জি বাংলার পর্দায় কম টিআরপি যুক্ত ধারাবাহিক গুলির মধ্যে অন্যতম হলো ‘ইচ্ছে পুতুল’। কয়েক মাস হল শুরু হয়েছে ধারাবাহিকটি। এখানে দুই বোনের গল্পের মধ্যে দিয়ে দেখানো হয়েছে দুই বোনের মধ্যেকার তীব্র শত্রুতা। নিজের মায়ের পেটের বোন হয়েও যে এত হিংসা, ক্ষতি করার মানসিকতা থাকতে পারে সেই অজানা দিকটাই তুলে ধরা হচ্ছে ইচ্ছে পুতুল ধারাবাহিকের গল্পে।
মেঘ, ময়ূরী, সৌরনীলের ত্রিকোণ প্রেম নিয়ে শুরু হয়েছিল এই ধারাবাহিক। সৌরনীল ময়ূরীর পরিবর্তে মেঘকে নিজের জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেওয়ায় ময়ূরী মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছে, সে মেঘের জীবনকে ধ্বংস করে দেবে। আর সেই চেষ্টাই সমানতালে সে করে চলেছে।
শুধুমাত্র দিদি ময়ূরী নয় শ্বশুরবাড়িতেও প্রতিটা পদে বিভিন্ন মানুষের কাছে অপদস্থ হতে হয় মেঘকে। আর মেঘের স্বামী সৌরনীলকে তো এক কথায় মেরুদণ্ডহীন বলা যায়। প্রতিবার ময়ূরীর ষড়যন্ত্র করে ফাঁসায় মেঘকে আর নাগাড়ে তাকে ভুল বুঝে চলেছে সৌরনীল। কখনই নিজের স্ত্রীর প্রতি বিশ্বাস করতে দেখা যায় না তাকে।
দুশ্চরিত্র রূপঙ্কর স্যান্যালের হাত থেকে ননদ গিনিকে বাঁচাতে গিয়ে শুরু থেকেই অনেক অপমান সহ্য করেছে মেঘ। মেঘের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ময়ূরীর ষড়যন্ত্রে সবাই মেঘকে দুশ্চরিত্র ভাবছে। এমনকি সেই তালিকায় রয়েছে মেঘের স্বামী সৌরনীল। বিভিন্ন সময়ে মেঘ নির্দোষ এই প্রমাণ পাওয়ার পরেও বার বার মেঘেকে ভুল বুঝে চলাটাই যেন নীলের একমাত্র কাজে পরিণত হয়েছে। স্ত্রীকে বিশ্বাস করা দূরে থাক, উল্টে তাকে যা নয় তাই বলে অপমান করে নীল।
আগে সমস্ত রকমের অপমান, অপবাদ মুখ বুঝে সহ্য করলেও এখন প্রতিবাদী মেঘ। তার কাকি শাশুড়ি তার গায়ে হাত তুলতে এলে সেই হাত চেপে ধরে মেঘ চোখের চোখ রেখে বলে এই ভুলটা করো না, অনেক সহ্য করেছি। একটা মানুষের যতটা সহ্য করার ক্ষমতা থাকে তার থেকে বেশি সহ্য করেছি। আর তাই বলছি এরকম আর করো না, আর করলে এই বাড়িতে আবার পুলিশ আসবে।আমাকে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সে রিপোর্ট করতে তোমরা বাধ্য কোরো না। মেঘের প্রতিবাদী ভাবমূর্তি দর্শকদের মনে ধরলেও গল্পের একঘেয়েমি আর ভালো লাগছে না কবে শাস্তি পাবে ময়ূরী সেটাই এখন দেখতে চাইছেন দর্শকরা।
View this post on Instagram