জি বাংলায় আলোড়ন সৃষ্টি করা ধারাবাহিক হলো মিঠাই (Mithai)। এই সিরিয়াল যে শুধু দর্শকদের মনে গভীর প্রভাব ফেলেছে এমনটা নয় বাংলা সিরিয়ালের ইতিহাসে অবিস্মরণীয় অধ্যায় হয়ে থেকে যাবে তার নিজের কৃতিত্বের জন্য। সাতান্ন বার টিআরপি টপার এই সিরিয়ালকে কেই বা ভুলতে পারবে?
আদৃত আর সৌমীতৃষার অন স্ক্রিন কেমিস্ট্রি ঝড় তুলেছিল দর্শকদের মনে। সিধাই নাম সাধে দেয়নি ভক্তরা। এই দুজনের কেমিস্ট্রি দুষ্টু মিষ্টি সম্পর্ক, খুনসুটি, ঝগড়া, রাগ, বিরহ, বিচ্ছেদ সবকিছু মনে রাখার মতো দর্শকদের কাছে। মিঠাইয়ের মৃত্যু দেখানোর পর যখন সবাই ধরে নিয়েছিল মিঠাই শেষ হতে চলেছে তখন আবার একবার কাম ব্যাক করে মিঠাই বুঝিয়ে দিয়েছিল যে এত সহজে সে সবার পাত্রী নয়। মিঠি ফেরার পরে দর্শকরা প্রথমে তাকে গ্রহণ করেনি উচ্ছে বাবুর সঙ্গে। কিন্তু পরবর্তীকালে যখন আবার মিঠাই ফিরে এলো তখন সবার কষ্ট হল মিঠির কথা ভেবে।
তার পাশাপাশি একটা যৌথ পরিবারের সুন্দর গল্প ফুটে উঠেছে প্রতিটি পর্বে। গল্প সিড আর মিঠাইকে নিয়ে কিন্তু পরিবারের প্রতিটা চরিত্র সমান ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ এবং গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ফুটে উঠেছে রাখির লেখনীতে। আজকালকার দিনে সবাই যেখানে একা একা থাকতে চায় বা পরিস্থিতির কারণে একা হয়ে যায় সেখানে একটা যৌথ পরিবারের গল্প যেখানে দাদু ঠাকুমা বোন এবং তাদের স্বামী আর বাড়ীর বউ সবাই একসঙ্গে থাকে, সেটা কে মিস করবে? মিঠাই বাড়ির বউ হিসেবে সকলকে এক করে রাখার জন্য যে কৃতিত্ব ভাগ করে নিয়েছে এই সিরিয়ালে সেটা সত্যিই সকলের কাছে শিক্ষণীয় বিশেষ করে আজকের প্রজন্মের মেয়েদের কাছে, এমনটাও মনে করে ভক্তরা।
তাইতো সিরিয়াল শেষ হয়ে যাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে দাবি উঠেছিল যাতে মিঠাই টু নিয়ে আসা হয় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। যদিও এই সিরিয়ালের কাস্ট বা টিম থেকে কেউ সেই সম্পর্কে কিছু বলেনি। তবে এবার সিরিয়ালের উচ্ছে বাবুর একটা পোস্ট দর্শকদের মনে ঝড় তুলেছে। জয় গোপাল লেখা তাতে। আর সেই শব্ধ আমরা শুধুমাত্র উচ্চারিত হতে দেখেছি তার প্রিয় মিঠাই রানীর মুখেই। হঠাৎ করে এমন পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়ার কী অর্থ? তাই এটা থেকেই দর্শকরা দুইয়ে দুইয়ে চার করছে। আবার কেউ বলছে আজ জন্মাষ্টমী তাই সেই উদ্দেশ্যে হয়তো এই পুরনো কথা মনে পড়ছে আদৃতের।