টেলিপাড়াতে (Tollywood) নেমে এসেছে দু’সংবাদের ঘন কালো মেঘ। তারকাদের সঙ্গে একের পর এক ঘটে চলেছে দুর্ঘটনা। এই খারাপ সময়ের প্রকোপ থেকে রেহাই পাচ্ছে না কেউই। সম্প্রতি বাংলা সিনেমা হারিয়েছে জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীলা মজুমদারকে। সেই ঘটনার পর পরই সংবাদ আসে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন সত্যজিতের চারুলতা অর্থাৎ মাধবী মুখোপাধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তারপরই জানা যায় বাংলার দাদা অর্থাৎ প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলির মা হাসপাতালে ভর্তি। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর মাও ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে। ওদিকে জনপ্রিয় গায়ক অরিজিত সিং হারিয়েছেন তার দিদাকে।
তবে এইবার সংবাদটি আসে বাংলার আর এক জনপ্রিয় মুখ সুদীপা চ্যাটার্জী পরিবার থেকে। তার জীবনেও নেমে এসেছে ঝরঝঞ্জা। তার পরিবারের ওপর দিয়ে যাচ্ছে একের পর এক বিপদ। সুদীপাকে তার অভিনয় ছাড়াও জি বাংলার একসময়ের জনপ্রিয় শো জি বাংলার রান্নাঘরের জন্য তিনি বাংলার ঘরে ঘরে জনপ্রিয়তা লাভ করেন। শো’টির চর্চা ছড়িয়ে ছিল অনেক। তারপরেও রান্নার আরও অনেক অনুষ্ঠান নানান চ্যানেলে সম্প্রচারিত হলেও ছুঁতে পারেনি রান্নাঘরের জনপ্রিয়তাকে।
তবে একসময় পর হটাৎই তিনি রান্নাঘর শোটি ছেড়ে যোগ দেন প্রযোজনার কাজে। স্বামী অগ্নিদেব চ্যাটার্জীর ধারাবাহিকের প্রযোজনার দায়িত্ব সামলাতেন তিনি। তবে গত বছর থেকেই তার জীবন থেকে যেন যাচ্ছেনা দু’সময়। গতবছরই তিনি হারিয়েছিলেন তার প্রিয় পোষ্যকে। তারপরই অসুস্থ হয়ে পড়েন তার মা। চলতে বছরেই তার স্বামীও অসুস্থ হয়ে যায়। এইবছরের শুরুতেই তিনি হারিয়েছেন তার মাকে।
আবার দুঃসংবাদ আসল তার বাড়ি থেকে। ছেলে আদিদেবকে নিয়ে সঞ্চালিকাকে ছুটতে হল হাসপাতালে। জানা গেছে বাড়ির কুকুরের সঙ্গেই খেলছিল ছোট আদিদেব। তখন আচমকাই তাদের পোষ্য কামড়ে দেয় আদিদেব। রক্তক্ষরণ শুরু হয় আদিদেব পা থেকে। তাকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটলেন সুদীপা। জানা গেছে কামড়ের কারণে তার পায়ের ৩ টে লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেছে। প্রথমে ডাক্তার অপারেশনের কথা বললেও পরে ডাক্তার সেলাই করে ছেড়ে দেয় আদিদেব।
সুদীপা হাসপাতালের কর্মীদের সঙ্গে এবং ডাক্তারের সঙ্গে তার ছেলের ছবি শেয়ার করে ধন্যবাদ জানিয়েছে হাসপাতাল এবং ডাক্তারদের। সংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন “আমার একের পর এক কঠিন সময় যাচ্ছে। আমি পরীক্ষা দিতে ভালবাসিনা তবুও জানিনা ভগবান কেন আমার এত পরীক্ষা নিচ্ছেন আমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছি।” আদিদেব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুক এবং তার পরিবারের সমস্ত বিপদ কেটে যাক তাই আসা করবো আমরা।