্যে জানিয়েছেন “কঠোর পরিশ্রমের ফল সময়ের জন্য সীমাহীন।”
After Watching this video, I Don’t Think you Have any Other Motivation to Study Hard#UPSC #Motivation pic.twitter.com/BPykMKBsua
— Ayussh Sanghi (@ayusshsanghi) March 29, 2024
আরো পড়ুন: রুদ্রকে নাটকে ভুলে লাবুর জীবনে বিপদ ডেকে আনল হৈমন্তী! রুদ্রকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা ফুলকির! আসছে ধুমতানানা পর্ব
ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওটি দেখেছে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ। শেয়ার, লাইক এবং কমেন্টের ঝড় উঠেছে সারা সোশ্যাল মিডিয়ায় জুড়ে। অনেকেই তাকে আখ্যান দিয়েছেন “অনুপ্রেরণা” বলে। অনেকেই আবার লিখেছেন “জীবন অনেককেই নানা পরিস্থিতির মুখে ফেলে। কিন্তু নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য আপনার অদম্য পরিশ্রম এবং ইচ্ছেকে আমি সেলুট করি।” অনেকেই আবার বর্তমান সমাজের পড়ুয়াদের উদ্দেশ্যে বলেছেন “এই ভিডিওটি দেখার পর আমার মনে হয়নি আপনাদের আর কোন অনুপ্রেরণার দরকার আছে।” অনেকেই আবার সেই ডেলিভারি বয়কে তার ভবিষ্যতের জন্য জানিয়েছেন আগাম শুভেচ্ছা। জোম্যাটো ডেলিভারি বয়ের (Zomato Delivery Boy) পড়াশোনার প্রতি এই আগ্রহকে আমরা জানাই কুর্নিশ।