জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

শুভকে দেখে চিনতে পারল আদৃত! মিস্টার সেনের সঙ্গে নতুন সম্পর্কের সূচনা শুভর? ‘গৃহপ্রবেশ’–এর আজকের পর্বে বড় ধামাকা!

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘গৃহপ্রবেশ’ (Grihoprobesh)-এ এসেছে বড় মোড়। শুভর পরিবারে খুশির আমেজ, কারণ সে “কেশবের” মা হয়েছে। কিন্তু আদৃত গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক কাজে ভারতে গিয়ে ভয়ংকর দুর্ঘটনার শিকার হয়, আর সবাই ধরে নেয় সে আর বেঁচে নেই! দেশের মাটিতে নতুন পরিচয় (আয়ান) নতুন জীবন শুরু করে আদৃত। নিউইয়র্কে ফিরতেই মুখোমুখি হল দুজনে, এই নতুন টুইস্টে জমে উঠেছে ধারাবাহিকের গল্প।

আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় আদৃত আবারও নিজের অতীত ঘাটতে শুরু করে আবছা আবছা মনে পড়লেও ঠিক করে তার কিছুই মনে পড়ে না। অন্যমনস্ক হয়ে সে বেরিয়ে পড়ে রাস্তায়। একজন ফুল বিক্রেতা এসে তাঁকে ফুল কিনতে বলে, আদৃত জানায় তার কাছে ডলার নেই কিন্তু ফুল লাগবে। ফুল বিক্রেতা একটি ফুলের তোড়া তাঁর হাতে দিয়ে চলে যায়। এরপর আদৃত আবারও হাঁটতে শুরু করে মাঝ রাস্তায় পৌঁছে যায় সে, একটি গাড়ির সাথে ধাক্কা লাগতে গিয়ে বেঁচে যায়।

Grihoprobesh, Sushmit Mukherjee, Ushasi Roy, Star Jalsa, new promo, গৃহপ্রবেশ, সুস্মিত মুখার্জী, উষশী রায়, নতুন প্রমো

অন্যদিকে রায় বাড়িতে শুভ মিস্টার সেনের অফিসে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকে আর সেবন্তী অনেক দুঃখ প্রকাশ করতে থাকে আর বলে, “তোর উপর অনেকটা চাপ পড়ে যাচ্ছে আমি জানি আজ যদি আমার ছেলেটা থাকতো, তাহলে তোকে অন্য কারোর অফিসে গিয়ে কাজ করতে হতো না।” শুভ বলে, “এটা আমার যুদ্ধ! তোমার ছেলে স্বপ্ন পূরণ করতেই এই যুদ্ধে নেমেছি আমি। তোমরা যদি আমার পাশে থাকো তাহলেই হবে”।

মোহনা বাড়ি ফিরে এসে এরপর দেখে আদৃত সেখানে নেই। আতঙ্কিত হয়ে মোহনা বলতে থাকে এই শহর তাদের সবার কাছেই অচেনা এর মধ্যে এখানে আসার পর থেকে আয়ান এর অস্বাভাবিক আচরণ শুরু হয়েছে, এবার কোথায় খুঁজবে তাঁকে সে? এরপর দেখা যায় মিস্টার সেন আদৃতকে সঙ্গে করে বাড়িতে আসে, আর বলে তার গাড়ির সামনে পড়েছিল আয়ান কোথায় যাবে জিজ্ঞেস করতেই এই বাড়ির ঠিকানা দিতে সবটা বুঝা যায় সে এবং তাঁকে সঙ্গে করে নিয়ে আসে।

মোহনা আদৃতকে চড় মারতে গেলে তার মা ও দাদা দুজনে আটকে দেয়। মোহনা জানায় এরপর থেকে আয়ান যেন তাদের সঙ্গেই থাকে এই শহরে হারিয়ে গেলে বা কোনও ক্ষতি হলে কি করে বাঁচাবে তাঁকে তাঁরা। এরপর সবাই মিলে একসাথে খাওয়া দাওয়া ও আলোচনা করতে থাকে। মিস্টার সেন বলে এই বিজনেস প্রজেক্টটা তাঁর কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। মিসেস শুভলক্ষী রায় একজন খুব ভালো বিসনেস ওমেন কিন্তু অনেকটা সময় ধরে আর্থিক কারণে এই চুক্তি আটকে ছিল।

মোহনা কিছুটা অবাক হয়ে গিয়ে বলে যেখানে মিস্টার সেন আজ অব্দি কোনও মেয়ের সম্বন্ধে দশ সেকেন্ড কথা বলেনি সেখানে শুভর সম্বন্ধে এত কিছু কিভাবে বলে গেল। মিস্টার সিম কিছুটা লজ্জা পেয়ে কথাটা এড়িয়ে যান। এরপর দেখা যায় অফিসে পৌঁছে গেছে শুভলক্ষী, মিস্টার সেন তাকে জানায় কোনরকম অসুবিধা হলে দ্বিধাবোধ না করে তার সঙ্গে পরামর্শ করতে। জোর কদমে কাজ শুরু করে দেয় দুজনে, কখনও বা কফি খেতে খেতে গল্প করতে থাকে দুজনে কখনও আবার মন দিয়ে কাজ।

মিস্টার সেন শুভকে বলে দুপুরের খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন তিনি, শুভ এতে আপত্তি জানালেও তিনি বলেন এতক্ষণ সময় শুভ এখানে কাজ করছে তাকে দুপুরের খাবার খেতেই হবে। এরপর শুভ বলে সে তার বাড়িতে ফোন করে ছেলের খবর নিতে চায়, মিস্টার সেন বলে এইসব বিষয় তাকে জিজ্ঞেস করতে হবে না এটা তার অধিকার। ঠিক সেই মুহূর্তেই মোহনা আর আয়ান উপস্থিত হয় মিস্টার সেনের অফিসে।

অফিসে ঢুকতে ঢুকতে মোহনা বলে, “তোমার এই শহরের সাথে নিশ্চয়ই কোন সম্পর্ক আছে এখানে আসার পর থেকেই তোমার ব্যবহার আমার সন্দেহ বাড়িয়ে দিয়েছে।” আদৃত বলে, “ঠিক বলেছ আমারও তাই মনে হয়।” শুভর সাথে কথা বলতে থাকে ঠিক এমন সময় মোহনা বলে আসবো দাদা! তারপর মুখোমুখি হয় শুভ আর আদৃত, এই উত্তেজনার মধ্যেই পর্বটি শেষ হয়ে যায়। এবার কি এক হবে দুজনে?

Piya Chanda

                 

You cannot copy content of this page