জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক নিম ফুলের মধুই চলছে ঈশার পর্দা ফাঁসের পর্ব। প্ল্যান অনুযায়ী ঈশার সঙ্গে চলে এসেছে দত্ত বাড়ি। ওদিকে সৃজন পর্ণাকে ইশারা করে এবং পর্ণার রাজি হয়ে যায়। অনুভব আর পর্ণা মিলে তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী সমস্ত খছু ব্যবস্থা করে ফেলে। পর্ণা তারপর ইশারা করতেই সৃজন ঈশাকে বলে তার সঙ্গে যেতে তার জন্য একটা গিফট আছে।
সেটা শুনে খুব উৎসাহিত হয়ে যায় ঈশা। ভাবতে থাকে সৃজন হয়তো তার জন্য কোনও নেকলেস বা হার জাতীয় কিছু এনেছে। তারপর সৃজন সকলকে বলে সে ঈশাকে একটু ঘুরিয়ে নিয়ে আসছে। সেই কথায় রাজি হয়ে যায় সকলেই। ওদিকে সৃজন ঈশার চোখ বেঁধে দেয়। বলে যে তার জন্য একটা বড় চমক রয়েছে যেটা দেখার পর সেও অবাক হয়ে যাবে। ঈশা সেই কথা শুনে রাজি গিয়ে যায়। ঈশাকে সৃজন একটা ঘরে নিয়ে আসে আর তারপর তার গলায় কালীপটকার মালা পরিয়ে দেয়।
ঈশা কিছু বুঝতে পারেনা। তখন পর্ণা সৃজনকে বলে ঈশার চোখের বাঁধন খুলে দিলে। সৃজন ঈশার চোখের বাঁধন খুলে দেয় এবং নিজের গলায় কালী পটকা দেখে রেগে যায় ঈশা। সে বুঝতে পারে সৃজন আর পর্ণা তাকে ঠকিয়েছে। তারপর সৃজন একে একে সকলকে ডাকে। প্রথমে আসে চয়ন আর রুচিরা, তারপর আসে বর্ষা আর পিকলু, তারপর কৃষ্ণা এবং তার স্বামী এবং তারপর অখিলেশ দত্ত এবং তার স্ত্রী আর অয়ন এবং মৌমিতা।
সকলের আসার পর ঈশাকে ওই অবস্থায় দেখে রেগে যায় কৃষ্ণা। তিনি চিৎকার করতে থাকে পর্ণার ওপর। কিন্তু অখিলেশ দত্ত বলেন পর্ণা যখন ঈশাকে আটকেছে তার মানে সে নিশ্চয় কিছু করেছে। তখন পর্ণা ঈশাকে জর করতে থাকে সব সত্যি বলার জন্য। প্রথমে ঈশা বলতে না চাইলেও তারপর সব বলে দেয়। কিভাবে সে পর্ণা আর সৃজনকে আলাদা করার জন্য সব কিছু করেছে, সৃজনের গুদাম পুড়িয়েছে, অখিলেশ দত্তর মশলায় ভেজাল মিশিয়েছে সব।
তারপর পর্ণা এও বলে দেয় যে ঈশাই রনির সঙ্গে হাত মিলিয়ে রুচিকে মারার চেষ্টা করেছিল। সেই কথা শুনে খুব রেগে যায় চয়ন আর পুলিশকে ফোন করে ওদিকে কৃষ্ণাও খুব ভেঙে পরে সব শুনে। তবে কি এবার শেষ হবে ঈশার সব কারসাজি?