এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় চ্যানেল জি বাংলা। আর এই চ্যানেলে অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল অর্ক গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখনীতে শুরু হওয়া ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথা। এই ধারাবাহিকটি অল্প সময়ে জনপ্রিয়তা পাওয়ার পাশাপাশি চূড়ান্ত কটাক্ষেরও শিকার হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই গল্পের মধ্যে দিয়ে সদ্য বিয়ের পর একটি মেয়ের জীবনে কি কি বিপর্যয় নেমে আসতে পারে তারই একটি চিত্র তুলে ধরেছে এই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে। এক শাশুড়ির নিজের ছেলের বউয়ের প্রতি হিংসা, রাগ, খারাপ ব্যবহারের এক প্রকৃষ্ট উদাহরণ হয়ে উঠেছে নায়িকা শিমুলের শাশুড়ি। শিমুলকে মুখ করতে মুখিয়ে থাকেন তিনি।
আজকালকার দিনেও এমন শাশুড়ি হয়?
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে এই প্রশ্নের উত্তরে শিমুলের শাশুড়ির চরিত্রে অভিনয় করা জনপ্রিয় অভিনেত্রী রীতা দত্ত চক্রবর্তী বলেন, হয়ত আজকের দিনে শাশুড়ি বৌমার সম্পর্কটা বোধ হয় এমন নয়। অনেকটা সহজ কিন্তু এমনটা যে একেবারেই হয় না তাও নয়। কিন্তু আমাদের হাতে তো কিছু নেই। স্ক্রিপ্টের বাইরে বেরিয়ে গিয়ে আমরা তো কিছু করতে পারি না। একজন অভিনেতা-অভিনেত্রীকে স্ক্রিপ্টের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে হয়।
একইসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, শ্বশুর বাড়ির লোকজনের অত্যাচারের বিরুদ্ধে একজন শহরের মেয়ের কাছে আইনি সহায়তা নেওয়াটা ঠিক যতটা সহজলভ্য। একটা গ্রামের বা মফস্বলের মেয়ের কাছে কিন্তু আইনি সহায়তা নেওয়াটা অতটা সহজলভ্য নয়। সংসার থেকে বেরিয়ে আসাটাও অতটা সহজ নয় বলেই জানিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি এই ধারাবাহিকের একটি পর্বে দেখানো হয় ফুলশয্যার রাতে বউকে সরিয়ে সেই খাটে মা ছেলে একসঙ্গে শুয়েছে। আর যা দেখার পর থেকে বিতর্কের ঝড় বয়ে যায়। শুরু হয় নোংরা কটাক্ষ। এমনকি অভিনেত্রী রীতা দত্ত চক্রবর্তীকে শাশুড়ির চরিত্রে এই দৃশ্যে অভিনয়ের জন্য ব্যক্তিগতভাবেও আক্রমণ করতে শুরু করে দেন নেটিজেনরা। যদিও দর্শকদের কটাক্ষকে নিজের মাথায় স্থান দিয়েছেন অভিনেত্রী।
কিন্তু এই বিষয়ে এবার মুখ খুলে কি বললেন শিমুল অর্থাৎ অভিনেত্রী মানালি দে?
আসলে ধারাবাহিকে দেখানো হয় যে যে শিমুলের শাশুড়ি তার ছেলের ফুলশয্যার রাত নষ্ট করতে এসেছেন। আর সেই দৃশ্য দেখাতে গিয়ে দেখানো হয় অসুস্থ মা ছেলের বুকে মাথা দিয়ে শুয়ে রয়েছে ফুলশয্যার ফুল ছড়ানো খাটে। আর ছেলের নতুন বউয়ের ঠাঁই হয়েছে পাশের সোফায়। যথারীতি এই দৃশ্য ভীষণভাবে দৃষ্টিকটু লাগে দর্শকদের। ওঠে বিতর্কের ঝড়।
অনেকেই এবার বলতে থাকেন মা ছেলের ফুলশয্যা হচ্ছে। এইরকম লেখাও নাকি পড়েছেন অভিনেত্রী মানালি দে। আর তা দেখেই অভিনেত্রী প্রশ্ন তুলেছেন, এত নোংরা কিভাবে ভাবতে পারেন মানুষ? আসলে এই ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছিল একজন মা ইনসিকিউরিটিতে ভুগে নিজের ছেলে-বৌমার ঘরে ঢুকেছেন। ফুলশয্যা করতে নয়। এইসব নোংরা কটাক্ষ করা বন্ধ হোক।