বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় চলা এই মুহূর্তের জনপ্রিয় ধারাবাহিক গুলির মধ্যে অন্যতম দর্শকপ্রিয় ধারাবাহিক হল জি বাংলার জগদ্ধাত্রী (Jagaddhatri)। এই ধারাবাহিকটি দর্শকদের ভীষণ রকমের পছন্দের। একটা সময় টিআরপি তালিকায় শ্রেষ্ঠ স্থানও দখল করেছিল এই ধারাবাহিকটি। কিন্তু মাঝে একটু টালমাটাল পরিস্থিতি চলে আসায় এই মুহূর্তে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অ্যাকশন ধর্মী এই ধারাবাহিকটি।
এই ধারাবাহিককে যারা প্রত্যহ দেখেন তারা জানেন এটি সম্পূর্ণভাবে নারী কেন্দ্রিক একটি ধারাবাহিক। এবং সেই নারী অপরাধীদের শাস্তি দেয়, অপরাধের দমন করে। যে নারী কখনও ভেঙে পড়ে না। যেমন তার মানসিক শক্তি। তেমনই তার শারীরিক সক্ষমতা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই ধারাবাহিকের প্রতিটি পর্বে দর্শকদের জন্য রয়েছে দারুণ সব চমক। আর সেই চমকের কারণেই দর্শকরা এই ধারাবাহিক দেখা থেকে নিজেদের বিরত রাখতে পারেন না। একের পর এক জটিল সমস্যার রহস্য উৎঘাটন করে চলেছে জগদ্ধাত্রী আর মন দিয়ে তা দেখে চলেছেন দর্শকরা। বিশেষভাবে নারী কেন্দ্রিক এই ধারাবাহিকে এখন এই ধারাবাহিকে দুই নারীর জীবনে চলছে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
স্বয়ম্ভু কী সামলাতে পারবে জগদ্ধাত্রীকে?
নিজের পিসেমশাইয়ের মৃত্যুর তদন্তে সমুদ্র সৈকতে উপস্থিত জগদ্ধাত্রী। অন্যদিকে জগদ্ধাত্রীর ননদ কৌশিকী আবারও একবার বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছে। এতদিন ধরে অপরাধের দমন করে আসা জগদ্ধাত্রী ওরফে জ্যাস সান্যাল হঠাৎই মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। নিজের আপন জনের এইভাবে মৃত্যু সে মেনে নিতে পারেনি। আর কান্নায় ভেঙে পড়া জ্যাসকে এই মুহূর্তে সামলাচ্ছে তার বর স্বয়ম্ভু। যে নিজেও একজন স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ অফিসার।
কীভাবে জগদ্ধাত্রী এবং স্বয়ম্ভু এই খুনের কিনারা করবে?
স্বয়ম্ভুর কথায় নতুন দমে নিজের পিসেমশাইয়ের খুনিদের ধরতে উদ্যত হয়েছে জগদ্ধাত্রী।পুলিশ জগদ্ধাত্রীকে জানিয়েছে, তাঁরা যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছোন তখনই দ্বীপরঞ্জন গঙ্গোপাধ্যায় মারা গেছেন। আর আর তার সঙ্গে যে ম্যাডাম ছিলেন, তার অবস্থাও খুবই খারাপ ছিল। এরপর জ্যাস সৈকতে গিয়ে পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে। সে হোটেলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে কারণ সে প্রতিজ্ঞা নিয়েছে অপরাধীদের শাস্তি সে দেবেই। এবার দেখার কিভাবে জগদ্ধাত্রী এবং স্বয়ম্ভু এই খুনের কিনারা করে।