জি বাংলার (Zee Bangla) মানালি দে অভিনীত কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Kotha) ধারাবাহিকে চলেছে শিমুলের আত্মসম্মানের কঠিন লড়াই। পরাগকে বিষ দেওয়ার অপরাধে অপরাধী শিমুল। ইতিমধ্যেই শিলুলের কেসের প্রথম শুনানি হয়ে গেছে। বাড়িতে এসে মুধুবালা দেবী পুতুলের জন্য ডাক্তার ডাকেন। ডাক্তার জানায় পুতুলকে ওষুধ খাইয়ে পরীক্ষাগুলো করিয়ে নিতে। তার জন্যে অবশ্যই পুতুলকে খাওয়ায় খেতে হবে।
মধুবালা দেবী ডাক্তারকে জানান পুতুল কিছু খেতে চাইছে না, তখন ডাক্তার তাকে সাবধান করে বলে যে করে হোক খাওয়ার খাওয়াতেই হবে, নাহলে এই কড়াকড়া ওষুধ খেলে আরও সমস্যা হতে পারে। আর শিমুলকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিয়ে আসুন তাতে ও আরও তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে। ডাক্তারের টাকার কথা শুনে অবাক হয়ে যায় পরাগ তখন তুতুল টাকা দিয়ে বলে তার বাবা ডাক্তারের টাকা দিয়ে গেছেন। ডাক্তার চলে যাওয়ার পর পরাগ বলে কিছু হয়নি সামান্য জ্বর হয়েছে ব্যাস। তখন তার কথা উপেক্ষা করে মধুবালা দেবী তুতুলকে অসুস্থ কিনে আনতে বলেন, বলেন তিনি টাকা দেবেন।
পরাগকে তখন তুতুলের মা বলে তোদের একটুও লজ্জা নেই, নিজের বোনের সঙ্গে কেউ এরকম করতে পারে। তখন পুতুল ঘোরে শিমুলের কথা বলতে থাকে তার কথায় পরাগ বলে পুতুলের জ্বরটর কিছু হয়নি সে নাটক করছে তখন তুতুলের মা বলে তোরা মানুষের পর্যায় পড়িস না। ওদিকে শিমুল যে জেলে আছে সেখানে আজ প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান। প্রথমেই জেলার বক্তৃতা দেন। তিনি বলেন এখানে সবাই অপরাধ করে এসেছে তাই আশা করব সবাই তাদের জীবনকে শুধরে নেবেন।
তারপর সবাই শিমুলকে বক্তৃতা দিতে বলে, তখন শিমুল বলে আমার মনে হয়না এখানে সকলে অপরাধী। এখানে এমন অনেকেই আছেন যারা নির্দোষ অথচ তাদের এই কঠিন জীবন ভোগ করতে হচ্ছে, যেমন আমি। তখন জেলারকে কমিশনার জিজ্ঞাসা করেন শিমুলের ব্যাপারে তখন তিনি বলেন শিমুলের এখনও কেস চলছে। তারপর শিমুল একটি নৃত্য প্রদর্শন করে। সকলে খুশি হয়। কিন্তু ওদিকে পুতুলের শরীরের পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে শুরু করে। মধুবালা দেবী ভেবে পান না এখন তিনি কি করবেন।