জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Kotha) ধারাবাহিকটি গীতা LLB সঙ্গে টক্কর দিতে না পারায় পরিবর্তন হতে চলেছে ধারাবাহিকের স্লট। সন্ধ্যে সাড়ে ৬টার বদলে এবার ধারাবাহিকটি আসতে চলছে রাত দশটায়। তাই এবার ধারাবাহিকের কাহিনীতেও এসেছে আমূল পরির্বতন। আসছে এক বিরাট চমক। একদিকে শিমুলের জীবনে ফিরে এসেছে বসন্ত। পরাগের সঙ্গে রেজিস্ট্রি করে শিমুল আবার করেছে বিয়ে।
আবার ওপরদিকে বিপাশার জীবন থেকে হারিয়ে গেছে বসন্তের সমস্ত রঙ। ইতিমধ্যেই আপনারা দেখেছেন চন্দনের সমস্ত সত্যি চলে এসেছে বিপাশার সামনে। যদিও বিপাশার সামনে সমস্ত সত্যি আসার পরও সবটা স্বীকার করতে নারাজ চন্দন। সে বারবার বিপাশাকে বলতে থাকে সে কিছুই করেনি। সে বিপাশাকে ভালোবাসে। শিমুল, সুচরিতা তাকে ভুল বুঝিয়ে তাদের সম্পর্ক নষ্ট করছে। তবে চন্দনের কথা শোনেনি বিপাশা।
প্রথমে বিপাশা জানিয়ে দেয় সে ওই বাড়িতে আর থাকবে না। কিন্তু পরে যখন মধুরিমা আর তার মেয়েকে চন্দন বাড়ি নিয়ে আসে তখন শিমুল বিপাশাকে বলে ওই বাড়িতেই ফিরে যেতে, কারণ ওই বাড়িতে থাকাটা তার অধিকার। কিন্তু ওই বাড়িতে ফিরে যাওয়ার পরই চন্দন বিপাশাকে বলে তাকে ডিভোর্স দিয়ে দিতে, তাহলে চন্দন মধুরিমার সঙ্গে রেজিস্ট্রি করে নেবে। আর তার পরিবর্তে বিপাশাকে অনেক টাকা দেবে চন্দন। কিন্তু বিপাশা তাতে একদমই রাজি হয়নি। নিজের আত্মসম্মান ক্ষুণ্ন করে শুধু অর্থের বিনিময়ে এরকম একজন অপরাধীকে এই তাড়াতাড়ি নিষ্কৃতি দেবে না সে।
সেটা শুনেই আরও রেগে যায় চন্দন। সে বিপাশা খুনের হুমকি দেয়। তাহলে কি মনে হয় আপনাদের কি করা উচিত বিপাশার চন্দনের মতো একজন অত্যন্ত খারাপ মানুষকে যে নিজের স্ত্রীকে এইভাবে দিনের পর দিন ঠকিয়েছে তাকে এইভাবেই ছেড়ে দেওয়া উচিত? তাকে অর্থের বিনিময়ে ডিভোর্স দেওয়ায় কি ঠিক হবে বিপাশার জন্য? নাকি সত্তর চন্দনের মতো একরকম একজন অপরাধীর বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত থানায়। যদিও চন্দনের মতো মানুষদের জন্য এরকম কাজ খুব একটা কঠিন নয়, তাই নয় কি?
আরো পড়ুন: অধরা রয়েই গেল ফিল্মফেয়ার পুরস্কার! বাংলাদেশের ফারিণের কাছে পরাস্ত মিঠাইরানী, প্রধানের ঝুলিতে আসল না কোনও পুরস্কার!
চন্দনের মতো একজন ঠান্ডায় মাথায় মুখোশ পরে এত কারসাজি করা মানুষ, যে কিনা বিপাশার মতো একটি সাহসী মেয়েকেও এরকমভাবে ঠান্ডা মাথায় হুমকি দিচ্ছে তার কাছে সত্যি খুন জাতীয় ঘৃ’ণ্য অপরাধ একেবারেই অবাক কান্ড নয়। আমাদের সমাজেও তো চন্দনের মতো এরকম কত মানুষ আছে যারা এরকম ভালোমানুষির মুখোশ পড়ে না জানি কত খারাপ কাজ করে প্রতিদিন। সবটা কি আদৌ হদিশ মেলে! সেক্ষেত্রে কি করা উচিৎ একটি মেয়ের? কারণ নিজের জীবন তো আগেই কিন্তু এরকম একজন মানুষকে ছেড়ে দিলে সেই মেয়েটি নিজেও কি মনে শান্তি পাবে? তবে আপনাদের কি মনে হয়েছে সত্যি কি চন্দন বিপাশার কোন বড় ক্ষতি করতে চলেছে, নাকি তার আগেই একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নেবে বিপাশা?