জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ফুলকি (Phulki)। ইতিমধ্যেই ধারাবাহিককে দেখানো হয়েছে রুদ্রর বাড়িতে লাবণ্যকে ডাকতে গিয়ে ফুলকি আর রোহিত। কিন্তু লাবণ্যর পরিস্থিতি দেখেই সবটা বুঝে যায় রোহিত। ফুলকি লাবণ্যকে বলে সবটা সত্যি বলতে। দিদির এই পরিস্থিতি দেখে আরও রেগে যায় রোহিত। সে সিদ্ধান্ত নেয় সে এবার বাড়িতে নিয়ে যাবে লাবণ্যকে। আর যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সবটাই নেওয়া হবে বাড়িতে।
কিন্তু এই সম্পূর্ন ঘটনাটাই দেখে নেয় রিকি। সে রুদ্রকে গিয়ে বলে দেয় সবটা। সম্পূর্ণ ঘটনাটা শুনে মাথা গরম হয়ে যায় রুদ্রর। সে ভাবতে থাকে এখন সে কিভাবে এর থেকে রেহাই পাবে। তখনই সেখানেই চলে আসে শালিনী। রুদ্র তাকে জিজ্ঞাসা করে ওই বাড়ির পরিস্থিতির কথা। কিন্তু শালিনী তাকে বলে সে ওই বাড়িতে যায়নি। সেটা শুনে যেন দিশাহারা হয়ে যায় রুদ্র। রোহিত রুদ্রকে ম্যাসেজ করে বলে বাড়িতে আসতে। তাকে সকলের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।
ওদিকে রায় চৌধুরী বাড়িতে লাবণ্যকে নিয়ে পৌঁছে যায় রোহিত আর ফুলকি। লাবণ্যকে দেখে অবাক হয়ে যায় সকলে। মাথা ঘুরিয়ে বসে পড়েন হৈমন্তী। তিনি লাবণ্যকে জিজ্ঞাসা করেন এইসব কিভাবে হল। তখন জেঠুমণি বলেন তিনি ভালোই বুঝতে পারছেন লাবণ্যর এই অবস্থা কি করে হয়েছে। লাবণ্যর এই পরিস্থিতি দেখে খুব কান্নাকাটি করতে থাকে পারমিতা। বাড়ির এই পরিস্থিতি দেখে ঈশিতা ম্যাসেজ করে রুদ্রকে বলে তাড়াতাড়ি বাড়িতে আসতে, নাহলে তার কপালে আজ দুঃখ আছে।
তখন ফুলকি বুঝিয়ে পারফরমেন্স করার জন্য রাজি করায় লাবণ্যকে। কিন্তু লাবণ্যর গান চলাকালীন লুকিয়ে সেখানে চলে আসে রুদ্র। রুদ্রকে দেখে ভয়ে দাড়িয়ে পরে লাবণ্য। কিন্তু ফুলকি তাকে বলে গান করে যেতে। রোহিত রুদ্র, রিকিয়া আর শালিনীকে দেখে চড়াও হয় রুদ্রর ওপর। তাকে মারতে মারতে বার করে দেয় বাড়ি থেকে। তখনই শালিনী গিয়ে রোহিতকে বলে এটা রুদ্র আর লাবণ্যর ব্যক্তিগত ব্যাপার তাই তার নাক গলানো উচিত নয়। কিন্তু রোহিত তাকে বলে এটা তাদের পরিবারের ব্যাপার। তাই শালিনীর এখানে কথা বলা সাজে না।
আরো পড়ুন:জীবন নিয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নিল বর্ষা! তার সিদ্ধান্ত শুনে হতভম্ব কৃষ্ণা গালমন্দ করল পর্ণাকে! নিম ফুল জমজমাট
রোহিত শালিনীকে এও বলে সে এইবাড়ির কেউ নয়, ফুলকি তার স্ত্রী। রোহিত জানিয়ে দেয় লাবণ্য এই বাড়িতেই থাকবে। কিন্তু হৈমন্তী যেন বিশ্বাসই করতে পারেননা যে রুদ্র এতবড় দোষ করেছে। তিনি বলেন নিজের ভাইয়ের খুনি হয়ে এত বড় কথা বলা সাজে না। তখনই চুপ হয়ে যায় রোহিত। কিন্তু ফুলকি মনে মনে ভাবতে থাকে এবার তাকে কিছু একটা করতেই হবে রুদ্রর মুখোশটা খোলার জন্য। তাহলে কি মনে হয় এবার রুদ্রর খেলা শেষ হবে কি?