Bangla Serial

হচ্ছেটা কী? দিদিকে চরম অপমান, খারাপ ব্যবহার করেও করুণার পাত্রী সেই ‘মিঠিঝোরা’ নীলু! ‘রাই’ শুধুই অবহেলার পাত্রী!

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মিঠিঝোরা’ (Mithijhora)। বেশ কিছুদিন আগে শুরু হওয়া এই ধারাবাহিক দর্শক মনে জোয়ার তুলেছে। ধারাবাহিকের নায়িকা কে? ধন্দে পড়েছেন দর্শক। জি বাংলার এই ধারাবাহিকে একজোটে দুই নায়িকাকে দেখা যাচ্ছে। একজন রাই ওরফে আরাত্রিকা মাইতি আর অন্যজন নীলু ওরফে দেবাদৃতা বসু। পর্দায় হোক কি অনুরাগী মহলে রাই ও নীলুর মধ্যে টক্কর চলছেই।

‘মিঠিঝোরা’ ধারাবাহিকটি আরাত্রিকাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠলেও বর্তমানে প্লটে এসেছে অস্বাভাবিক বদল। নিজের ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে বিয়ের পিঁড়ি থেকে উঠে বোনকে জায়গা দেয় রাই। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই নীলুর রোষানলে রাইপূর্ণা। সে বারবার বলতে থাকে সে কিনা পরিস্থিতির শিকার! এখানেই প্রশ্ন উঠছে নীলুর যদি বিয়েতে মত নাই থাকত তবে সে বিয়ের পিঁড়িতে বসলো কেন!

এদিকে, নীলুর শ্বশুরবাড়িতে নার্সের কাজ করতে এসে আরও বিপাকে পড়েছে রাই। বাড়ির সবার মুখে অন্ন তুলতে কাজ নিলেও নিজের কপালে জুটছে নিত্য অপমান। রাই ও সৌর্যের মাঝে সে না চাইতেও পাঁচিল। দিদিকে উঠতে বসতে অপমান করছে নীলু। অথচ দর্শক মহলে করুণার পাত্রী যেন সেই নীলাঞ্জনাই। রাইপূর্ণার পরিস্থিতি বুঝছে না কেউই!

ধারাবাহিকের বিগত পর্ব থেকে রাই আরও বেশি করে ভিলেন হয়েছে। কারণ সে স্বীকার করেছে, সৌর্য নয় তাঁর জীবনে এসেছে নতুন মানুষ। আর সেই কারণেই নিজের প্রেমিককে সে তুলে দিয়েছে বোনের হাতে। বেশ বোঝা যাচ্ছে নীলুর সংসার বাঁচাতেই মিথ্যের আশ্রয় নিল রাই। যদিও সবার চোখে একনিমেষেই অনেকটা নেমে গেল রাইপূর্ণা। এমনকি দর্শকদের মধ্যে ছি ছিক্কার শুরু হয়েছে রাইয়ের চরিত্রটি নিয়ে।

আরো পড়ুন: মৃত্যুসজ্জায় রূপার শেষ ইচ্ছে দীপা আর অর্জুনের বিয়ে! মেয়ে মুখের দিকে তাকিয়ে কি সিদ্ধান্ত নেবে দীপা?

‘মিঠিঝোরা’-র আরাত্রিকা ও দেবাদৃতা দুজনেই টেলিপর্দার পরিচিত মুখ। তবে আরাত্রিকার চেয়ে দেবাদৃতার অনুরাগী সংখ্যা বেশি। আর অনুরাগী মহলের চাহিদা দেবাদৃতাই ‘মিঠিঝোরা’ নায়িকা হোক। আর টিআরপি টানতে সেই পথেই হাঁটছেন পরিচালক। ধীরে ধীরে দেবাদৃতা বসু হয়ে উঠছে ধারাবাহিকের হিরোইন। অথচ প্রথম থেকে ‘রাই’ ওরফে আরাত্রিকা নায়িকা হয়ে এলেও তাঁর ভূমিকা ক্রমে ম্লান হচ্ছে ‘মিঠিঝোরার’ প্রক্ষাপটে।

Joyee Chowdhury

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ-এ স্নাতকোত্তর। বিনোদন ও সংস্কৃতি বিভাগই মূল ক্ষেত্র। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।