জি বাংলার (Zee Bangla) ধারাবাহিক ইচ্ছে পুতুলে (Icche Putul) চলছে বিয়ের মরসুম। মেঘের বাড়িতে এসে নীল জানতে পারে মেঘ বিয়ে করছে। নিজের ভালোবাসার মানুষের বিয়ের কথা শুনে চমকে যায় নীল। কিন্তু সে এটাও জানতে পারে মেঘ জানে না পাত্রকে। এই কথা শুনে দুশ্চিন্তা করতে থাকে নীল। ছেলেটার আদৌ ভালো কি না কি করে এইসবই তার মাথায় ঘুরতে থাকে। ওদিকে মেঘও নীলকে হারানোর কষ্ট পেতে থাকে কিন্তু এখন আর কিছুই করার নেই।
মেঘের বাড়ি থেকে বেরিয়ে নীল ভাবতে থাকে কার কাছে যাবে সে। কার কাছ থেকে সে জানতে পারবে মেঘ কাকে বিয়ে করছে। এই কথা ভাবতে ভাবতে তার মাথায় আসে জিষ্ণুর কথা। নীল ঠিক করে সে জিষ্ণুর সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলবে। এদিকে নীল বাড়ি ফিরছে না বলে নীলের বাড়ির লোক চিন্তা করতে থাকে। কাকাই নীলের মাকে বলে নীলকে এইভাবে বলাটা তার ঠিক হয়নি। নীল তাতে কষ্ট পেয়েছে কিন্তু তার মা কাকাইকে থামিয়ে বলেন যদি তিনি নিজের ছেলের ভালো মন্দেও কথা না বলতে পারেন তাহলে তো কিছু বলার নেই।
তখনই নীল জিষ্ণুর বাড়িতে কড়া নাড়ে। জিষ্ণু তখন গানের রেওয়াজ করছিল। সে দরজা খুলে দেখে নিল এসেছে তাকে বাড়িতে ডেকে জিষ্ণু জিজ্ঞাসা করে কি হয়েছে। তখন নীল তাকে জিজ্ঞাসা করে মেঘ কাকে বিয়ে করছে। নীলের কথা শুনে মিটিমিটি হাসে জিষ্ণু। তারপর চিন্তার ভাব নিয়ে বলে মেঘ তাকে বলেছে যে সে বিয়ে করছে কিন্তু পাত্র কে সেটা সে জানে না। মেঘ বলেছে যে তার মা বাবা জার সঙ্গে তার বিয়ে দেবে মেঘ তাতেই রাজি। কথাটা শুনে অবাক হয় নীল বলে এরকম আবার হয় নাকি। সারাটা জীবন যার সঙ্গে কাটাবো তার মুখ দেখবো না সে কি করে জানবো না এটা কি করে সম্ভব।
তখন জিষ্ণু নীলকে বলে “বিষয়টা আমারও অবাক লেগেছিল কিন্তু কি করবো বল মেঘ তো জানতেই চাইনা তার বর কে। আর আমিও মেঘের বাড়ি যেতে পারছি না অনেকদিন যে কাকিমা কাকুকে জিজ্ঞাসা করবো। এই শুনে নীল চলে যায় জিষ্ণুর বাড়ি থেকে। ওদিকে নীলের বাড়ির লোক চিন্তা করতে থাকে কি করবে। ঠাম্মি তাদের চিন্তা করতে বারণ করে ঘুমিয়ে যান। তারপর নীল বাড়িতে আসে ঠাম্মির পা জড়িয়ে ঠাম্মিকে বলে সে বিয়েতে রাজি। কিন্তু সে হয়তো ভালো বর হতে পারবে না, একথা শুনে নীলের মা রাগ করলেও ঠাম্মি তাকে থামিয়ে দিয়ে বলেন তিনি খুব খুশি নীল বিয়েতে রাজি হয়েছে শুনে।
ওদিকে অনিন্দ্য বাবু এবং মধুমিতা মেঘের ব্যাপারে কথা বলতে থাকে। অনিন্দ্য বাবু বলেন নীলকে মেঘের ঘরে পাঠানোটা ঠিক হয়নি তার। কিন্তু মধুমিতা বলেন এত দিন পর নীল এসেছে তাদের ব্যাক্তিগত কথা থাকতে পারে তাই তিনি নীলকে ঘরে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু ওপর থেকে মেঘ শুনে বুঝতে পারে তাকে নিয়ে কথা চলছে আর ভাবে কি কথা বলছে বাবা। তবে কি মেঘ জানতে পারবে তার বর কে?