এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের (Bengali Television) পর্দার রমরমা কার কাছে কই মনের কথার (Kar Kache Koi Moner Katha) । এই ধারাবাহিকটি এই মুহূর্তে বাঙালি টেলিভিশন প্রেমীদের কাছে সবথেকে জনপ্রিয়তম ধারাবাহিক হয়ে উঠেছে। এই ধারাবাহিকের প্রতিটি পর্ব দেখতেই দারুণভাবে এনজয় করছেন বাঙালি দর্শক। আর যে কারণে এই ধারাবাহিকটির জনপ্রিয়তা এমন উর্দ্ধমুখী।
চলতি সপ্তাহে বাংলা টেলিভিশনের দুনিয়ায় এই ধারাবাহিকটি টিআরপি তালিকায় ক্রমশই ওপরের দিকে উঠে চলেছে। গত সপ্তাহে ধারাবাহিকটি পঞ্চম স্থানে থাকলেও এই সপ্তাহের চতুর্থ স্থান দখল করে নিয়েছে। বলাই বাহুল্য ধারাবাহিকের গল্প, গল্পের বিষয়বস্তু দর্শকদের আকর্ষিত করেছে। যার ফলেই ধারাবাহিকের এই বিরাট সাফল্য।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই ধারাবাহিকে সমাজের খুবই স্পর্শকাতর কিছু বিষয়কে তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, বৈবাহিক ধ র্ষণ, বধূ নির্যাতন, সদ্য বিবাহিত স্ত্রীর উপর শারীরিক মানসিক অত্যাচারের বিভিন্ন ঘটনাকে তুলে ধরা হচ্ছে, আর যা সমাজের বাস্তব দৃশ্যকেই তুলে ধরছে। আর যার ফলে এই ধারাবাহিক মনে ধরেছে দর্শকদের।
স্বামী-দেওরের কাছে অপমানিত, অত্যাচারিত হয়ে তাদের নামে প্রথমে থানায় কমপ্লেন করেছিল শিমুল। কিন্তু সেখানে অভিযোগ ফলপ্রসু হয়নি। আর তাই একেবারে পাড়ার মেয়েদের সহায়তায় ডিএম-এর দরবারে গিয়ে স্বামী এবং দেওরের নামে নালিশ ঠুকে আসে সে। এরপরই ডিএম-এর তরফে ডেকে পাঠানো হয় পরাগ এবং পলাশকে।
ডিএম এই দুজনকে নিজের অফিসে ডেকে রীতিমতো আচ্ছা করে ধমক দেন। তার জেলায় বসে এমন গর্হিত কাজ করলে তিনি পরাগের চাকরি কেড়ে নিতে পারেন বলেও ধমক দেন। এবং সেই সঙ্গে জানিয়ে দেন কোন মেয়ের গায়ে হাত তোলাই তীব্র অপরাধ। আর তাই এই রকম কাজ দ্বিতীয় বার করার আগে ভাবে সে। কারণ ভবিষ্যতে এইরকম কাজ করলে আর তিনি ধমক দিয়ে ছাড়বেন না। সোজাসুজি শাস্তির ব্যবস্থা করবেন। ডিএম ম্যাডামের কাছে ধমক খেয়ে রীতিমত ভয় পেয়ে যায় পরাগ এবং পলাশ।