জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

দীপাকে মা হিসেবে অস্বীকার সোনা-রূপার! পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মুখে দীপা! দীপার মৃত্যুতেই কি ভুল ভাঙবে সূর্যর?

বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় এই মুহূর্তে টিআরপি শ্রেষ্ঠ ধারাবাহিক অনুরাগের ছোঁয়া (Anurager Chhowa)। এই ধারাবাহিকটি দর্শকদের কাছে ব্যাপক পরিমাণে জনপ্রিয়। যদিও এক বছরের‌ও বেশি সময় ধরে এই ধারাবাহিকে একঘেয়ে প্লট দেখানো হচ্ছে। আর যা দেখতে দেখতে দৃশ্যত‌ই ভীষণ বিরক্ত এই ধারাবাহিকের দর্শকরা।

সোনা-রূপা যে সূর্য এবং দীপার‌ই সন্তান তা মেনে নিতে বারবার বিভিন্ন সময় অস্বীকার করে চলেছে সূর্য। বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ চোখের সামনে থাকা সত্ত্বেও সে মনে করে দীপা ও কবিরের অবৈধ সম্পর্কের ফল সোনা এবং রূপা।দীপাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য সূর্য সোনা এবং রূপাকে তার থেকে অনেক দূরে নিয়ে চলে যায়। এবং তাদের অন্যত্র একটি স্কুলে ভর্তি করে। সূর্য নিজেও সেখানেই থাকার পরিকল্পনা করে।

আসলে সূর্যের একমাত্র উদ্দেশ্য দীপার থেকে সোনা-রূপাকে আলাদা করে দেওয়া। সম্প্রতি এই ধারাবাহিকের একটি নতুন প্রোমো চ্যানেলের তরফ থেকে ভাগ করে নেওয়া হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে স্কুলের পোশাক পরে স্কুলের বেঞ্চে বসে আছে সোনা এবং রূপা। আর তারা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করছে, মায়ের জন্য তাদের মন খারাপ করছে। কিন্তু যদি তারা মায়ের কাছে ফিরে যায় বা মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাহলে বাবা অর্থাৎ সূর্য নিজের ক্ষতি করে ফেলবে।

deepa surjo anurager chhowa

অন্যদিকে নিজের দুই মেয়েকে কাছে ফিরে পেতে দীপা ছুটতে ছুটতে আসে সোনার রুপার স্কুলে। কিন্তু সেখানেও বাধার মুখে পড়ে। স্কুলের দারোয়ান তাকে ঢুকতে দেয় না। কিন্তু নিজের দুই মেয়েকে দেখতে বদ্ধপরিকর দীপা, জোর করে চলে যায় সোনা-রূপার কাছে। স্কুলের সিস্টারের প্রশ্নের জবাবে দীপাকে হতবাক করে দিয়ে সোনা-রূপা দীপাকে মা বলে মানতে অস্বীকার করে।

এরপর স্কুলে রীতিমতো দীপাকে অপমান করেন সিস্টার। দীপার জীবনে সোনা-রূপা ছাড়া আর কেউ নেই। মনের দুঃখে একাকী রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে চলন্ত গাড়ির সামনে পড়ে একটা মারাত্মক পথ অ্যাক্সিডেন্ট ঘটে তার। বাংলা ধারাবাহিকে বিভিন্ন সময়ে নায়ক-নায়িকার মৃত্যু দেখিয়ে শেষ করে দেওয়া হয়েছে ধারাবাহিকের গল্প। এক্ষেত্রেও কি তবে তাই হতে চলেছে? তবে কি দীপার মৃত্যুতেই ভুল ভাঙবে সূর্যর? আর এই ভাবেই শেষ হয়ে যাবে অনুরাগের ছোঁয়ার গল্প?

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।