জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে তবলা। দীপাও ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে। দীপার বাড়িতে এখন খুশির মরসুম। অনেকদিন পর পরিবেশ খানিক হালকা দীপার ভাড়া বাড়িতে। সম্প্রতি স্টার জলসার (Star Jalsha) অনুরাগের ছোঁয়া (Anurager Chhowa) ধারাবাহিকের গল্পে চলছে চলছে এহেন পরিস্থিতি।
তবে এসবের মাঝে ঘটে যায় বিপত্তি। জেল থেকে ফিরে আসার সময় সোনা-রূপার জন্য দুটো জামা এনেছে তবলা। সেই জামা পরে সকলকে দেখাতে আসে দুই বোন। লাফালাফি করতে গিয়ে আচমকা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে রূপা।
তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাকে। তবে হাসপাতালের লোকের গা ঢিলে ভাব। যা দেখে ফের তার উপর চড়াও হয় তবলা। ভয় দেখিয়ে ভর্তি করানো হলেও রোগীর বাবার নাম লেখার সময় বাঁধা দেয় রূপা। জানায় তার বাবার নাম লেখা হবে না। রূপার কাছে তার মা সব। যদি তার বাবার নাম লেখা হয় তাহলে আর হাসপাতালে ভর্তি হবে না সে।
ভুলিয়ে ভালিয়ে কোনো মতে রূপাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও অর্জুনকে খুঁজতে থাকে রূপা। বাবার কথা শুনে কষ্ট পেয়েছে সে। বুঝতে পেরেছে সূর্যের আসলেই কিছু আসে যায় না। তার বাবা হয়ত কোনোদিন তাকে ভালোবাসেনি। এদিকে ডাক্তার দীপাকে জানায়, রূপার অভ্যন্তরীণ রক্তপাত হচ্ছে। তাই হঠাৎ করে জ্ঞান হারিয়েছে সে।
আরো পড়ুন:ছিঃ! হাত দিয়ে মানুষ ভাত খায়! ‘পথের পাঁচালি’র সেই দৃশ্য দেখে হল ছেড়েছিলেন মার্কিনরা! সেই সিনেমাই এনেছিল ‘অস্কার’
অন্যদিকে, রূপা অর্জুনকে খুঁজতে থাকে। আসলে সূর্যের অবর্তমানে অর্জুনকে বরাবর পাশে পেয়ে অভ্যস্ত তারা। রূপাকে দিশেহারার মতো অর্জুনকে খুঁজতে দেখে অর্জুনকে ডেকে আনে দীপা। অর্জুনকে দেখে মনে মনে খানিক শান্ত হয় রূপা। তবে অর্জুনকে দিয়ে প্রমিস করায় সে যেন সোনা-রূপাকে ছেড়ে না যায়। তবে দ্বিতীয় প্রমিস শুনে চমকে ওঠে সকলে। রূপা সকলের সামনে অর্জুনকে দীপাকে বিয়ে করার কথা বলে। যা শুনে চোখ কপালে ওঠে বাড়ির সকলের।