বাংলা টেলিভিশনের দুনিয়ায় এই মুহূর্তে জনপ্রিয়তম ধারাবাহিক নিম ফুলের মধু (Neem Phooler Modhu) । গতকালের টিআরপি তালিকা অনুযায়ী এই ধারাবাহিকটি দু’সপ্তাহ একটু টলোমলো অবস্থায় থাকলেও এই সপ্তাহে আবারও ফিরে এসেছে স্বমহিমায়। আবারও টিআরপি তালিকায় পঞ্চম স্থান দখল করে নিয়েছে পর্ণা-সৃজনের এই ধারাবাহিক।
বিভিন্ন ঘটনাক্রম অনুযায়ী এই ধারাবাহিকটি বাঙালি দর্শকদের ভীষণ প্রিয়। আসলে রোমাঞ্চকর সব গল্প, দারুণ সব প্লট নিয়ে এই ধারাবাহিকটি অল্প সময়েই দর্শকদের মন জিতে ফেলেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই ধারাবাহিকের নায়িকা পর্ণার জীবন একের পর এক ঘটনার ঘনঘটায় বিধ্বস্ত।
শ্বশুরবাড়ির অচলায়তনকে ভেঙে ফেললেও এখনও সে মন পায়নি তার শাশুড়ি কৃষ্ণার। সে সবাইকে বিশ্বাস করলেও একমাত্র বিশ্বাস করে না। তার চোখে পর্ণা সদাই খারাপ। শ্বশুরবাড়ির জন্য প্রাণপাত করলেও এখনও পর্যন্ত শাশুড়ি-বর কাররই মন জয় করে উঠতে পারেনি পর্ণা। একটু কিছু হলেই সবাই পর্ণাকে দুষতে চলে আসে।
পর্ণা কেন সেই ঘটনা ঘটিয়েছে বা কী কারণে সেই কাজ সে করেছে তা কেউ জানতে চায় না। বা জানলেও বুঝতে চায়না বরং দোষারোপ করাতেই বেশি মজা পান সবাই। এই ধারাবাহিকে প্রতি সপ্তাহেই ধারাবাহিকের গল্পের পরিবর্তন হচ্ছে। আজ এই ঘটনা ঘটছে তো কাল অন্য ঘটনা। নিজের স্বামী সৃজনের বিপদের দিনে নকল শাড়ী প্রতিষ্ঠানের মালিক বিপাশা ব্যানার্জি সেজে সে নিজের গয়না বেঁচে লক্ষাধিক টাকা সৃজনের জন্য খরচ করে তাকে চাকরি দিয়েছিল পর্ণা। সৃজনের জন্য তৈরী করেছিল ‘শাড়ী কথা।’
কিন্তু তিন্নি ও সুপ্রকাশ বটব্যালের কারসাজিতে দত্ত পরিবারের সবার সামনে মুখোশ ছিড়ে যায় বিপাশা ব্যানার্জির ওরফে পর্ণার। যথারীতি পর্ণার শাশুড়ি এবং বর পর্ণার কাজ মেনে নিতে পারেননি। তারা পর্ণাকে সরিয়ে শাড়ি কথার ম্যানেজার হিসেবে রাখে ঈশাকে।
আবার একটা সময় পর্ণার জন্য এই ঈশাকে কলেজ থেকে বের হয়ে যেতে হয়েছিল। পর্ণার উপর তাই আক্রোশ রয়েছে ঈশার।
সম্প্রতি একটি বিরাট বড় অর্ডার পায় সৃজনের শাড়ি সংস্থা। যদিও পর্ণার কাজ দেখেই মুগ্ধ হয়ে তারা এই অর্ডার দিয়েছিলেন সৃজনকে। কিন্তু সৃজন এবং তার মা কৃষ্ণা বড় মুখ করে বলেছিলেন পর্ণার থেকেও ভালো ডিজাইন নাকি তারা পাঠাবেন। যথারীতি কনের বাড়ি থেকে যেরকম শাড়ি চাওয়া হয়েছিল তার থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের শাড়ি পাঠিয়েছিল সৃজনরা। কিন্তু মাঝ রাস্তায় সেই শাড়ি বদলে দিয়ে কনের বাড়ির মনের মতো শাড়ি পাঠিয়ে প্রথম দফায় কনের বাড়ির মন জিতে নিয়েছিল পর্ণা। যদিও ঈশার ষড়যন্ত্রে কৃষ্ণার সামনে ধরা পড়ে যায় পর্ণা। এরপর সৃজন, কৃষ্ণা এবং ঈশা কনের বিয়ের শাড়ি নিজেদের মতো করে পাঠায়। আর ব্যাস সেই শাড়ি দেখে মোটেও পছন্দ হয় না প্রবাসী কনের। রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। এরজন্য সৃজন দত্তকে পস্তাতে হবে বলে হুমকি দেন কনের বাবা! এবার কি করবে পর্ণা?