জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phooler Modhu) ও ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’ (Kon Gopone Mon Veseche) এই দুই ধারাবাহিক। বলাই বাহুল্য দুটি ধারাবাহিকই দর্শক মনে জায়গা করে নিয়েছে। আবার, দুই ধারাবাহিকের কেন্দ্রীয় চরিত্র শ্বেতা ভট্টাচার্য-রুবেল দাস টলিপাড়ার পরিচিত মুখ। পর্দা ছাপিয়ে বাস্তবে প্রেমে জড়িয়েছেন তাঁরা। এই বছর দোলের বিশেষ পরবে চমক দেখালো জি বাংলা। অনস্ক্রিন ও অফস্ক্রিন এক হয়ে গেল দোলের রঙে।
সম্প্রতি এই দুই ধারাবাহিক মিলিয়ে একটি দোলের মহাপর্ব আয়োজিত হয়েছিল। যেখানে দত্তবাড়িতে সপরিবারে হাজির হন জোড়াবাড়ির সদস্যরা। এই পর্বে রুবেলের এক ধারে ছিল অনস্ক্রিন স্ত্রী পর্ণা আর অন্য ধারে ছিল বাস্তবের সঙ্গী শ্বেতা। আবার একইভাবে শ্বেতার অনস্ক্রিন সঙ্গী অনিকেত যেমন একধারে ছিল তেমনি অন্য ধারে ছিল বাস্তব সঙ্গী রুবেল। দোলের মহাপর্বের পর হাসি আড্ডায় খুশি ভাগ করলেন তাঁরা।
দোল মানেই ভালোবাসার রং। আর সেই প্রেমের রং ছুঁয়ে যাচ্ছে শ্বেতা-রুবেলের জীবন থেকে পর্দার ধারাবাহিকের গল্পের টানে। দত্ত বাড়িতে উৎসব। পর্ণার কোল আলো করে আসছে নতুন সদস্য। তার আগেই দোল উৎসবে মাতোয়ারা হয়ে উঠলো দত্তবাড়ি। শ্যামলীর জীবনের সমস্যা দূর করতে এবার কোমর বেঁধে নামলো পর্ণা। অনিকেতের সামনে তিস্তা হয়ে উঠল দত্তবাড়ির পুত্রবধূ।
হাসি আড্ডার মাঝেই অনিকেত তথা রনজয় বিষ্ণু বলে ওঠেন, “প্রেমে অন্ধ হয়ে জানতাম কিন্তু কানা যে হয় তা অনিকেতকে না দেখলে বুঝতাম না। একটা গোটা মেয়ে বদল হয়ে গেল, তাও বুঝতে পারল না অনিকেত। ভালোবাসায় অন্ধের প্রতিমূর্তি কোন গোপনে মন ভেসেছের নায়ক! আমার শুভেচ্ছা রইল অনিকেতের জন্য। রনজয়ের এই কথা শুনে হাসির রোল ওঠে চারজনের মধ্যেই।”
দোলের রং মাখামাখি নিয়ে বেশ খুনসুটি চলছে দুই বাড়ির মধ্যে। পর্দার শ্যামলী আর অনিকেত কিভাবে ভালোবাসার রঙে রঙিন হয়ে ওঠে সেটাই নাকি মহাপর্বের মুখ্য বস্তু। এ কথা শুনে একটু হোঁচট খেল শ্যামলীর বাস্তব সঙ্গী রুবেল। পর্দায় নাকি শ্বেতার ভাই সে! রুবেল বলে, ভাই বলিস না প্লিজ! তখনই হাসতে হাসতে শ্বেতা বলে, চিন্তা নেই সেই সিন বাদ দিয়ে দিয়েছে পরিচালক।