এই মুহূর্তে জনপ্রিয় চ্যানেল স্টার জলসায় (Star jalsha) সম্প্রচারিত সবচেয়ে জনপ্রিয়তম ধারাবাহিকটি হল অনুরাগের ছোঁয়া (Anurager chhowa)। এই ধারাবাহিকটি শুরু থেকেই দারুন জনপ্রিয়তা পেয়েছে। একদম শুরু থেকেই টিআরপিতে (TRP) একেবারে শীর্ষ স্থান দখল করেছে এই ধারাবাহিকটি।
কবে ঠিক হবে সূর্য দীপার সম্পর্কের সমীকরণ?
উল্লেখ্য, এই ধারাবাহিকের মূল গল্প আবর্তিত হচ্ছে দীপা আর সূর্যের সম্পর্ককে ঘিরে। এই ধারাবাহিকে দীর্ঘদিন যাবৎ নায়ক-নায়িকার সম্পর্ক খারাপ। দর্শকরা দীর্ঘদিন ধরে চাইছেন নায়ক-নায়িকার মধ্যে সম্পর্ক যেন ভালো করে দেওয়া হয়। তেমনটাই যেন দেখানো হয় টেলিভিশনের পর্দায়। কিন্তু সেই রকম কিছুই হয়নি। ক্রমশই বিচ্ছেদ যেন আরও গাঢ় হচ্ছে। সোনা-রূপার জন্ম বৃত্তান্ত নিয়ে আজ সুদীর্ঘ ১ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই ধারাবাহিকে টালবাহানা চলছে।
এই মুহূর্তে ধারাবাহিটির মধ্যমণি হয়ে উঠেছে সোনা এবং রূপা। তাদের ঘিরেই আবর্তিত হচ্ছে ধারাবাহিকের গল্প। আসলে এই ধারাবাহিকের খলনায়িকা মিশকা নায়ক সূর্যকে একটি ভুয়ো রিপোর্ট দেখিয়ে বলেছিল যে সে নাকি বাবা হওয়ার ক্ষমতা রাখে না। সে কোনদিনও বাবা হতে পারবে না। আর তারপর থেকেই সূর্যর মনে ধারণা হয় যে তার মধ্যে বাবা হওয়ার ক্ষমতাই যখন নেই তাহলে সোনা-রূপা কার সন্তান? এরপরই সূর্য মনে মনে ধারণা করে সোনা এবং রূপা দীপা ও কবিরের অবৈধ সম্পর্কের ফল। আর সেই ভুল বোঝা থেকেই সে কোনও ভাবেই দীপাকে ক্ষমা করতে রাজি নয়। এমনকি সোনা- রূপাকে দীপার থেকে আলাদা করার জন্য তাদের নিয়ে অন্যত্র চলে যায় সে।
সূর্য ভেবেছিল সে দীপার থেকে দুই মেয়েকে আলাদা করে দীপাকে শাস্তি দেবে আর নিজেও তার থেকে দূরে সরে গিয়ে অনেক ভালো থাকবে। আর সেই জন্যই নিজের দুই মেয়েকে নিয়ে কাউকে কিছু না বলে সে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। যদিও নিজের দুই মেয়েকে কাছে পেতে স্কুল খুঁজে দীপা চলে আসে সোনা-রূপার স্কুলে। কিন্তু সূর্যর ভয়ে সোনা-রূপা দীপাকে মা বলে অস্বীকার করে। স্কুলে রীতিমতো অপমানিত হয়ে নিজের মনের দুঃখে হাঁটতে থাকে দীপা। দুই সন্তান ছাড়া তো তার জীবনে বেঁচে থাকার আর কোনও মানে নেই। এই সময় একাকী হাঁটতে হাঁটতে রাস্তার মাঝখানে চলে আসে দীপা। সেই সময় পিছন দিক থেকে আসা একটি লরি ধাক্কা মারে দীপাকে।
সত্যিই কি স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলল দীপা?
রাস্তাতেই পড়ে থাকে দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্ত দীপা। এরপর সঙ্গে সঙ্গে তাকে হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় তবলা। সব ঘটনা জানতে পারে সূর্য। নিজেকে অপরাধী মনে হতে থাকে তার। দীপার চিকিৎসা নিজের হাতে করে সূর্য। এরপর জ্ঞান ফেরে দীপার। সূর্য দীপাকে জিজ্ঞাসা করে এটা কোন জায়গা এবং সে কোথায় রয়েছে? কিন্তু অদ্ভুতভাবে কাউকেই চিনতে পারে না দীপা। মাথায় আঘাত লাগায় সমস্ত স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেছে সে। যদি সত্যিই অ্যাক্সিডেন্টের ফলে দীপা নিজের স্মৃতিশক্তি হারায় তাহলে কেমন জমবে গল্প?