জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

অধ্যাপনার পাশাপাশি তুখোড় অভিনয়! শ্যামলীর আদরের ‘মিষ্টি ঠাম্মির’ জীবনের অজানা কাহিনী ফাঁস 

প্রফেশন ও প্যাশন দুটি দিক দক্ষ হাতে পরিচালনা করা কঠিন বৈকি। যদিও যাঁদের কাছে দুপক্ষই ভালো লাগার, ভালোবাসার তাঁরা হয়তো ঠিকই নিজেদের পথ খুঁজে নেন। বর্তমানে জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’ (Kon Gopone Mon Veseche)। এই ধারাবাহিকের মিষ্টি ঠাম্মির ভূমিকায় অভিনয় করছেন টেলিপর্দার জনপ্রিয় মুখ সুকৃতি লাহোরী। পর্দায় সাপোর্টিভ মিষ্টি ঠাম্মি বাস্তবে কিরকম? সম্প্রতি নিজের বিষয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী।

জি বাংলার ‘কার কাছে কই মনের কথা’-তে দেখা যাচ্ছে, অনিকেতের সঙ্গে বিয়ের পর থেকেই শত গঞ্জনা ও অপমান সহ্য করতে হচ্ছে গল্পের নায়িকা শ্যামলীকে। শ্বশুরবাড়ির সবার চক্ষুশূল শ্যামলী তখন আশ্রয় পাচ্ছে মিষ্টি ঠাম্মির কোলে। সে তাঁর বিপক্ষে নয়। বরং মিষ্টি ঠাম্মি ভালোবাসে শ্যামলী কে। পর্দার বাইরে অভিনেত্রী সুকৃতি বলেন, সব ঠাকুমারাই তাঁদের নাতি-নাতনিদের আশ্রয় দিয়ে থাকেন। তিনিও সেটাই করছেন।

জি বাংলার ধারাবাহিক পর্দার মতোই পর্দার বাইরে শান্ত ও হাসিখুশি অভিনেত্রী সুকৃতি লাহোরি। হেসে বলেন অভিনয়টা তাঁর ভালোবাসা। বেঁচে থাকার কারণ। মঞ্চে অভিনয় করেছেন তিনি বহুদিন হল। বহুরূপী থেকে জার্নি শুরু। তারপর থেকে একটানা অনেকগুলো বছর অভিনয় জগতে রয়েছেন শিল্পী। তাঁর কথায়, টেলিভিশন আমায় আকর্ষণ করে।

মঞ্চ ও টেলিভিশনে অভিনয়ের পাশাপাশি তাঁর অপর ভালোবাসার জায়গা হল পড়ানো। একটি গার্লস কলেজের অধ্যাপিকা সুকৃতি লাহোরী বলেন, রোজ ছোটদের সঙ্গে সময় কাটাতে,পড়াশোনার মধ্যে থাকতে তাঁর ভালো লাগে। পাশাপাশি পড়ালে যে সন্মান ও ভালোবাসা পাওয়া যায় তা অত্যন্ত ভালো লাগে তাঁর। তবে অধ্যাপনা অভিনেত্রীর পেশা। আর আকর্ষণ হল অভিনয়।

সাক্ষাৎকারে ধারাবাহিকের পর্বে আসন্ন চমক নিয়েও কথা বলেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, গল্প প্রতি পদে নতুন বাঁক নিচ্ছে। আরও অনেক কিছুর পর্দা ফাঁস বাকি আছে।

অনিকেতের সঙ্গে শ্যামলীর বিয়ের পর থেকেই একে একে সমস্ত রহস্য খোলসা হবে। অনিকেত, শ্যামলী ও কিঞ্জল ও জোড়া বাড়ির মানুষজন সবাইকে কেন্দ্র করে এগিয়ে চলবে ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে।’ তবে যাই হোক না কেন, তিনি শ্যামলীর পাশে থাকছেন। একথা হাসি মুখে বললেন মিষ্টি ঠাম্মি সুকৃতি লাহোরী।

Joyee Chowdhury

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ-এ স্নাতকোত্তর। বিনোদন ও সংস্কৃতি বিভাগই মূল ক্ষেত্র। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।