জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক নিম ফলের মধুতে (Neem Phooler Madhu) শুরু হয়েছে দোলের মহাপর্ব। ইতিমধ্যেই আমরা দেখেছি তিস্তাকে ফোন করে অনিকেত বলে দত্ত বাড়িতে আসতে। তখন পর্ণা বলে সে এবার সাজবে তিস্তা। কিন্তু ঘর থেকে বাইরে সময় তাদের বাধা দেয় মৌমিতা আর অয়ন। তখন ঠাম্মি সহ চলে আসে সৃজনের কাকা, কাকিমা, সবাই। তারা জোর করে একটি ঘরে আটকে দেয় মৌমিতা আর অয়নকে। তারপর পর্ণা তিস্তা সেজে নীচে গিয়ে অনিকেতের সঙ্গে রঙ খেলতে থাকে।
কিন্তু রঙ মাখানোর সময় শ্যামলীকে সামনে এনে পর্ণা পিছনে চলে যায় আর অনিকেত রঙ মাখিয়ে দেয় শ্যামলীকে। তারপর তিস্তা চলে যাওয়ার কথা বলে। অপরাজিতা তাকে বাধা দিলেও সে বেরিয়ে যায়। আর সকলে একসঙ্গে মজা করে রং খেলতে থাকে। সবাই দত্ত বাড়ি থেকে চলে গেলে তারপর জেঠু বলেন সকলের সঙ্গে রঙ খেলে দারুন মজা হল। আর তখনই শোনা যায় অয়ন আর মৌমিতার গলার আওয়াজ।
পর্ণা সৃজনকে বলে ওদের ছেড়ে দিতে। সৃজন ওপরে গিয়ে দরজাটা খুলে দেয়। সৃজনকে সরিয়ে নিজে চলে যায় অয়ন মৌমিতা। তারা বলে তারা এখনই জোড়া বাড়িতে গিয়ে সবটা বলবে। তখনই জেঠু বলেন সকলের দোষ ভালো হয়নি। এই বলে তার জুতোটা খুলে রঙে মাখিয়ে সেটা অয়নের গালে মারেন। সেটা দেখে চমকে যায় সকলে। জেঠু বলেন এবার যদি তারা না শুধরে তাহলে তাদের এই বাড়ি থেকেই বের করে দেওয়া হবে। ওদিকে রাঘবকে ধরে ফেলে সুনিতা।
তিনি পর্ণা তাকে ফোন করে বলে রাঘবের গালে চড় মারতে। তখনই রাঘবকে মারেন সুনিতা। রাঘব পর্ণাকে হুমকি দিয়ে বলে পর্ণাকে সে ছাড়বে না। এদিকে দত্ত বাড়িতে কৃষ্ণার ফোনে ফোন করে নবনীতা। তিনি বলেন তাদের মেয়ের যে একটা শশুরবাড়ি আছে সেটা তাদের মনে আছে নাকি। তখন কৃষ্ণা বলে সে যা বলতে টি হবে। তখন নবনীতা কৃষ্ণাকে বলে বর্ষাকে বিকেলে তাদের বাড়িতে দিয়ে যেতে। কিন্তু তাতে বাধা দেয় পর্ণা। সে বলে মেয়েরা কোন খেলা নয়। কিন্তু অমিবাবু বলেন তিনি এমনই বর্ষার পরিস্থিতি দেখে নিজেকে দোষী মনে করছেন তাই বর্ষাকে যেতে দিতে।
আরো পড়ুন: দুঃসংবাদ অভিনেত্রী মানালি দের ভক্তদের জন্য! একি ঘটল অভিনেত্রী সঙ্গে! জেনে নিন
সৃজনও থামতে বলে পর্ণাকে তখনই অমিবাবুকে জড়িয়ে ধরে বর্ষা বলে সে ওই বাড়িতে যাবে না যতক্ষণ না নবনীতা নিজে বর্ষাকে নিতে আসবে। ওদিকে নবনীতাকে থামানোর চেষ্টা করে তার স্বামী কিন্তু নবনীতা তাকে বলে ছেলের বাড়ির লোকেরা দমে যায়না। কিন্তু পরে যখন নবনীতা জানিতে পারে বর্ষা এই কথা বলছে তখন রাগে অহংকারে তিনি বলেন তিনি অর্ণবের অন্যত্র বিয়ে দেবেন। সেটা শুনেই ভেঙে পড়ে কৃষ্ণা। আর গালমন্দ করতে থাকে পর্ণাকে।