প্রেমের এই সপ্তাহে যেখানে সকলেই তাদের মনের কথা জানিয়েছে তাদের প্রিয় মানুষদের, সেখানে পিছিয়ে নেই ধাবহিকগুলিও। জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের (Kar Kache Koi Moner Kotha) কথাতেও তাই শিমুলও শতদ্রুকে বলে দিয়েছে তার মনের কথা। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন অবশেষে ভালোবাসার কথা স্বীকার করল শিমুল, এইরকম তাই দেখা যাবে আজকের পর্বে।
ধারাবাহিকে দেখা যাবে বিপাশা, শির্ষা আর সুচরিতা শিমুলের সঙ্গে দেখা করানোর জন্য নিয়ে এসেছে শতদ্রুকে। একে অপরের সঙ্গে কথা বলতে থাকে তারা। শতদ্রু শিমুলকে জানিয়ে দেয় সে যে করেই হোক তাকে জেল থেকে ছাড়িয়ে আনবে। ওদিকে কিছুতেই ওষুধ খেতে চাইছে না পুতুল। মাকে এও বলেছে সে মরে গেলেই বেঁচে যায় সবাই। সেই কথা শুনে মধুবালা দেবীও কষ্টে ভেঙে পড়েছে। তুতুল এবং কাকিমাও উপস্থিত হয়েছে সেখানে। তারা মধুবালা দেবীকে বলে পুতুলকে একটা ভালো ডাক্তার দেখাতে আর শিমুলকে ফিরিয়ে আনতে।
তখন মধুবালা দেবী বলে শিমুলকে থানায় ফোন করতে, যা শুনে কাকিমা বলে সেটা হয়না। মধুবালা দেবী তখন পুতুলকে বলে তোরা যে আমায় শান্তি দিসনা। প্রতীক্ষাকে কত করে বললাম একটা লোক রাখতে কিন্তু সে শুনলো না। পুতুলও তখন মধুবালা দেবীকে তাচ্ছিল্য সুরে বলে শিমুল থাকাকালীন তাকে কখনও কোনও কাজ করতে হয়নি। সবসময় শিমুল তার সেবা করেছে। পাগলও নিজের ভালোটা বোঝে কিন্তু তুই বুঝলি না।
মধুবালা দেবী তার উত্তরে বলে শিমুল নির্দোষ হলে সে ফিরে আসবে কিন্তু তাকে থামিয়ে কাকিমা বলে যদি শিমুল ফিরেও আসে তবুও কি সে কি সম্মান পাবে? যে দাগ তার গায়ে লেগেছে তা কি আর মিটবে? সেই শুনে চুও হয়ে যায় মধুবালা দেবী। তখন ঘরে আসে পলাশ, পরাগ আর প্রতীক্ষা। তুতুল, কাকিমাকে দেখে বিরক্ত হয় তারা। পরাগ বলে সে তো পুতুলকে ডাক্তার দেখালো তখন কাকিমা অন্য ডাক্তার আর শিমুলের কথা বললেই প্রতীক্ষা আর পলাশ কাকিমা আর তুতুলের সঙ্গে ঝগড়া শুরু করে।
তখন যেই মধুবালা দেবী বলে সে এই বাড়ি ছেড়ে একদিন চলে যাবে তখন মনে মনে খুশি হয় প্রতীক্ষা করব সেও তাই চায় যে পুতুল মরে যায়, মধুবালা দেবী ছিঁড়ে যাক এবং পরাগকে একা করে তারা সব সম্পত্তি ভোগ করুক। ওদিকে শিমুলকে নিজের মনের কথা বলে দেয় শতদ্রু এবং সে যখন ফিরে যাচ্ছিল তখন শিমুলও তাকে জানায় তার ভালোবাসার কথা। তখন শতদ্রু বলে সে যে আর শিমুলের হাত ছাড়বে না যে পরিস্থিতিই আসুক পাশে থাকবে শিমুলের। তবে কি আবার শুরু হবে শিমুলের জীবনে প্রেমের নতুন সমীকরণ?