জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

জ্যাস সান্যাল সেজে ডিপার্টমেন্টে জয়েন করেছে দুর্গা, ধরা পড়ছে একের পর এক অপরাধী! ধুন্ধুমার পর্ব জগদ্ধাত্রীতে

জি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক জগদ্ধাত্রী (Jagaddhatri) এখন গল্পের মোড়ে নতুন চমক নিয়ে হাজির। বহু বছর ধরে এই ধারাবাহিক দর্শকদের মনে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে। জগদ্ধাত্রী ও স্বয়ম্ভুর সম্পর্ক, ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা, এবং পারিবারিক সংঘাত—এই সব মিলিয়ে প্রতিটি পর্বই যেন এক একটি রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। বর্তমানে গল্পে উঠে এসেছে পুরনো পরিচয়, নতুন রূপ আর এক চরম ষড়যন্ত্রের লড়াই।

সম্প্রতি দেখানো হয়েছে, জগদ্ধাত্রী সেজে দুর্গা হাজির হয়েছিল দিব্যা সেনের সামনে, যাতে তার আসল রূপ ফাঁস করা যায়। দিব্যা তখনও বুঝতে পারেনি, সে যার সঙ্গে কথা বলছে সে জগদ্ধাত্রী নয়, দুর্গা। এমনকি দিব্যার অফিসে উপস্থিত হয়ে নিজের সুস্থতা প্রমাণ করে, এরপর স্বয়ম্ভুকে ফোন করে দুর্গা জানায় পুরো কাহিনি। অপরদিকে, আসল জগদ্ধাত্রী কথা বললেও তার অনেক স্মৃতিই ফিরেনি, যা কোর্ট কেসে সমস্যা তৈরি করতে পারে।

পর্বে শুরুতেই দেখা যায়, জ্যাস সান্যাল আবার ডিপার্টমেন্টে ফিরছে। এই কথা শুনে চমকে যান বৈদেহী। ফোনটা কেড়ে নিয়ে দুর্গা দিব্যাকে জানিয়ে দেয়, তার মা ফের কাজে ফিরছেন এবং এবার অপরাধীদের ছাড়বে না। বৈদেহী তৎক্ষণাৎ মেহেন্দিকে খবরটি জানায়।

মেহেন্দি কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না যে, জগদ্ধাত্রী ফের কাজে ফিরেছে। সে সন্দেহ করে যে এই ‘জগদ্ধাত্রী’ আদতে দুর্গা। এরপর মেহেন্দি একের পর এক ব্যক্তিগত প্রশ্ন ছুড়ে দেয় – এক্স বয়ফ্রেন্ডের নাম, পুরনো ঘটনা—দুর্গা ধীরে ধীরে সকল প্রশ্নের জবাব দিতে থাকে। উৎসব মুখার্জীর নাম বলতেই বাকিরা স্তব্ধ। তখনই মেহেন্দি ভাবে, তবে কি সত্যিই জগদ্ধাত্রী ফিরে এসেছে?

আরও পড়ুনঃ “১৬ মাসের মেয়েকে রেখে শ্যুটিংয়ে ফিরেছিলাম, আমি চাই, আরিহা বাস্তববাদী এবং ইতিবাচক চিন্তাধারার মানুষ হোক” পর্দায় ঝিলিকের ‘মা’ থেকে বাস্তবের মা হয়ে ওঠা নিয়ে অকপট মহুয়া হালদার!

শেষে দেখা যায়, দুর্গা মানসিকভাবে একেবারে প্রস্তুত। তার মনে একটাই কথা—এই লড়াই সে জিতবেই। পরিবারের সবাই সন্দেহের চোখে তাকালেও দুর্গা জানে, অপরাধীদের ফাঁসাতে হলে তাকে আরও শক্ত হতে হবে। এবার দেখার, মেহেন্দি ও দিব্যা মিলে দুর্গার ছলনা ফাঁস করতে পারে কিনা, নাকি দুর্গার বুদ্ধির কাছে হার মানবে সবাই।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।