জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

‘দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে সংসার করছি! এই যাযাবর জীবনে স্মৃতি আঁকড়েই বাঁচব আমরা’— চোখের জল ধরে রাখতে পালেন না, হঠাৎ কেন এমন মন্তব্য করলেন শ্বেতা?

জনপ্রিয় বাংলা ধারাবাহিক ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’ সম্প্রতি শেষ হল। দীর্ঘদিন দর্শকদের হৃদয়ে স্থান করে নেওয়া এই ধারাবাহিকের ফাইনাল এপিসোডে শ্যামলী ও অনিকেতের গল্প এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। দর্শকরা যতটা মুগ্ধ ছিলেন গল্পের নাটকীয় মোড়ে, তার চেয়েও বেশি মুগ্ধ হয়েছেন শুটিং ফ্লোরের পেছনের আবেগপ্রবণ দৃশ্যগুলো দেখে।

শেষ দিনের শুটিংয়ে শ্যামলী এবং অনিকেতের চরিত্রে অভিনয় করা শ্বেতা রণজয় ও অদিতি রায় চৌধুরী একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এই দৃশ্যটি দর্শকদের জন্য একেবারে হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া মুহূর্ত হিসেবে রয়ে গেছে। শ্যামলীর অসুস্থতার সময় অনিকেত শিবের তপস্যায় তার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করেন, ধারাবাহিকের শেষের প্রতিটি মুহূর্তে দর্শকের মন ছুঁয়ে যায়।

রুবেল অর্থাৎ শ্বেতার স্বামী, শুটিংয়ের পর প্রকাশ করেছেন যে তিনি স্ত্রীকে খুব মিস করবেন। এভাবেই বাস্তব জীবনের অনুভূতি এবং চরিত্রের আবেগ একত্রিত হয়ে দর্শকদের হৃদয়ে গভীর ছাপ ফেলেছে। হাতে হাত ধরে আবেগ প্রকাশ করা এই দৃশ্যটি প্রমাণ করে যে অভিনেতাদের মধ্যে ধারাবাহিকটির প্রতি কত গভীর ভালোবাসা ছিল।

শেষ দিনে শ্যামলী ও অনিকেতের সম্পর্কের নাটকীয়তা যেমন দর্শকদের মুগ্ধ করেছে, তেমনি শুটিং ফ্লোরে এই আবেগপূর্ণ মুহূর্তগুলো এক নতুন ইতিহাস তৈরি করেছে। দর্শকরা যেমন সংলাপ ও গল্পের মোড়ে মুগ্ধ হয়েছেন, তেমনি অভিনেতা অভিনেত্রীদের একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা সেটাও দর্শককে মুগ্ধ করেছে ধারাবাহিকের শেষ মুহূর্ত।

যদিও ধারাবাহিকটি শেষ হয়েছে কিন্তু এর সংলাপ, চরিত্রের আবেগ এবং স্মৃতি দর্শকদের মনে আজীবন গেঁথে থাকবে। ধারাবাহিকের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের এই আবেগময় দৃশ্যটি শেষ দিনের মুহূর্তগুলোকে জীবন্ত করে তুলে ধরেছে।

Piya Chanda