জি বাংলার এক জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মিঠাই’। দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে এই ধারাবাহিক। গল্পে এসেছে নানান মোড়। টিআরপিও কখনও নেমেছে, কখনও উঠেছে। কিন্তু কোনোদিনই দর্শকদের মনে এই ধারাবাহিকের জায়গা কেড়ে নিতে পারেনি অন্যকেউ। আর তা সম্ভব হয়েছে ধারাবাহিকের লেখিকার গল্পের বিষয়, তারকাদের অভিনয়ের দ্বারা।
এই ধারাবাহিক এখনকার বাঁধা ধরা ধারাবাহিকের থেকে অনেক আলাদা। এখনকার ধারাবাহিকগুলিতে যেটা সর্বদা দেখা যায়, সেটা হল স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি। আর তা থেকেই এসেছে বিচ্ছেদ। কিন্তু মিঠাই ধারাবাহিক দেখিয়েছে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কতটা বিশ্বাস থাকলে সম্পর্কটা মধুর হয়। আর তা বর্তমান সমাজের জন্য একটি সুন্দর বার্তা।
আমরা জানি, ধারাবাহিকের মোড় ঘোরাতে মিঠাই-এর মৃত্যু আনেন লেখিকা। কিন্তু তার অবর্তমানেও মিঠাই-এর প্রতি সিডের ভালোবাসার কমতি দেখা যায়নি। তারপর দর্শকদের চাহিদায় লেখিকা ফের গল্পের মোড় চেঞ্জ করে মিঠাইকে ফেরত আনেন। সেখানেই দেখা যায় আরেক টুইস্ট। মিঠাই একা নয়, মিঠাই-এর সঙ্গে আসে তার মেয়ে মিষ্টি।
অন্য ধারাবাহিকের এরম হলে সেই মেয়ে নিয়ে ভুল বোঝাবোঝি শুরু হয়ে যেত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। কিন্তু এই সিরিয়ালে তার পুরো উল্টো রূপ ধরা পড়ে। সিড বলে, মিষ্টি তার মেয়ে না হলেও সেই মিষ্টিকে নিজের মেয়ের মতোই ভালোবাসবে। এবং প্রথম দিন থেকে এখনও পর্যন্ত মিঠাইকে যোগ্য সম্মান দিয়ে আসছে সিড। ধারাবাহিকের একদম শুরুতে আমরা দেখেছি, সিড মিঠাইকে স্ত্রী হিসাবে মেনে নেয়নি।
কিন্তু তারপরও সিড কিন্তু কোনোদিনই মিঠাইকে অসম্মান করেনি। আজ এতবছর আলাদা থাকার পরও মিঠাইকে সেই আগের মতোই ভালোবাসে সে। যা দেখে সকল দর্শক আপ্লুত। এমন একটি ধারাবাহিকের ভক্ত হয়ে দর্শকরা খুবই খুশি। তাদের বেছে নেওয়া এই ধারাবাহিক কোনোদিনই ভুল প্রমাণিত করেনি। আর তাই এই মুহূর্তের সিড-মিঠাই-এর ভালোবাসার মুহূর্তগুলো দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় সুন্দর সুন্দর পোস্ট করে চলেছে ভক্তরা।