জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথায় (Kar Kache Koi Moner Kotha) চলছে পুতুলের বিয়ে। ইতিমধ্যেই হয়ে গেছে পুতুলের আশীর্বাদ কিন্তু বিয়ের দিনই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। মিষ্টি আনতে গিয়ে অ্যাকসিডেন্ট হয় পরাগের। সংবাদটি শিমুলকে দেয় তাদের প্রতিবেশী শ্যামলদা। তারপর সেই সংবাদ শুনে সকলকেই শিমুল জানিয়ে দেয় যেন বাড়িতে কিছু না জানায় কেউ। আর সুচরিতা, শীর্ষা, বিপাশা আর শিমুল সকলে মিলে চলে যায় পরাগের অ্যাক্সিডেন্টের স্থানে।
সেখানে গিয়ে তারা দেখতে পায় এখনও পুলিশ আসে পৌঁছায়নি এখনও সেখানে। সেটা দেখে খুব রেগে যায় শিমুল। সকলের ওপর রেগে গিয়ে বলতে থাকে কেন এখনও পরাগকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি। তারপর সেখানে পুলিশ আসলে শিমুল তাদেরকে অনুরোধ করে তাড়াতাড়ি সমস্ত কাজ করে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য। পুলিশও জানিয়ে দেয় তারা ফোন করেছে অ্যাম্বুলেন্সে। তারপর অ্যাম্বুলেন্স আসে গেলে শ্যামল বলে সেও তবে তাদের সঙ্গে কিন্তু শিমুল তাকে বাধা দিয়ে বলে বাড়িতে মিষ্টি নিয়ে যেতে সেটাও খুব জরুরি।
সেই কথা শুনে পুলিশ অবাক হয় আর প্রশ্ন করে শিমুলকে। শিমুল জানায় যে আজ তার ননদের বিয়ে যেটাকে কোনও ভাবেই আটকানো যাবে না তাই সকলের থেকে লুকানো হয়েছে। তারপর শ্যামল চলে যায় আর বিপাশা, শীর্ষা আর সুচরিতা শিমুলকে নিয়ে চলে যায় হাসপাতালে। সেখানে গিয়ে শিমুল ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করলে তারা অপেক্ষা করতে বলে। ওদিকে মধুবালা দেবীও চিন্তা করতে থাকে যে শিমুল কথায় গেল। তখন তুতুল তাকে জানায় যে এখানেই কোথাও আছে।
তখন মধুবালা দেবী বলে তিনি শিমুল না থাকলে সত্যিই কোনও দিশা পাননা। তিনি এবং পরাগ দুজনেই চান সে শিমুল পরাগকে বিয়ে করে চলে আসুক এই বাড়িতে। তখন তুতুল বলে তাকে চিন্তা না করতে পরাগ এবং শিমুল চলে আসবে। আর পুতুলকেও সাজাতে চলে এসেছে পার্লারের লোকেরা সবটা ভালোভাবে হয় যাবে। সেই কথা শুনে খানিকটা নিশ্চিন্ত হলেও মন মানতে চায়না মধুবালা দেবী। এগিয়ে পরাগকে দেখে ডাক্তার চলা এসেছে। তখন সকলেই জিজ্ঞাসা করে পরাগের অবস্থার ব্যাপারে।
ডাক্তার জানায় যে পরাগের অবস্থা খুব বেশি ভালো না। একটা অপারেশন করতে হবে তবে পরাগ একদমই রক্ত টানতে পারছে না। তখন পুলিশ অফিসার বলেন পরাগকে ট্রান্সপার করতে হবে কিনা তখন ডাক্তার তাকে জানান পরাগের অবস্থা ভালো না। তাই তাকে নিয়ে এইসময় বেশি এখানে ওখানে করা যাবে না। তারপর ডাক্তার শিমুলকে জিজ্ঞাসা করেন সে পরাগের কে হয়? তখন শিমুল তাকে জানায় সে পরাগের প্রাক্তন স্ত্রী।
তখন ডাক্তার তাকে বলে পরিবারে কাউকে ডাকতে। তখন শিমুল বলে পরিবারের কাউকে এখন ডাকা যাবে না কারণ পরাগের বোনের বিয়ে। তখন ডাক্তার তার কোনও কথা শুনে না। তখন শিমুল বলে সে স্ত্রী হিসেবে সমস্ত কাগজে কাগজে সই করবে। তখন সকলেই সুচরিতা বলে শতদ্রুকে ডাকতে। কিন্তু শিমুল তাতে বারণ করে দেয়। তখন শীর্ষা তাকে বলে পরাগ সবসময় তার ক্ষতি করেছে কিন্তু শতদ্রু সবসময় তার পাশে থেকেছে তাই তার শতদ্রুকে বলা উচিত।
কিন্তু শিমুল বলে শতদ্রু তাকে সাহায্য করেছে কিন্তু পরাগকে করবে না তাই শতদ্রুকে কিছু না বলতে। সেই কথা শুনে শিমুলের ওপর খুব রেগে যায় সকলে। তখন সুচরিতা মনে মনে ভাবতে থাকে শিমুল এখনও ভোলেনি পরাগকে তাহলে সে কি করে শতদ্রুর সঙ্গে সারাটা জীবন কাটাবে। তাহলে আপনাদের কি মনে হয় পরাগ না শতদ্রু কাকে বোঝে নেবে শিমুল?