পরীক্ষার মরশুম মানেই টেনশন, রাত জেগে পড়াশোনা, আর সাজেশন বইয়ের ওপর নির্ভরতা। অভিভাবক থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীরা চান পরীক্ষার আগে সঠিক গাইডলাইন, যাতে নম্বর ভালো আসে। কেউ কোচিং করে, কেউ স্কুলের পড়া ভালোভাবে রিভিশন করে, আবার কেউ বিশেষজ্ঞ শিক্ষকদের কাছ থেকে সাজেশন নেয়। তবে কিছু শিক্ষার্থী এমনও আছেন, যারা অদ্ভুত উৎস থেকে সাজেশন নিয়ে চরম বিপদে পড়েন।
সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়া, ইউটিউব ভিডিও, এমনকি বিনোদনমূলক শো থেকেও অনেক পরীক্ষার্থী সাজেশন খোঁজেন। কেউ মজার ছলে এগুলো দেখে, আবার কেউ সত্যিই বিশ্বাস করে নেয়। কিন্তু যদি এই সাজেশন ভুল প্রমাণিত হয়? পরীক্ষার হলে গিয়ে যদি বোঝা যায়, যা পড়া হয়েছে তার সঙ্গে প্রশ্নের কোনো মিল নেই? এমনই এক ঘটনা সামনে এসেছে, যা দেখে সোশ্যাল মিডিয়া হাসিতে ফেটে পড়েছে।
সম্প্রতি জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ এ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য কিছু সাজেশন দেওয়া হয়েছিল। এক পরীক্ষার্থী সেই সাজেশন অনুসারে প্রস্তুতি নিয়েছিল, কিন্তু পরীক্ষার হলে গিয়েই ঘটে বিপত্তি। যে প্রশ্নের উত্তর মুখস্থ করেছিল, সেগুলোর একটিও পরীক্ষার খাতায় আসেনি! হতাশ পরীক্ষার্থী পরীক্ষার পর একটি ভিডিও বানিয়ে তার ক্ষোভ উগড়ে দেয়। সে জানায়, ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ বলেছিল, বাংলায় আসবে বুড়ির চরিত্র, ইংরেজিতে লোমভের চরিত্র—কিন্তু কিচ্ছু আসেনি!
এই ভিডিও মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। নেটিজেনরা হাসির খোরাক বানিয়ে ফেলেন ওই পরীক্ষার্থীকে। কেউ মজার ছলে বলছেন, ‘এবার থেকে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ দেখা বাধ্যতামূলক!’ আবার কেউ কটাক্ষ করে লিখছেন, ‘ওকে বাঁধিয়ে রাখো, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এমন ভুল না করে।’ তবে এই ঘটনাকে অনেকেই শুধুমাত্র মজার দিক থেকে না দেখে, শিক্ষাব্যবস্থার সমস্যা বলেও মনে করছেন।
আরও পড়ুনঃ মাতৃত্ব শুধু জন্মদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, ভালোবাসা ও যত্ন তাকে মানুষ করাই আসল মাতৃত্ব! আমিও ‘মা’ তাই বুঝি! অকপট ঋতাভরী
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিনোদনমূলক শো কখনোই একাডেমিক সাজেশনের জায়গা নিতে পারে না। শিক্ষার্থীদের উচিত যথাযথ বই ও সঠিক উৎস থেকে পড়াশোনা করা। শুধু মাত্র ট্রেন্ড বা ভাইরাল কনটেন্ট দেখে পরীক্ষা দেওয়ার ফল ভয়াবহ হতে পারে। তাই পড়াশোনার ক্ষেত্রে সচেতন হওয়াই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, নয়তো শেষে শুধু আফসোসই থাকবে!