Bangla Serial

জয় হলো বিপাশার! মেয়েরা শুধু ঠকবার জন্য আসেনি! বিপাশার অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেফতার চন্দন! মনের কথায় ধামাকা

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথায় (Kar Kache Koi Moner) ইতিমধ্যেই দেখানো হয়েছে এক নতুন মোড়। বিপাশা শিমুলের সঙ্গে থানায় গিয়ে অভিযোগ করে আসে চন্দনের বিরুদ্ধে। তারপর শিমুল স্কুলে চলে যায়। সেখানে তাকে সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন প্রধান শিক্ষক। কেমিস্ট্রির শিক্ষক তখন বলেন তাহলে উনি পরাগের চাকরি করবেন, নিজের যোগ্যতায় না। তখন প্রধান শিক্ষক বলে সবাই যে চাকরি করবে সেটা নয় কিন্তু পরিস্থিতি অনেককিছুই করতে আমাদের বাধ্য করে যেটা আমার করতে চায়না। তবে আমি বিশ্বাস করি উনি ভালো শিক্ষিকা হবেন।

তারপর স্কুল শেষ হওয়ার পর শিমুল চলে যায় বিপাশার বাড়ি। সেখানে উপস্থিতি ছিল সুচরিতা এবং শির্ষা। তারা শিমুলকে জিজ্ঞাসা করে তার স্কুল কেমন ছিল? তখন শিমুল তাদের বলে সবাই তাকে মেনে নেয়নি দেখা যাক। এই চাকরিটা করলে পরাগ সে পরাগের চিকিৎসাটাও করাতে পারবে। তখন বিপাশা তাকে মনে সে যেন পরাগের আগের কথা ভুলে না যায়। শিমুল তখন বলে সেটা বলা সম্ভব নয়। সে শুধু একজন অসুস্থ মানুষের সেবা করছে ব্যস।

তখন বিপাশা তাদের বলে বসুন্ধরা আজকাল বারবার আসে তার ঘরে, তার সঙ্গে কথা বলতে। বিপাশা এও বলে “ওই বাচ্চা মেয়েটার কথা ভাবলেই কষ্ট হয়। ও যখন দেখবে ওর বাবাকে পুলিশ গ্রেফতার করে করে নিয়ে যাচ্ছে ওর কতটা কষ্ট হবে।” বিপাশার কথা শুনে খানিকটা রেগে যায় সুচরিতা। সে বিপাশাকে বলে “তুমি কি তাহলে চন্দনদাকে ক্ষমা করে দেওয়ার কথা ভাবছো নাকি। দেখো এত সবকিছু করেছে ওই মানুষটা এখন যদি তুমি তার মেয়ের কথা ভেবে পিছিয়ে আসো তাহলে আমি তোমার সঙ্গে আর কথা বলব না।”

তখন শির্ষা ও বলে “হ্যাঁ বিপাশা দি, চন্দনদা তোমায় ঠকিয়েছে। এত বছর ধরে তোমায় ঠকিয়েছে তাকে তুমি এমনি এমনি ছেড়ে দিতে পারেনা তাকে তোমায় শাস্তি দিতেই হবে। এখন তুমি দুর্বল হয়ে গেলে চলবে না।” তখন সেটা শুনে বিপাশা বলে “আমি চন্দনকে শাস্তি দেবনা এমনটা বলছিনা। কিন্তু ওই মেয়েটার কথা ভেবে খারাপ লাগছে। তুই কি বলছিস শিমুল।” তখন শিমুল বলে “দেখো বিপাশাদি যেটা হয়েছে খুব খারাপ হয়েছে। চন্দনদা যেটা করেছে তাকে শাস্তি পেতে হবে।”

আরও পড়ুন:দীপার উপর চব্বিশ ঘণ্টা ন’জর রাখছে কু’টনি মিশকা! ঝোপ বুঝে কো’প মা’রবে সে! মেয়েদের বাঁচাতে পারবে দীপা?

বিপাশাও সেকথা শুনে বলে “আমি দেখছি আমি লড়াইটা চালিয়ে যাব।” তখনই দরজা ধাক্কায় পুলিশ। মধুরিমা দরজা খুলতেই পুলিশ বলে চন্দনকে ডেকে দিতে। তখন পুলিশের গলার আওয়াজ শুনে বেরিয়ে আসে বিপাশারা। চন্দনও বেরিয়ে আসে বাইরে। সে জিজ্ঞাসা করে কি হয়েছে। তখন পুলিশ অফিসার জানায় চন্দন একজন স্ত্রী থাকার শর্তেও ডিভোর্স না দিয়ে আরেকটা বিয়ে করছে তাই তিনি এসেছেন চন্দনকে গ্রেফতার করতে। তখন বিপাশাকে উল্টো পাল্টা বলতে থাকে চন্দনের মা। কিন্তু বিপাশা তাকে পরিষ্কার জানিয়ে দেয় সে আর সহ্য করবে না। ওদিকে এইসব দেখে কান্নাকাটি করতে থাকে বসুন্ধরা। চলে যাওয়ার আগে বিপাশার জীবন ধ্বংশ করে দেওয়ার হুমকি দেয় চন্দন। তবে কি ছাড়া পেয়ে বিপাশার কোন বড় ক্ষত করবে চন্দন?

Ruhi Roy

রুহি রায়, গণ মাধ্যম নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ। সাংবাদিকতার প্রতি টানে এই পেশায় আসা। বিনোদন ক্ষেত্রে লেখায় বিশেষ আগ্রহী। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।